//মহাজাগতিক//২//
এই পথ চাইনি রাতারাতি শেষ হয়ে যাক।
চাইনি আলোর দেহলিতে হারিয়ে যাক তোমার অনাবিল প্রশান্তি।
তবু তোমার দিকে এগিয়ে যায় প্রশ্নবৎ মুসাফির, নির্বাণের মত।
তোমার দূরত্ব আগলে ক্ষত বেড়ে যায় বয়স্ক পৃথিবীর।।
-
⚕ Doctor ⚕
idexmik@gmail.com
//মহাজাগতিক//১//
দেখো ঊষার বৃতি,
যে খেয়া থেকে শুরু হয় মহাকাশ বিস্তৃতি,
এখন সেখানে জোনাকির আলাপ জমে ওঠে
মিথোজিবী নক্ষত্রের ঝরে পড়া বীজে।।
-
// আমাদের কথা //৯//
মাটি গড়ে নিল সূর্যাস্তের কৈশোর
নদীর পাশ ধরে
তার আয়ুর সীমানা কেউ জানলো না।।
-
// আমাদের কথা //৮//
সমস্ত ভালোবাসা থেকে তোমার ঘ্রাণ নিয়ে
বেঁচে থাকার মিথ্যে নেশায় বুদ হয় পৃথিবীর পরিতাপ
চুঁইয়ে পড়ে বৃষ্টি না ভেজা পদ্মপাতায়।।
শ্রাবণ, তুমি এত নিষ্ঠুর?-
তোমার চোখের অবাধ্যতায় নিঃসঙ্গ হয়ে যায় উপত্যকা
মেঘের ভ্রুকুটির আড়ালে লুকিয়ে পড়ে নীল ঘুড়ি
পানকৌড়ির সদ্যভেজা ডানায় খেলা করতে করতে
আচমকা টুকরো হয়ে ভেঙে যায় আলোর হৃৎপিণ্ড
দিঘিতে ভেসে ওঠে মৃত শালুক পাতার বিষাদ।।
বারান্দা পেরিয়ে অল্প দূর হাঁটতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে
নিরুত্তর উদাসী হাওয়া।
দুর্বোধ্য অস্থির চাহনি থেকে ছদ্মবেশী শিকড় এসে
জড়িয়ে ধরে অজুহাতের আশ্রয়।
মৃত্যু লঘু করে ফিরে নিখোঁজ হয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস
ঠোঁটে ক্ষীণ হাসি নিয়ে।।
নিরক্ষরেখা থেকে ঘুরে আবার নিরক্ষরেখায় ফেরা
আমার শিয়রের শান্ত অন্ধকারে
প্রতিজ্ঞা করি নাব্যতা, তোমার ছায়াকে সম্পূর্ণ করে যাবো।।
-
শহরের প্রতীক্ষার কোলে দীঘল রাত্রির ছায়া নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লে,
কবিতার শব্দগুচ্ছ জানলায় বসে অনুধাবন করে নীহারিকার উদাসীনতা,
চোখের কার্নিশে অল্প অল্প করে বৃষ্টির পূর্বাভাস স্পষ্ট হয়ে ওঠে,
মেঘেদের অবয়বে ভেসে বেড়ায় পরাজয়,
অভিমানে বুজে আসে কণ্ঠ,
আর আমি ভালবেসে যাই একটা শহরকে।
তোমার অপরিচিত অভ্যাসের বসবাস এ শহরের সমস্ত বিভোরতা জুড়ে
শিকড়ের ক্ষত সয়ে বিষন্ন সুন্দর ফুল সঞ্চয় করে তোমার নিশ্বাস
যা কিছু অসমীচীন, তারা হাত ধরাধরি করে ভাষার বিভেদ ভুলে যায়,
এখানেই মানুষের সুখ স্থায়িত্বের নোঙর ফেলে রাখে পূর্ণিমার আভায়।
এ শহরের সবচেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্যে হয়ত
দুচোখে আঁধারের শোকচিহ্ন নিয়ে
জীবনের শেষ নৌকায় পাড়ি দিতে হবে
ফাল্গুনের নিস্তব্ধতম শুনশান রাত,
তোমার বিপরীতে।
নাব্যতা,
তবুও আমি ভালোবেসে যাব,
এ শহরকে।।
-
ধূসর পথেই দীর্ঘক্ষণ কোনো কণ্ঠস্বর দাঁড়িয়ে আছে
ফজরের আগের মত নিস্তব্ধতায় রোদের পায়চারির মাঝে।
একবুক শুন্যতায় প্রসারিত এ প্রকৃতির পর্দায়
জলছবির মত ভাসে
স্থবির বিকেলে তোমার অদ্ভুত সুন্দর চোখ,
যেন সমস্ত কণ্ঠস্বর একলহমায় থামবে সেখানেই।
অসংখ্য যুক্তির দেওয়াল ভেঙে পড়ে,
সমস্ত কণ্ঠস্বর নিজের অস্তিত্ব ভুলে যায়,
তোমার সেই ঠিকানায়,
যেখানে পাহাড়তলীর জনপদ, সুখী মানুষের ছায়া পেরিয়ে
পথের শরীরে অল্প অল্প করে ধূসর অনুপ্রবেশ করেছে।
ঝর্নায় আলোর তরঙ্গ দেখার আনন্দ কোনো অংশে বেশি নয়
তোমার চোখের নিগূঢ়তার চেয়ে।
চকিতে তোমাকে ভ্রমণ করে আসে দক্ষিণের হাওয়া
শরীর জুড়ে তোমার চোখের বাদামী নিয়ে।
এই ধূসর পথেই, নাব্যতা।।-
মনখারাপের খবর পেয়ে আমি
ঘুমিয়ে থাকি ব্যথার স্পর্শেতে
তোমার আর্দ্র মলিন দুঃখগুলোর
মাস্তুল ভাসে সময়ের আর্শি তে।।
বলব ভেবে যেসব শব্দে ভিড়ি
মনের ভিতর জমিয়ে নিয়ে ক্ষত
উষশী স্মৃতির পালক ছুঁয়ে যায়
চোখের হ্রদে তারা আলোর মত।।
কল্পনাতেও পারিনা গড়ে নিতে
বিষন্ন ফুলে তোমার অনুপ্রবেশ
তবুও লক্ষ নিবিড় কাজল শোকে
নির্জনে আজ ফিরব তোমার দেশ।।-
She thought, she would become, a lifetime mistery, in me.
In the sunset, that we sat upon, will remember her, in me.
Curious sky, glittery moon, will store our memories, in me.
Still she thought, she would be, a lifetime mistery, in me.
Again she walked, through the lane, of our asset, in me.
And she stared, to the pain, that she'd left, in me.
She thought, she'd certainly, keep all sad hours, in me.
But time knot, with distance, to forgive all wounds, in me.
Then she said, she would like, to let our memories, be free.
And she once thought, she'd remain, a lifetime mistery, in me.-
আমার কাছে অবশিষ্ট থাকে কিছু বকুল ফুল
এবং তাদের ক্রুদ্ধশ্বাস।
স্মৃতির পরিধি থেকে পরিযায়ী হয় বকুলের সুগন্ধ, প্রজাপতি।
ঘুমের ঘোরে তোমার চোখে জলপ্রপাতের নৈসর্গ্য
একবুক অভিমান নিয়ে গোধূলির আয়োজন শুরু করলে
রৌদ্রের নৈশব্দ উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে চলে আমার।
তোমার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে বুঝতে পারি
একই স্বপ্ন দেখছি আবার।।-