এক পড়ন্ত বিকেল, কিছু উঁকি হল আঁকা
ছলনার ওই পাতাঝরা অভ্যাসে
শস্য নাকি বীজ, বনের ক্লান্ত স্তব্ধতা
থমকে থমকে সাজো সাজো রব
মুক্তিকামী কনকচাঁপার আমি কেউ নই
সিঁড়িতে কাঁকর সাজালাম, শাস্তি!
আসবো, হাসবো, কথাগুলো তো কানাকড়ি
কারো ব্যাক্তিগত, কারো আখ্যান
পুঁজিবাজারে হার কিনলাম, বিষটা মধুভাষী
এ তো অসুখ, বিসুখের খুব সখ
সত্য তোমার, চির আমার, শেষ জন্ম কিনা জানা নেই
ধার করেছি প্রশ্ন খুঁটে খাবো বলে
হাতের তালুতে লেগে আছে অভিসার
তুমি কেন বদলানে না হে, বলে যেও।-
শেষ ঘোষণার ব্যাপ্তি জুড়ে মনপাহাড়ীর এই 'আজীবন'
শুষ্ক হয়েও স্নিগ্ধ বটে ডিসেম্বরের 'এখন', 'তখন'।
কুয়াশার চেনা হিমেল আঁচে পারদ কোথাও হচ্ছে বিলীন
গলা ব্যাথার হেতু খোঁজে রোজ যতসব আজগুবি দিন।
মুঠোরোদ যেন ছিঁটেফোঁটায়, ডালিয়াটা খুব অভিমানী
খেজুর গুড়ের পেলাম চিঠি, ইতিকথা সব আমি জানি।
আগলভাঙা এক্তিয়ারে স্যান্টা আমায় খুঁজেই গেল
বছর ঘিরে আমেজ-প্রলাপ আঁখিকোণ হতে উধাও হল।
কফি কাপের নাগাল পেলাম, ভার্চুয়ালেই বেজায় সুখ
ঠোঁটকাটার ওই ফাটা ঠোঁটে, পিকনিক গড়ে সর্বভুক।
কেকে ক্যারামেল যাচ্ছে মিশে ভ্রমণ নেশা নাকি পেশা
যাত্রাপালার হট্টগোলে সেলসিয়াসটা সর্বনাশা।
সমাপনীর কড়া হিসেবে পাটিসাপটা ম্যাজিশিয়ান
নূতনের দ্বারে শীতঘুম যেন সব দাঁড়াশের প্যাভিলিয়ন।-
যবনিকা অদ্যে আক্ষেপ-আশ্রয়
ভবিতব্যের তৃণাঙ্কুরে
গ্রাহ্যে স্নায়ী নষ্ট আবেগ
হোক নির্ভীক শ্রাবণ-সুরে।।-
অতিনীল শবে ঝুলি ভরা দাগ
শুকছে আত্ম অহর্নিশে,
নম্র কারা, তুমি আমরা
চর্চা চাখি নির্বাচিত নিরামিষে।-
ঘৃণ্যসভার শূন্য মাঝে
আষাঢ়ে অশ্রু স্মৃতি-শিথিল
বাতিকযাপন বাষ্প হলে
উক্ত সুখে ঘুম-মিছিল।-
নৈতিকতার পৌড় মোহে
আগামী আঘাতে অন্তর্যামী
শিকড়-ডানার যোগাযোগে
অথচতত্ব বহুগামী।-
চক্রান্তের চক্রশিবিরে
'যদি'দের বড় আক্ষেপ
জালি তাগিদের ক্ষীণকালে
দর্পণহারা ভ্রুক্ষেপ।-
বোঝাও বেশি, বোঝো কম
বৈরাগ্যই মনোরম,
মিথ্যা রোগে অন্ধশরীর
নীলভাষ্যে লাগায় দম।-
অভিযোগ সব হোক বিবাগী
বিচ্ছেদে খাটেনা শক্তি
চোখ জুড়ে থাক কিছু ভেজা কথা
নীরবতা খোঁজে মুক্তি।-