সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে,
যেমন করে সব কিছু ঠিক হয়,
ঠিক সেভাবেই।
রঙিন থেকে বেরঙিন হবে মায়া,
গলা ভিজে উঠবে 'জল'-এই,
শান্ত হবে চোখ-
মায়া,জখম ও ইত্যাদির কোলে।
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য-
পুড়ে যাওয়ার অভ্যাসে
পূর্বপুরুষ বাঁদরের যোগ্য উত্তরসূরী প্রমাণ করতে ... read more
স্মৃতিমেদুর
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য(৩০/০১/২০২২)
কথায় বলে আমরা 'অভ্যাসের দাস',
নাঃ,আদতে 'অভ্যাস' বলে কিছু নেই,
ছিলো না কোনোদিনই।
শুধু 'করা' আর 'না করার' সীমাটাকে
নামাঙ্কিত করার প্রবল তাগিদে তৈরি হয়েছিল 'অভ্যাস'।
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখার পিছুটান থেকে
ঘাড় গুঁজে মুখ লুকিয়ে থাকা।
অপলক তাকিয়ে থাকা থেকে
চোখ নামিয়ে নেওয়া-
সবটাই 'অভ্যাস'।
আমরা যাকে 'নেশা' বলি
তারই আরেক নাম 'অভ্যাস',
আমরা সবটাই বুঝি,তবু না বোঝার ভান করে
অহেতুক অভিধানে পাতা বাড়িয়ে যাই
স্মৃতি ধরে রাখার জন্য।-
ক্ষমাপ্রার্থী-দেবারতি ভট্টাচার্য্য(২৮/০৪/২০২১)
আমি বুঝি,তুমি ঠিক।
আমি বুঝি এই মেঘ আজীবন সত্যবাদী।
তবু,তবুও আমি দিতে পারিনা এ আশ্রয়,
বামদিকে রেখে এক ভয়ার্ত হুইলচেয়ার।
তোমার আকাশছোঁয়া আক্রোশ
হিসেব করে যায় মনুষ্যত্বহীন,যুক্তিহীন
এক জীবন্ত অপরাধকে,
এ আমি বেশ বুঝি।
তবু আমি অবুঝ-
যেহেতু আঘাতের সীমানা বরাবর এখনো কেবল তুমিই।
ডেকে আনা বৃষ্টি,এক হাঁটু জল-
নিষ্প্রাণ।
পাঁচটি আঙ্গুল আটকে যায় তালুতে,
কলম তুলে নাও-
ঝেড়ে ফেলো সব ক্ষোভ,খেদ।
আমরা কবিতার মতো-
মুছে যাওয়ার অবকাশ নেই,
তাই বারবার প্রতিবাদ,প্রতিরোধ-
গোলাপ গাছের মরা কান্না।
চৈত্রের শেষ বিকেলে তোমার মুখ-
যা বরাবর আমার রোগ-সংক্রমনের কারণ,
আমাকে বাধ্য করে
তোমার মনে এ জল-সংকট জাগানোর।
-
জেগে ওঠো
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য
বরাবরই বাকি মানুষ যা জমিয়ে রাখে,
তাদের জন্য,
তা আদতে জমিয়ে রাখা নুড়ি,পাথর,
ঢিল মারে সচরাচর
আর ওরা নদী হয়ে বয়ে নিয়ে যায় সেসব,
তাই বুঝি তাদের বুকের ভার
বিষাদবকুলের মতো গন্ধ ছড়ায় না,
অথচ এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যাওয়া
মায়াভরা বাগানে বয়ে যায় উত্তুরে হাওয়া।
তাদের সংসার জুড়ে যা কিছু পার্থিব,
তা কেবল শোক,বিলাপ,মায়া আর ভালোবাসা।
সমাজের অক্ষরজ্ঞান ধূলিসাৎ করে
দিব্য দিয়ে ভালোবাসে তারা।
সমপ্রেম দিয়েও সীমানা পেরিয়ে যায়
সমাজের লাশকাটা জারিজুরির।
মানুষের হয়ে এপোলজি করুক ঈশ্বর,
আর ছুঁয়ে যাক তাদের কলজেপাখিদের কলরব।।-
হৃদযন্ত্রে কালির ছাপ,
হস্তাক্ষরে-"হারিয়ে ফেলা",
চোখের তারায় কিসের মাপ!
(সে কি)উপচে পড়া ভাতের ঠেলা!-
বয়স পেরিয়ে
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য(০৮/০২/২০২১)
যখন আমার ভাবার বয়স-
দুনিয়ায় এত রকমারি কিসের!
তখন আমি ভাবতে বসি-
দুনিয়া এতো রোগগ্রস্ত কেনো!
সেইরকমই আমার এখন
গোলাপ নেওয়ার বয়স,
অথচ আমি দেখো,
ভাবছি বসে-আমার জন্ম হলো কেনো!
আবহাওয়া এখন এমনি,
খেয়াল মতো চলে।
টেলিস্কোপের বাহার কতো-নিত্যনতুন
চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
বৃষ্টি নামবে বলে মনে হয়না এবেলাও।
কি বলছো!
-অন্তর্যামী!
নানা ভাবুক বলতে পারো আমায়।
এই রে!রোদ কাঁপছে!
সময় হয়েছে,
ওঠা যাক তবে।
ভিজো না যেনো!-
মেলোড্রামাটিক
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য (২৯/০৪/২০২১)
এক মাথা চুলের মতো
ঘন অবাধ্যতা,
বারবার তোমার অকাট্য লজিক,
কিছু কথা শুনে,
কাছে টেনে ঘাড়ে মুখ গুঁজে
ইমপ্রেসিবল আর প্যানিকি রোগে যদি আক্রান্ত হতে
আমি হেলেনার মতো
তোমায় ঠোঁট বেচতাম
এক বুক সমুদ্রের বিনিময়ে।-
ইনফেকশাস
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য
মৃতদেহের গা ছুঁয়ে নেমে যায় জোনাকি
একটা-দুটো,
সবুজ ঘাস এসে দেখে যায় আলো,
উৎশৃঙ্খল ক'টা তারা।
সর্বনেশে সুর এসে মুছে দেয় ঘাম-
বহুদিনের না পাওয়া প্রশ্রয়।
অজুহাত হিসেবে পাঠিয়ে দাও বিরহলোভ,
আর অজুহাত মেপে নেয়
তোমার বাড়ির থেকে কালবৈশাখীর দূরত্ব।
যদিও হিসেব না কষেই আন্দাজ করা যায়
কিভাবে প্রেম ডুবে মরে নিস্পৃহতার ঊরুতে।
মাঝে মাঝে রাস্তার আলো থেকে ধুলোঝড় এসে
ধুয়ে দেয় দু'চোখ,ঠোঁটের অপরাধ।
পিশাচ বাগান হামলে পড়ে নাভির ওপর,
অধিকার কায়েম।
ঝিমধরা রাত মনে করিয়ে দেয়-
পুরুষের মন অনেকটা পাহাড়ের মতো-
স্থির শান্ত বিলাপ কানে আসে খালি,
হাতে,গায়ে মেখে অনুভব করা যায় না,
শুধু দেখা যায় দু'চোখ ভরে।
সেই দেখাতে যতি পড়লেই
কেবল গড়িয়ে পড়ে ফ্যাকাশে বিষাদ।
-
ঠান্ডা লড়াইটা দীর্ঘস্থায়ী হলে
পিছুটান থেকে বেরিয়ে এসে
একাকীত্বর সাথে বেশ ভাব জমানো যায়।-