বয়সের ভারে স্বপ্নের ফেরীওয়ালা এক ছোট্ট দোকান খুলেছিল,বিশাল মাল্টিপ্লেক্সের পাশে।প্রাশ্চাত্য ঘেষা উচ্চাকাক্ষীদের চাহিদা পূরণ করত ঐ মল,আর আশেপাশের উচ্ছিস্টে দল খিদে ভোলাতে ভিক্ষের পয়সায় স্বপ্ন কিনত,স্বপ্নে ডুবত মাদক নেশায়।একদিন ঐ স্বপ্নের ফেরীওয়ালা বিদায় জানালে দোকানী হয় এক ছেলে,বড়োলোকি ঠাটবাটে মুখে লাগে ওর তালা,স্বপ্ন দেখে সে অন্য তালে।
এক গরিব ছেলে পথে বসে দেখে যায় ঐ রকমারি ছয়তলা দোকানের রমরমা।বায়না করে বাবার কাছে, পেতে চায় ঐ রংচঙে জামাকাপড়,খাবারদাবার।গরিব বাবা মেটাতে অক্ষম ছেলের চাওয়া।কেঁদে কেঁদে ফেরে সেই ছেলে।স্বপ্ন দোকানী ঝোপ বুঝে মারে কোপ,ছেলেটাকে সাথে থাকতে বলে,বলে কাজ দেবে যা করলে অনেক টাকা। রাতের আঁধারে চোরাগলির আরও পথশিশুদের নিয়ে ঐ দোকানী শুরু করে এক অজ্ঞাত যুদ্ধের শিক্ষা,শিশুগুলোর নরম হাতে তুলে দেয় কার্তুজ,দীর্ঘ অনুশীলন শেষে তাদের পাঠায় পাশের দেশে,ধ্বংসলীলায় হাত রাঙাতে। বোকা ছেলেটা মাতে খুনের নেশায়, উড়িয়ে দেয় বিরাট হোটেল,বড়ো মল।মৌলবাদী সেই ছেলেটি ধরা পড়ে শেষে,ফাঁসি হয়,ফাঁসির দড়ি গলায়ে সে কেবল বলেছিল'আল্লাহ আমায় মাফ করবে না'।এভাবেই মারা পড়ে ওরা,লোভী দোকানীগুলো চুপিসারে স্বপ্নের নীচে অস্ত্রের দোকান গড়ে,ছড়িয়ে দেয় দেশজুরে,হিংসা বেচে বিনামূল্যে,বারুদের গন্ধে ভরায় যুবকদের ফুসফুস,সন্ত্রাস ঢোকায় শিশুমনে,এরা পড়ে না ধরা,রেহাই পায় আইনের হাত থেকে॥
-