নিজের উপার্জিত অর্থই মানুষ,
পারে না ভোগ করতে একা!
নির্ধারিত হায়াত ফুরালে,
পারে না সঙ্গে নিতে টাকা!
তবুও মানুষের অঢেল অর্থ চাই!
হালাল-হারামের বাছ-বিচার নাই!
দুনিয়ার হিসাব মেলাতে, চিন্তার শেষ নাই!
কিভাবে আল্লাহকে হিসাব দেবে? ভাবার সময় নাই!
কবিতাঃ হিসাব-কিতাব-
জীবন নামের গল্পটা,
বয়ে চলে আপন কক্ষপথে!
তোমার ছায়াসঙ্গী তুমিই,
হারিয়ে যেয়ো না বিপথে!-
দিনের শেষে, আসে রাত!
দুনিয়াবি চিন্তায়, আমি তখনো কুপোকাত!
এমনও দিন আসবে, সেদিনও রাত হবে!
মূহুর্তগুলো সেদিন, আমার অদেখাই রবে!
সাধের দেহ ছেড়ে, আমার প্রাণটা যখন বের হবে?
তখন বুঝি আমার, খুব কষ্ট হবে?
আমার মতো অসহায়, আর কে আছে তখন ভবে?
দুনিয়ার কর্মের ফল আমায়, কবর থেকেই ভুগতে হবে!
কবিতাঃ কর্মফল-
প্রেম, পরকীয়া ছাড়া বুঝি জীবন চলে?
পারিবারিক বন্ধন কেমন যেন সেকেলে!
লোভের বশে মানুষ খুন করে, টুকরো করে যত্ন সহকারে!
দেড় কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে, মানুষ মারে!
মানুষের দাম নাই,
মানুষের কাছেই!
এ কেমন সেরা জীব?
বিবেকহীন, মনুষ্যত্বহীন, আজিব!
কবিতাঃ আজিব!-
সত্য যদি বলো তুমি?
তবে, তুমি পাগল!
কপালে জুটবে, প্রবঞ্চনা ও উপহাস!
সাজানো ছবির ফ্রেমে,
বড্ড বেমানান তুমি!
তোমার ঠাঁই হবে পাগলাগারদ!
মিথ্যা যদি গুছিয়ে বলো তুমি?
তবে, তুমি সেরা!
পুরস্কার মিলবে, হাততালি সমেত বাহবা!
বাঁধানো ছবির ফ্রেম, কেবল তোমার জন্য!
পৃথিবী রাজত্ব তোমার, মুক্ত বিহঙ্গ তুমি!
কবিতাঃ সত্য-মিথ্যার সাতকাহন-
নিয়তির ছকে বাঁধা গল্পে,
যখন ঘটেনি আশানুরূপ সমাপ্তি?
অতীত খুঁড়ে ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে,
শান্তি খুঁজে পাবে কি?
ছেড়ে দাও জীবন সময়ের স্রোতে,
বর্তমান আঁকড়ে বাঁচো যতন করে!
ঠিক-বেঠিকের বিচার তো আল্লাহর হাতে,
একটা চিঠি না হয়, থাকুক স্মৃতিপটে!
কবিতাঃ শেষ চিঠি-
জাহান্নাম নাকি জান্নাত?
কি চাই তোমার ভাবো?
দুনিয়া নাকি আখেরাত?
এবার একটা আঁকড়ে বাঁচো!-
কেউ সুযোগ পেয়ে ঠাট্টার ছলে কিংবা আক্রোশের বশে যদি আপনাকে ছোট করে, জনসমক্ষে তামাশার পাত্র করে, সে আসলে কাকে অপদস্থ করলো?
আদতে সেই ব্যক্তি নিজের নিচু মনের মানসিকতা প্রকাশ করে, নিজেকেই নিজে অপমানিত করলো! আপনি নীরবে মুচকি হেসে, সময়টুকু উপভোগ করুন! জীবনে বিনামূল্যে বিনোদনের এমন সুযোগ হারাবেন না যেন!-
"অতিরিক্ত" শব্দটাই যে অতিরিক্ত!
এই যেমন অতিরিক্ত আবেগ, মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসা
কিংবা প্রত্যাশা ইত্যাদি। যেকোন শব্দের আগে "অতিরিক্ত" শব্দটা
বসলে সেই বাক্যটাই বোঝা হয়ে যায়! যা বহন করা কষ্টসাধ্য!
তাই মানুষের উচিত জীবন থেকে অতিরিক্ত বোঝা নামিয়ে ফেলা।
এতে, জীবনের পথ চলা সহজ হয়!
"অতিরিক্ত কথন"-
বুকের ভিতর নদী,
যতন করে পুষি!
সময়ের ভেলায় চড়ে,
আপনারেই খুঁজে ফিরি!-