আমি নাকি বাঁচতে চেয়েছিলাম,
চেয়েছিলাম সর্গদ্যার থেকে নড়করের কুহেলিকায় বিচরণ করতে!
আমি নাকি অসামান্য জীবন,
যে জীবনে বেঁচে আছে শুধু বেঁচে থাকার জঞ্জাল!
আমি মৃত্যু চাইনি কোনোদিন,
কোনোদিন চাইনি এই মাটির থেকে দূরে যেতে,
তবু পিছুটানে বেঁচে উঠি তোমার গলার জাতিস্বর!
আমি মৃত্যু চাইনি কোনোদিন!
কোনোদিন চাইনি পাঁজরের হাড়ের মাঝে কলঙ্কিত একটা পাথর,
তবু প্রতিবার তোমার শব্দে আমি শুধু ফিরে ফিরে যাই,
তবু প্রতিবার তোমার চোখে আমি শুধু ভালোবেসে যাই!-
বাস্তবের প্রাচীন প্রবাদ,
শিশির ভেজা ঘাসেরা বাদ,
আমার কল্পনার স্বল্পরাত,
মানচিত্রহীন!
আমার ছন্নছাড়া বিকেল,
তোমার মধ্যমায় নিকেল,
ব্যর্থতায় জমছে সেকেল,
স্বপ্ন বেরঙীন!
একটু আলোর একটা পাস,
সম্মোহনের বারোমাশ,
প্রলুব্ধ আমির বিকাশ,
ফাঁকা ডাস্টবিন!
আমার গল্প বলার জোর,
একটা নদীতীরের ঘোর,
আমার একশো পাঁচ জ্বর,
মৃত্যু গুনছে দিন!
গল্প শেষ হবে একদিন!-
গানের কথায় আমি তোমায় খুঁজি,
কলম খোঁজে তোমার হাতের ছোঁয়া...
তোমার মনে অল্প আমি মিশে,
রাতের তারা করছে আসা যাওয়া...
তুমি যদি মেঘপিয়নের ডাকে,
রাতের ঘুমে মিশিয়ে দাও সুখ...
আমার ডাইরি তোমার ছবি আঁকে,
ক্যানভাসে লিখছি তোমার মুখ...
প্রিয়তমা...
ভালোবাসি প্রিয়তমা....-
সেদিন যেমন দুপুর ভেজা মেঘ,
তোমার সাথে করছে লুটোপুটি,
আমিও যদি মরতে পারি হেসে,
চোখের জলে কি ভিজবে তোমার বাড়ি!
গল্প বুঝি তোমার প্রেমে লিখি,
মৃত্যু দেখি তোমার নয়ন জুড়ে....
গানের ভাষা লেগে তোমার ঠোঁটে,
মিশবো যেথায় আকাশ মেশে নীড়ে...
প্রিয়তমা...-
অগোছালো চুলে লুকোচুরি করা অদ্ভুত দুই চোখ,
মনকেমনের প্রেসক্রিপশন বলে অদ্ভুত একটা রোগ...
যেই রোগে মিথ্যা জীবন, শরীর তোমার আমার মিথ্যা,
মিথ্যা আমার মন, মিথ্যা বোধ বুদ্ধি সত্তা,
মিথ্যা কবির কথা, মিথ্যা গানের লিরিক্স,
মিথ্যা অতীত ভবিষ্যৎ, মিথ্যা হিরোগ্লিফিক্স,
মিথ্যা তখন চন্দ্র সূর্য আর সময়,
মিথ্যা সবই, শান্তি হোক বা প্রলয়
সত্যি শুধু তোমার চোখের হাসি,
সত্যি আমি বড্ড ভালোবাসি...
প্রিয়তমা...-
রোদ, তুই কি এখনো চুমু খাস আমার মতন করে?
আমার মতন করে এখনো জড়িয়ে ধরে মেঘ?
হওয়া কি এখনো আঙ্গুল বোলায় তোর চুলের মাঝে?
আমার মতন গুনতে পারে ঝরা পাতার বেগ?
ডাইরি চাপা গোলাপ দেয় তোর গায়ের গন্ধ,
চাঁদের আলো ভেঙেচুরে পরে একলা রাজপথে!
যখন ভাবি অনেক ছিল সময় রাজার মতো,
সময় শুধু পিছিয়ে যায়, আমায় নিতে এসে!
-
And my brain was waiting for the script.
And shivering legs were trying to calm.
And hand was lighting up my cigarettes.
There was a coffin outside.
Still beating slowly,
Like it always do.
And I left the place.
Like I always do.
Did I missed something there?
Maybe, or maybe that thing belongs to you.-
আমি যদি একটা কবিতা লিখি তোমার নামে?
তোমায় দেখা আমার বুকে মৃত্যু ডেকে আনে?
ঢাকের কাঠি কাঁদছে কেন যখন নবমী শুধু জানে!
তোমার বুকের পাঁজর সস্তা টাকায় আমায় কেনে!
আমি শুধু বাজার খুঁজি, একটা গরীব সস্তা দিনে!
বন্ধুত্ব বিচ্ছেদ দেখছি বসে সম্মোহনে সংগোপনে!-
তোমায় দেখে বর্ণ খুঁজি আমি,
শব্দ বানাই আমার ব্যাকরণে...
ঠোঁটের আদর শুকিয়ে যায় যখন,
গলা ভেজে তোমার উচ্চারণে...!
ছেঁড়া খাতায় আজও কবিতা লিখি,
তোমায় লিখি আমার কলম জুড়ে...
ভিড়ের রাতে তোমার চোখের আলো,
বলছে যেতে মন-নকশার পারে...!
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন মাপি আমি,
ঘুমিয়ে দেখি তোমায় অকারণে...
বৃষ্টি হয়ে আকাশ কাঁদবে যখন,
আসবে তুমি পরের আবর্তনে?
-
আমি কে?
আমি সত্য? আমি দুর্নিবার দুরন্ত গাম্ভীর্য,
আমি তার চোখের কোনে আটকে থাকা সিক্ত বালুরাশি?
আমি নির্বিকার, আমি নির্ভিক, আমি কাঁদতে থাকা কোনো পাখির শিষ?
আমি মৃত্যু?
আমি অবিনশ্বর? আমি ঈশ্বরের হাতে জ্বলে ওঠা ব্রহ্মাস্ত্র?
আমি পারিজাত বৃক্ষের ক্রন্দন থেকে ছুটে আসা অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া?
আমি ভাগ্যের পরিহাস, যে পরিহাসে অশ্রু ভেঙে ফেলে বাঁধ?
আমি স্বপ্ন?
আমি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসার এক অবৈধ ফসল?
আমি সেই অসম্ভব ভয়ের আসল প্রতিচ্ছবি, নরকের কারাগার যার অপেক্ষায় অবিরত?
আমি কে?
আমি সেই মনের মাঝে থাকা ছোট্ট গোলাপ গাছ,
যার কাঁটার দৃঢ়তা এখনো হয়নি সম্পূর্ণ,
যার পাতার এক একটা কোষ দিয়েছে ঘ্রান,
সেই ফুলের পাপড়ি এখনো কুয়াশা দেখেনি,
পায়নি শিশির স্পর্শ, শোনেনি ভ্রমরের গুঞ্জন,
ছোঁয়নি সূর্যের তরুণ পুরুষালি উষ্ণতা,
তবু শুধু হয়তো আদর পেতে উপড়ে যাই আমি!
আমি কে?
আলোর থেকে বহুদূরে!
সেখানে শুধু ঘামের ঘ্রান, ঠোঁটের ছোঁয়া, স্বাসের উষ্ণতা,
আর দুটো শরীর মিলেমিশে একাকার!
শুধু আমি পরে থাকি একলা ড্রেসিং টেবিলে!
-