রক্তপাত হয়েই চলেছে অনবরত।
রক্তের ফোঁটাগুলোও বড়ো বেহায়া।
চিতাটা জ্বালানোর সময় হয়ে এলো,যদিও জ্বলন্ত মনটার আঁচ চিতার আগুনের থেকেও অনেকটা বেশি।
যেদিন ও বুঝেছিল ও মেয়ে বলে ওর জীবনে কেবল সীমারেখা বরাদ্দ,সেদিন থেকেই ও চিতা সাজাতো নিয়ম করে.....
এই বেসুরো পরিবেশের মাঝে একটা ঝিঁঝিঁ পোকা ডেকে চলেছে সুর,তাল,লয় মেনে।
ভেতরটা ক্ষত-বিক্ষত,কালশিটে পড়া...অথচ বাইরে থেকে দেখে বোঝবার জো নেই।
জ্বর হলে যে তাপমাত্রাটা ওঠে তা থার্মোমিটারের স্কেল ছাড়ায়।
ঝড়ও আসে রোজ,কেবল প্রতি ঝড় শেষে বৃষ্টি পড়াটা নিষিদ্ধ-
ঢেউভাঙা পাড়গুলো সেরে ওঠে না আর।
মন ভোলানো হাসিটা খুঁড়ে জোয়ার-ভাটার কারণটা জানতে চায় না কেনো কেউ!
চিতাগুলো জ্বলছে এক এর পর এক লাইন দিয়ে,
লাশগুলো ওঠানো হচ্ছে,
নিমেষের মধ্যে পুড়ে ছাই.....
ঘড়ির কাঁটাটা টিকটিক করে ঘুরে চলেছে নিজ খেয়ালে।
রক্তপাত বন্ধ হলো বুঝি!
-
🔥"সমাজ বনাম বাস্তব"🔥
সমাজ : কি মেয়ে হয়েছে! ব্যাস্ অনেক বোঝা তবে,
বাস্তব : তারাও এখন লড়তে পারে,এ তো কেবল
শুরু সবে....
সমাজ : দূর মেয়েদের দ্বারা ওসব হয় নাকি!
বাস্তব : চোখের ধূলো তবে আজ-ও সরানো বাকি....
সমাজ : ছোটো জামা! লজ্জাও নেই, সবাই কি
বলবে!
বাস্তব : আপনাদের মানসিকতা টা কবে বদলাবে?
সমাজ : ওই তো খুব সহজেই চোখের জল ঝরায়,
বাস্তব : ভাঙলে পরে উঠে দাড়ায়,কঠিন সত্যে ধৈর্য্য
বাড়ায়....
সমাজ : পড়াশোনা! কি হবে? শেষে তো শশুর
বাড়িতেই যাবে,
বাস্তব : গন্তব্য শুধুই কি শশুরবাড়ি! সত্যি বড্ড
চিন্তিত সবাই,আপনাদের ঢের সময় বলতেই
হবে...
সমাজ : মেয়ে তো,আরে ওরা প্রতিবাদ করতে ভয়
পায়,
বাস্তব : অন্যায় এ রুখে দাঁড়িয়ে ছোবল টাও ঠিক সময়ে দেয়...-
একটা মেয়ের কাছে সব কিছু আশা করো না প্রিয়,
মেয়েরা একটা গোটা লাইব্রেরী নয়....
উপন্যাস, গল্প, নাটক, কাব্য লাইব্রেরীতে শোভা পায়,
মেয়েদের কাছে তার ভালোবাসা পাওয়াটাই কি সব নয়?
-
যে মেয়েটি ভীষণ অভিমানী,
কথায় কথায় মুখ ফুলিয়ে কাঁদে,
সেই মেয়েটি আজ ভীষণ পরিণত,
কান্না চেপে হাঁসতে শিখে গেছে।।-
দেহমন্দিরে তার রহস্যময়ী রূপ, ঘাড় বেয়ে নামে নীল বিষ...
কামাতুর পুরুষ গন্ধ মাখে নিত্য, বিন্দু রক্তেই অহর্নিশ...
অযাচিত উষ্ণতা তুমূল চড়ে, যৌনতা লেখা সফেদ পাতায়...
সর্বগ্রাসী নদী বহন করে সে, মায়াবী জ্যোৎস্নার নীরবতায়...
-
রক্ত, ঘুমের ওষুধ আর তুমি
একটা পদ্ম না কি ফুটেছিল শুনলাম তখন,
নোনা জলে স্নান করে যখন তুমি নোনা মেয়ে মানুষ;
প্রকৃতির বর্ষা আর তুমি এক হতে চেয়ে আটকে যাও।
মগের জলে ধুয়ে দি রক্ত, স্মৃতি চিহ্ন।
এক পাতা ঘুমের ওষুধ অবহেলিত আজ,
প্রয়োজন থাকার পরেও।
সবাই সেই মন্দিরের দেওয়াল গাঁথার মতো এক কথা বলে,
সাদা হিমালয়ও যে স্বর্ণ লোভী, দিবাকর তার প্রমাণ;
তোমার চলন তার বেশি কিছু বলে না যে।
কুয়াশার মধ্যে মরে দ্যাখ রোজ, মেয়ে মানুষের ঘ্রাণ পাবে।-
মেয়ে মানেই 'মায়া'। হয়তো মায়া হতেই মেয়ের উৎপত্তি।
'মায়া'ই মেয়েদের 'ব্রহ্মশক্তি'।-