নিঃস্ব হয়ে এসেছিলাম, নিঃস্ব হয়েই যাবো,
এমন কি আর ক্ষতি হলো, কষ্ট বেশি পাবো?
একটা জীবন নিঃস্ব হলে আর কি জীবন হয়?
ভালোবাসার শিক্ষা নিতে একটা জন্ম ক্ষয়!
একটা জন্ম গল্পঘরেই তোমার বিনির্মাণ,
আমার মনের মতোই তুমি, আমি বেমানান।
অন্য জন্মে হবো তোমার মনের মতো, দেখো!
তখন আমার রাত্রি-ক্রোড়ে ভালোবাসা মেখো।
-
https://www.facebook.com/AMITriptyline-A-Literary-Ant... read more
সারা আকাশ জুড়ে যখন ছিল অন্ধকার,
তুমি কাঁহা ছিলে গো কোন সপ্ত সাগর পার?
কী সন্ধানে এসেছিলে কাঁচা মাটির গাঁয়ে,
বুঝি কোনো হীরক খনির উড়ো খবর পেয়ে?
হন্যে হয়ে খুঁজছিলে যা, পেলে না কোথাও?
তবে কাঁচের ঢেলাখানা কেন তুলে নাও?
কী দেখেছো কী দেখেছো ভাঙাচোরা ঘরে?
কীসের ভুলে বসলে এসে আমার আসন 'পরে?
কেমন করে খাবার দেবো, কোন বাসনে জল?
আমি যে গো অকরমের বনস্পতি ফল!
প্রেমের থালা গড়ে তোমায় সাজিয়ে দিলে মন,
ভালোবাসার শয্যা দিলে করবে কি গ্রহণ?
তুমি এলে, গেলো আঁধার, আকাশ হল আলো,
থাকবে তুমি সারাজীবন বাসি যদি ভালো?
তোমার জন্যে ভালোবাসা, তোমার জন্যে সব,
তোমার জন্যে গর্ব আমার, সমস্ত গৌরব।
কত ভালোবাসি তোমায় বলি কোন ভাষায়?
ভালোবাসার ভাষা ছাড়া কিচ্ছু জানা নাই।
থেকে যেও, থেকে যেও তুমি জীবনভর,
শূন্য জীবন পূর্ণ হবে, ধন্য আমার ঘর।-
শূন্যতার এ নগরবাসে দালানকোঠা মন,
কে জানে কার খোঁজ করে রোজ হচ্ছে উচাটন।
-
কেন তুমি অকারণে রয়েছো বসে?
রোদেলা আকাশে মেঘ জমেছে এসে।
আর একটু সময় বাকি বৃষ্টি নামার,
সব চিহ্ন ধুয়েই যাবে বড্ড আশার।
তবু, মন বোঝে না,
অজুহাত মানে না,
তুমি একলা গানের তালে বিকেল কাটাও।
-
এক জীবনে তোমায় দেখি পড়ন্ত বেলায়,
সাঁঝের রানি আবীর ঢালে দিগন্তে যখন।
দিঘির মতো শ্যামল রূপে ভোলালে সকল,
এক জীবনে আমার হল সহস্র মরণ।
এক জীবনে যতটুকু আছে গো আমার,
নিমেষে সব তোমায় দিয়ে ভিখারি হলাম।
নদী তাহার জীবন দিয়ে সমুদ্রকে পায়,
জীবনখানি দিয়ে যদি তোমাকে পেতাম!
এক জীবনে তোমার-আমার বিরাট ব্যবধান,
তুমি ভোরের আলো, আমি সাঁঝের অন্ধকার।
সাঁঝ-আকাশে সন্ধ্যাতারায় তোমার শুকের রূপ,
সেটুক দেখে ব্যাকুল হৃদয় ভরে না আমার।
এক জীবনে চাতক হলাম, তুমি আষাঢ় মাস,
বছর কাটে বোশেখ মাসে, বরষা বিহীন।
আগুন জ্বলা চাতক চোখে থাকি প্রতীক্ষায়,
তোমার নূপুর রিমিঝিমি- যেন বাদলদিন।
এক জীবনে তুমি সবুজ, আমি ধূসর থর,
এ শূন্যতার তপ্ত বালু পোড়াচ্ছে আমায়।
তুমি প্রেমের ছাউনি ধরো আমার কল্পনায়,
আকাশঘেরা জগৎ আমার- তুমি কোথা নাই!
এক জীবনে তুমি আকাশ, আমি জলাশয়,
বুকের ওপর ছায়া সুনীল, তুমি বহুদূর।
দূরত্ব চোখ জানে, হৃদয় মানে না বারণ
তোমার জন্যে গেঁথে রাখে ভালোবাসার সুর।
এক জীবনে সুরের অভাব, তুমি স্বরগ্রাম,
বেসুর বাঁশি জানে তোমায় কতটা চে'তাম!
এক জীবনে তোমায় পাওয়া হবে না আমার,
আরেকখানি জীবন যদি কুড়িয়ে পেতাম!-
যে বসন্তে মেঘ করেছে, পদ্মপাতায় জল জমেছে,
ফুলের রঙিন পাপড়িগুলোয় যে বসন্তে জল পড়েছে,
সেই বসন্তে শরীর ঢেকে, মনের খবর মনে রেখে,
হাঁটছি বলে ভাবছো আমি ভিতর ভিতর মরছি দুখে?
বৃষ্টি নামে যে ফাল্গুনে, জল জমে যায় ফুলের বনে,
কাদা পথে রোদ পড়ে না, গুমোট লাগে যে ফাল্গুনে;
সেই বসন্ত আমার একার, সিক্ত পথে একলা হাঁটার,
ভ্রমরবিহীন ভেজা ফুলে নাক ডুবিয়ে গন্ধ নেবার।
যে ফাল্গুনে বৃষ্টি অকাল, অঝোর ধারে ভিজছে সকাল
সে ফাল্গুনী দিনে সুখের বাসন্তী রং রাঙায় দু'গাল।
আনন্দ-সুখ খুশির হাটে এ সুখ বিকোয় দুখের রেটে,
বাজার সেরে একলা ফিরি, তোমরা ভাবো দুঃখে হেঁটে।-
কারণ সবটা ভুয়ো,
ন্যায়ের সম্মান রাখা কলম-ও বিদ্রোহ করে -
এবার ক্ষান্ত দাও।
যারা ভাঙে, যারা সম্প্রীতি নষ্ট করে,
আবেগের হাতিয়ারে সত্যের গলা টিপে ধরে,
ওরাই অন্য রূপে প্রতিবাদী পতাকা ওঠায়।
-
যদি তুমি ভাবছো না আমায়, খেয়ালের শেষতম স্তরেও,
নেই তবে, ফুরিয়েছি আমি, বালিঘর ভেঙে গেছে ঢেউ।
-
আমি একরকম ঘুলঘুলি থেকে মেঝেয় পড়া
কয়েকটা রোদের টুকরো।
সকালবেলা ঘরের ধুলোবালিগুলোকে বিব্রত করে
মেঝের ওপর বিন্দু বিন্দু আলপনা আঁকলাম,
তারপর সূর্য মাথার ওপর উঠতে শুরু করলেই
ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলাম ঘরের আলোতে;
সারাদিনে আসা হল না আর।
পরের দিন আবার আসবো ঠিকই ;
তুমি যদি একেবারেই খেয়াল না করো,
না ভালোলাগাও, তবুও আসব,
তোমার ঘরের মেঝেতে খেলা করে যাবো নিশ্চুপে।
কেবল তুমি যেদিন টিকটিকি ঠেকাতে
কাগজ গুঁজে দেবে ঘুলঘুলিতে,
সেদিন থেকে আমার আসা হবে না আর।
তোমার পুবের জানালা রোদের ঐশ্বর্য ঢালুক ঘরের মেঝেয়,
আমি ফিরে যাবো বিনা অভিযোগে,
ছিদ্রান্বেষী রোদ বাধা পেলে এতটুকু অভিমান করে না।-