পাহাড় প্রমান জমা অভিমান, রাখেনিতো কেউ খোঁজ
ভালোবাসা নিয়ে দূরে সরে গেছে যাকে ভেবে কাঁদি রোজ!
মেঘের মতো দুঃখ ঢাকি নীল বেদনার বুকে
পরিযায়ী পাখি দিয়ে গেছে ফাঁকি সন্ত্রাসটুকু রেখে।-
কার জন্য নীলাম্বরী সাজ, কপাল জুড়ে ভোরের রাঙা রবি!
শরীর জুড়ে পদাবলীর শ্লোক, নকশীকাঁথায় কার সোহাগের ছবি?
কার জন্য অধীর অপেক্ষা, তৃষিত নয়ন তাকিয়ে দ্বারের পানে....
অনুরাগের চন্দ্রমা এই রাত, কার জন্য জাগছো সংগোপনে?
সুর্মা আঁকা ডাগর দুটি চোখ, ঠোঁটের ভাঁজে ডালিম ফুলের লালি!
কার জন্য খোঁপার মালার ডোরে, পারিজাতের আতর দিলে ঢালি!
এই যে এতো নিপুন হাতে আঁকা,অপ্সরা সাজ নিত্য পরিপাটি
সকাল হলেই সব ফেলে দাও ছুঁড়ে, রাতের স্বপন রাত ফুরোলেই বাসি
শুনবে বলে চরণ ধ্বনি তার, হাওয়ার বুকে কান পেতেছো রোজ!
প্রিয় যে, তার হয়নি ঘরে ফেরা, ঝড়ের মাঝে তরীটি তার নিখোঁজ।
হয়তো কোন শেষ প্রহরের রাতে, চেনা নামে ডাকবে চুপিসারে
তুমি তখন বিরহীনির বেশে থাকবে শুয়ে মলিন ধুলোর পরে।-
গোধূলির কোলে, রাত বাতি জ্বেলে, চাঁদ যবে ওঠে দূরে....
তখন তোমার পায়ের নুপুর, মুখর অন্তপুরে।-
চলেই যাবো দুঃখ রাতের শেষে, শোকের বুকে লুকিয়ে আহাজারি!
করবোনা পথ পিছল অশ্রু মেখে, কান্নাতে চোখ হোকনা যতই ভারী।-
এমন দিনে এমন কোন দিনে
মেঘ ছোঁয়াচে বৃষ্টি যদি তুই
আমি তবে মোম-গলানো রাতে
আকাশ ছুঁয়ে চাঁদের বাড়ি হই।
তোর সারাদিন মেঘের ঝিরিঝিরি
টাপুর টুপুর বৃষ্টি ফোঁটার নাচ
আমার ঘরে সন্ধ্যা নেমে এলে
গল্প শোনায় জোনাক জ্বলা রাত।
তোর যেখানে ঝড়ের মাতামাতি
মাঝ সাগরে নৌকাডুবির ভয়
আমার সেথায় আকাশ নদী চুমে
কোজাগরী চাঁদের জন্ম হয়
তবুও আমরা এক আকাশেই থাকি
ভিন্ন ভিন্ন অভিমানী সংলাপে
তোর দু'চোখে ঘন শ্রাবণ ধারায়
গ্রহণ লাগে আমার চাঁদের রাতে।-
বাঁধভাঙা প্রেম, নিষিদ্ধ রাত, ঠোঁট পুড়ছে জ্বরে
ঘুম ছুটেছে নির্জনতার, অবাধ্য শিৎকারে।-
তোমাকে পাওয়ার আশা হলোনা পূরণ
অতৃপ্ত চাওয়াতে কত রয়ে গেলো শোক
মৃত্যু শিয়রে যদি শেষ দেখা হয়
তবে কথা দাও প্রিয়
ফুল নয়, অশ্রুতে ভিজে যেনো চোখ।-
কতদিন আমি তোমাকে দেখিনা জানো!
পথের প্রান্তে পেতে রাখি দুই চোখ,
উন্মাদ রাতে যদি তুমি ফিরে আসো....
তোলপাড় করা ভালোবাসা বাসি হোক।
যতবার ভাবি এই বুঝি তুমি এলে....
ডাক দিলে বুঝি সেই প্রিয় নাম ধরে,
স্খলিত আঁচলে ছুটে যায় তড়িঘড়ি....
কেউ কোথা নাই, হাওয়া শুধু কেঁদে মরে!
জানি ফিরবেনা কোনদিন এই পথে!
না ফেরার দেশে ভিড়েছে তোমার তরী,
বেহায়া মন মানতে তবুও নারাজ....
জাতিস্মরে বিশ্বাস তার ভারী।
তুমি বুঝি আজ মেঘের দিগন্তে হাঁটো!
বৃষ্টির মতো টুপটাপ পড় ঝরে
আমার মরুর তৃষিত হিয়ার বুকে
বলো একবার কেন আসলেনা শুধু ফিরে!-
যে যার মতো গল্প লেখি সাদা/ কালোয়
মন্দ ভালোয় দ্বন্দ্বে সাজে জীবন খাতা
গরমিলে সব হিসাব যখন কাটাকুটি
জানতে চেয়ে তোমার কাছেই ছুটে আসা।
-