মনখারাপের ওষুধ নিয়ে কারবার করতে গিয়ে
নিজেই অসুখ হয়ে উঠি!
ভুলে যাই যা কিছু সাবলীলভাবে শান্তি দিয়েছিল একদিন,
ভুলে যাই কবিতা পড়ার আনন্দ, ভাববার আমেজ!
দৈনিক ইনবক্সে ভাঁটা পড়ে, স্বপ্নে নাম-জশ-শহরত-হাততালি...
এমন ভুলে যাওয়ার মাঝে একটা ছোট্ট নদী
কিছু চুনোপুঁটি মাছ ফেলে গেছে পিছুটান
ঝিনুকের দেহ কেটে দাঁড়-ভাঙা মাঝি-গান
গতানুগতিকভাবে সেসব আওড়াই, মুখস্থ করবার চেষ্টা করি দিনভর।
এখন আর সুখ লাগে না, জাগে না মুখে কোনো দুঃখের দাগ।
...অথচ জাগবার কথা ছিল জারি
জলের জীবন বেছে ফের চলতে গিয়ে দেখি
ডাঙার জীবনে কেউ কেটে গেছে দাঁড়ি!
আজকাল তাই ওষুধ বেচি মনখারাপের-ই।-
"হয় হয়, ভয় হয়! জানি নাই আমারে,
পরিচয় দূরে কয়... read more
তুমি ভীষণ সত্যি কথা সহজভাবে বলো
যেমন পঙ্কে পরাগরেণু ছড়ায় শতদলও...-
একলা রাতের পাষাণভেদী তারা
ভাঙার পরে আসর লেখে বাউল
ভিতর ঘরের শ্মশান আত্মহারা
তোমার চোখেই সর্বনাশী ফুল!...
যাবৎ যত পাপগ্রহ-দোষ মশাল ছুঁয়ে ছাই
এমন রাতের সন্ধি তারায় তোমায় কাছে চাই।-
শব্দের মধ্যে ঘর করে পরের মতো
ওরা মন কিনে যায় নিজের অনুকূল
অমা-নিশি আলোয় মশগুল...
অথচ আলো মায়ের মতোই স্বীয়,
সহজ ছন্দের কাব্য প্রকৃতির।
ওদের কেমন একটা আকাশ প্রিয়
একলা ঘরে একলা শুধু স্থির!
তথাপি আমি নিজের কথা ভেবে
শব্দ-খেয়ায় বাঁধতে লাগি পাণ্ডুলিপি-ঘর,
প্রান্তে দেখি আমিও 'ওরা'। মানুষ যারা পর!...
আমিও'ওরা'। মানুষ। আমি পর!-
মাঝরাতে রেল কামরার একরোখা ঘরে
অশ্রাব্য ভাষার মাঝে প্রেম নামে চুপচাপ
স্টেশনের অভিমান বুকে চেপে ধরে
বিয়োগী ঝড়ের মতো ওরা ঝরে টুপটাপ
নীরবে স্থবির আমি রাতেদের ডাক শুনে
গুনে যাই মুখের ভাজে বুকের ভিতর...
ওরা গালাগাল দেয়, জোনাকি-ফাগুনের
মতো। অথচ দেখ আলো রাত্রি কি সুন্দর।-
নতুন কিছু লিখব কি আর বলো
তোমায় ভেবে মেঘের বুকের জলও
গড়িয়ে পড়ে পাহাড় থেকে গায়ে,
মাল্লা কি আর সমুদ্র-গান গাইতে পারে নায়ে?
নতুন কিছু বলব কি আর বলো
তোমার কথায় ফাগুন-বাতাস, আলো
মিটিয়ে দিলে রাত-আকাশের ঋণ
কবি কি আর গাঁথতে পারে কাব্য সমীচীন?
নতুন কিছু চাইব কি আর বলো
তোমার চাওয়ায় নধর্ মায়াজালও
বনজর বুকে আঁকতে গিয়ে ফ্রেম
আমার খাতায় জন্ম দিল পুরান্ ঋজু প্রেম...
মাথুর ছাওয়া রাতের গতানুগতিক গেম!
~ মরশুম বটব্যাল-
আলো টেনে তারাদের ছায়ার পরে
লিখে গেছ চারাদের মার্জিত কথা
একরতি প্রেম সরসতা...
একা মেঘ নীরবে নদীহীন চরে
অঝর বৃষ্টি ডেকে শব্দ ছড়ায়
ঊষর ধূসর ধুলো কামধেনু-ঘরে
দু'হাত সোহাগে প্রেম-পঙ্খ জড়ায়।
তবুও সুখের ঘর পরের মতোই
ভেঙে যাবে ভেবে ভাঙি পরশ-পাথর
শব্দের মন, প্রেম-তনু-চর...
একে একে ফাঁকা হয় সংসর্গ-খামার
ধারবাকি জীবনের ধারাবাহিকতা
কাটাতে, কাটতে শেষে কি বা থাকে আর!
সরস্বতী মন নাকি মন্থর নীরবতা?
...একরতি প্রেম সরসতা?-
নদীর আঁচল ঢেকে দেয় মন
তবুও দঁকে মেঘ ছুঁতে চায় চর
অথচ গোপন আঁধার টেনে এনে ঘর
রাতচরা পাখিদের দিল আশ্রয়
নদীর বুকে এঁকে নিদারুণ ভয়
তথাপি আকাশ ডেকে আনে তারা
সূর্যের দাপ পাছে ক্ষয় হয়ে যায়
গ্রহেতে গ্রহণ লেগে আলোর বিছানায়
ধরা যদি পড়ে যায় ইন্দ্রের ছলা
ফজরের বজ্রের রীতিহীন র-ফলা
কেটে দিয়ে মেঘ তুমি বুঁদ হয়ে যাও
তোমার ব্যাথাতে তুমি আমারে ভিজাও...-