তুমি ভালোবাসায় খুবলে খেয়ে নিতে চাও
আমার এই ভেজা মাটির ঠোঁট;
আমি একটু দূরত্ব চাই ওই মায়াভরা নমনীয় শরীর থেকে,
যা আমাকে কবিতা লেখার স্বাধীনতা দেবে।
যে ভালোবাসাকে বিক্রি করতে গিয়ে পাপবিদ্ধ হয়েছে
আমার কাছের লোকেরা সবাই,
সেই ভালোবাসার তাৎপর্য বোঝবার চেষ্টা করছি।
আমি আজকাল প্রচুর ভাবি…
ভাবতে ভাবতে তোমার শরীরের নিকষ অন্ধকার নাকি বুকের ঝুঁকে আসা লাল তিল, কাকে অপূনর্তা হিসেবে ধরব বুঝতে পারিনা।
ভেবেছিলাম রাত্রে স্বপ্ন দেখব, তোমার আলিঙ্গন, স্পর্শে উথালপাথাল হবে আমার তরতাজা সঙ্গম।
কিছুই হল না।
ভোরবেলায় বিষের সরলরেখা বেয়ে নামতে নামতে
ঢোক গিলে উঠল স্বপ্ন, প্রেম আর কবিতা।
© দেবদূত-
একটা নদী খুঁজতে খুঁজতে ক্রমশ জলজ হয়ে উঠছি;
বুকের নাম হয়ে উঠছে ব-দ্বীপ।
© দেবদূত
(বাকিটা ক্যাপশনে...)-
যেটুকু অবশেষ আঁকড়ে ধরলে একটা কবিতার জন্ম হয়
সেটুকু গুঁজে রাখি বুক পকেটে।
যেটুকু বিশ্বাস নিয়ে ঘুমোতে যাই,
তারা সারারাত মুখ বাড়িয়ে থাকে।
মাটিকে আমি ভয় পাই,যদি মিশে যাই!
মিথ্যে কথার কুলকুচি করা শহর
বিস্কুটের গুঁড়োর মতো ভালোবাসা ওড়ায়!
ডুবে যাওয়া সূর্য, মোমবাতি দুটোই দামি।
যদি কখনও আলোর কদর করতে শিখি!-
আজকাল একটি মৃতপ্রায় স্বপ্ন রোজ তোমার আবদারহীন ঠোঁটের কোণায় বটের ঝুরির মতো ঝুলে থাকে।
প্রতিবেশীহীন রাত, গুরুগম্ভীর নক্ষত্র, অকৃতজ্ঞ আঙুল সবাই একরাশ চেরিফুল ছড়িয়ে দিয়েছে খাটের নীচে...
তা থেকে বিনিয়ে বিনিয়ে উঠছে উষ্ণতা!
এই সমস্ত তথ্য একত্রিত করে যখন ঘেমে ওঠে মৃদু তরঙ্গের লোম,
তখন আনত ডোবার জল আর পাথর একসাথে বেয়ে উঠে আমাকে একটা আস্ত পাহাড় আর ঝর্ণা গিলিয়ে দেয়।
দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ইতস্তত হৃৎপিন্ড;
তিলে তিলে টের পায় শরীরের একটা বিন্দু থেকে আর একটা বিন্দুর কী বিশাল দূরত্ব...
© দেবদূত-
ফিল্টার
-------------
সিগারেট পোড়া শুরু করলে একটা ফরফর করে শব্দ হয়।
এতগুলো বছর ধরে সিগারেট খাই, কিন্তু এই সংস্রবহীন শব্দ কোনোদিন টের পাইনি।
হয়তো অত কাছ থেকে কাউকে পুড়তে দেখিনি।
পুড়ে যাচ্ছি খেয়ালহীন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে...
প্রত্যেকটি তরতাজা তামাকের জ্বালা,যন্ত্রণা হজম করবার শক্তি তৈরী হচ্ছে,
এটাও একটি বিজয়ী হওয়ার লক্ষণ!
যেমন মা বাপরা জ্বলে পুড়ে যায়; একটা দপদপে নরম ফিল্টার হাতে ধরিয়ে...
© দেবদূত
-
৩.
সে আসবে আমায় বলে গেছে...
তাই ঢলে যাওয়া সবুজ লেবুগাছ, নিমগ্ন অপেক্ষা পেল।
তুমি ক্ষীণ আলো পেলে; মাটি দিয়ে চাপা দিলে বাঙ্ময় মন।
আমার খেজুর রঙা ভালোবাসা বীজ হয়ে উঠছে আনমনে, আড়ালে,আবর্তে।
ফেনা হয়ে ধুয়ে যাচ্ছে সিল্কের নাইটি;
তাল তাল শস্য ক্ষেত জড়িয়ে সে আসছে!
© দেবদূত
-
ভয় হয় আমার, কবিতা সমস্ত সত্যি লিখিয়ে নিলে জীবন একটা অত্যন্ত উর্বর অন্ধকার হয়ে উঠবে!
© দেবদূত-
ঘরে ঢুকে কালো মুখে খেতে বসি একা।
আমার প্রবাসী ঠোঁট ফুঁপিয়ে ওঠে আটপৌরে রোদে,
আমার মা'র কথা মনে পড়ে যায়...
একদলা ভাত আর শাক মেখে
মা বাবার মাথার পাশে বসে থাকে হাঁ করে।
ভাঙা জানলা বেয়ে উত্তুরে হাওয়া আর শিয়ালগুলো ধেয়ে আসে...
©দেবদূত
(বাকিটা ক্যাপশনে,ইচ্ছে হলে পড়বেন)-
আধুনিকা,
শরীর তোমার আনমনা ঝড়, গান ধরেছে লালন;
উষ্ণতাতে ডুবছে জীবন,কামের ভেলায় ফাগুন!
©দেবদূত-
শোক
-----------
মিথ্যে কে আগলাতে আগলাতে, সত্যির পিঠ পুড়ে যায়।
এই ফেঁপে ওঠা কমলালেবুর ঘ্রাণ,
টকে যাওয়া স্বপ্নের কথা মনে পড়ায়।
ক্যাম্বিস বল ড্রপ খেতে খেতে,
ভাতের থালার কাছে থমকে যায়।
এ বিস্বাদ,তীব্র যন্ত্রণায়...
শালপাতায় মোড়া বুক ফুটো হয়ে যায়;
মা'র চোখের জল শুকিয়ে যায় রোজ।
বুঝতে পারি আগুনের কাছে সবটা পুড়িয়ে দেওয়া যায়,
জলের কাছে সব দাগ ধুয়ে ফেলা যায়।
শুধু কিছু শোক পাপের মতো বাড়তে থাকে।
©দেবদূত-