" বেকার যুবক "
পঙ্গুত্ব নেই তার ,তবু জরাজীর্ণ এক মনুষ্য
নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়ে , হতে চায় ধন্য
দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরিয়ে ভিক্ষা মেলেনি বটে
চাকরির বড়ো আকাল ,interview টা জোটে
বাবার অসুখ মায়ের অসুখ যেন সবটাই আকস্মিক
ব্যবসা করার সামর্থ্য নেই, জীবনটা সত্যি ট্রাজেডিক
হতে পারেনি রাজনীতির তাবেদার নেইfixed deposit
ক্রমশ হয়ে উঠতে হচ্ছে নিজেই নিজের parasite।।-
বেকার ছেলেটা
ইন্টারভিউ দিয়ে ফিরতে ফিরতে ঘাম মোছে
আজ প্রায় চার বছর
আজও সেই ঘাম মুছতে মুছতে
রুমালে চার বছরের পারিশ্রমিকের গন্ধ পেল-
ছেলেটার রেজাল্ট ভালো,
শুধু মামার জোর নেই বলে দু'বছর ধরে বেকার!-
বৃষ্টি নামবে বলে, কাঁদা হয়নি আর,
মনটা মোমের অনুরূপ
জ্বলতে জ্বলতে গলে যায়!
কবিতা থেকে সমাচার
কেবল প্রেম নিয়ে ভরা
মানুষের কথা লিখতে ভুলে গেছি!
সভ্যতার সংকট! সে কথাও লিখতে ভুলে গেছি!
প্রফেশনাল বেকার!
না, প্রেম নিয়ে আর লিখব না!
লিখতে গেলে বিরহ শালিকের মতো,
বিরস কবিতায় উড়ে এসে জুড়ে বসে!
আজ খালি ভিজব,
বৃষ্টি নামার আগে শেষবার ধুলোবালি মেখে-
মনটাকে ধুয়ে নেব...
যদি প্রেম ছাড়াও কবিতা লেখা যায়!
জীবন সার্থক...-
নষ্ট হৃদয় আর নিঃস্ব আমি
সাথে পকেট ভর্তি হতাশা,
শূন্য হাতে স্মৃতি নিয়ে বাঁচে
আমার প্রাক্তন ভালোবাসা...-
স্বার্থ নিলামের বোবা আইন
পকেট হাতড়ে নোটটা পেলাম হাতে,
খাঁচা জুড়ে ওদের 'নেই' নিয়ে দরাদরি
দাবী চেবায় বেলাশেষের ডালভাতে।-
ট্রাফিক জ্যামে গল্প ওড়ে
ব্যস্ত শহর জুড়ে;
হাজারো মানুষ যাচ্ছে উড়ে
বেকারত্বের ঝড়ে।
দিনের পর দিন ছুটছে -
তারা সফলতার আশায়।
রাত্রি শেষে মজছে -
তারা নিকোটিনের নেশায়।।
তাদেরেও এক গল্প আছে, স্বপ্ন আছে মনে।
প্রতিনিয়ত ভাঙছে তারা, গড়ছে পরক্ষণে।
কেউ কাঁদছে গুমরে গুমরে বেকারত্ব ভূলতে।
কেউ ছুটছে নতুন পথের দীশা অনুসন্ধান করতে।
এমন সময় ক্ষত সারানোর থাকে না কেউ পাশে।
বেকার বলে মানুষগুলো শুধু পিছন ফিরে হাসে।
তাদের কেউ B.A কেউ বা M.A পাশ।
সমাজের কাছে তারা আজ ডিগ্রিধারী জীবন্ত লাশ।
হয়তো লোকে তাদের ভাবে শুধুই ভবঘুরে।
তারা কি বোঝে?
বেকারত্বের জ্বালা তাদের খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে।
-
–: বেকারের শংসা :–
বেকার যন্ত্রণা পকেটে থাকে সিকে পয়সা,
দায়িত্বের বোঝা কাঁদে মুখ ফুটিয়ে হাসা।
বেকারের যন্ত্রণা তবু,
মুছা যায়না কভু।
বেকারের শংসা বোবা ফাইলে হারায় ভাষা।-
-:ওই ছেলেটা:-
হ্যাঁ! ওই ছেলেটাকে দেখছো সবাই, যে এইটুকু বয়সেই সংসারের চাপ মাথায় নিয়েছে তুলে,
বাবাকে হারিয়েছে অনেক আগেই, মা-বোন ছাড়া কেউ নেই তাদের এই কুলে।
টিউশনি পড়িয়ে যেটুকু টাকা করে রোজগার, সে দিয়েই চালিয়ে নেয় কোনোমতে আজকের দিন,
বুকে হাজার চিন্তা নিয়েও রাতের ঘুমটা ক্ষীন।
ছেলেটা আজ ভীষণ ব্যস্ত প্রতিটি সময়ই তাঁকে এক একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে হয়,
কষ্ট সহ্য করতে সে শিখে গেছে এখন তার নেই কোন ডর-ভয়।
ছেলে বলেই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ওই বেকার নামক শব্দটা,
আজ একটা চাকরি পায়নি কি দিয়ে ঘোচাবে তাদের এই দুর্দশা!
একদিকে তার মায়ের অসুখ অন্যদিকে নাইবা ভাবলো নিজেরটা,
টাকার অভাবেই থমকে রয়েছে তাঁর ছোট বোনের বিয়েটা।
ছেলে বলেই কখনও হারতে শেখেনি সবার মন জুগিয়ে চলতে হয়,
এত ভিড়ের মাঝে তে ভুলেই গেছে ভালো থাকার অভিনয়।
হ্যাঁ এই ছেলেটারও তো একটা গল্প আছে শুনেছি কেউ কখনো,
নাকি! ছেলে বলেই আড়ালে রাতের বালিশ ভেজানো।-