শুভ -অশুভের মাঝে.....
কত লগ্ন বয়ে যায়,
কত কথা রয়ে যায় নির্বাক ঠোঁটে।
কত রাত নির্ঘুম জেগে থাকে একাকী....
স্মৃতি খুঁড়ে কাঁদায় নিজেকে!-
তুই মানে তো রংমিলান্তি
আলোর ফেরিওয়ালা
আঁধার রাতে চাঁদ উঠলে
তোকেই ফিরে পাওয়া
তুই মানে তো ভোরের হাসি
রবির রাঙা ঠোঁটে
আলতো পরশ বুলিয়ে দিস
ঘুম জাগানি চোখে
তুই মানে তো পাতায় পাতায়
জোনাক জ্বলা রাত
সাঁঝের ঘরে জ্বললে প্রদীপ
নামতা পড়ার পাঠ।
তুই মানে তো অসীম আকাশ
লক্ষ তারার কণা
তোকে নিয়েই স্মৃতির পাতায়
অজস্র জালবোনা।
বেঁচে থাকার তুই যে আমার
শেষ তুরুপের তাস
তোকে নিয়েই লিখবো আমার
আলোর উপন্যাস।-
বুক পকেটে গোলাপ নিয়ে সেই ছেলেটা আসতো রোজই,
বলতো ডেকে লাজুক হেসে 'ও মেয়ে' তুই আমার হবি'?
রাখবো তুলে চোখের তারায়, রাখবো তুলে বুকের মাঠে...
ওমের পরশ বুলিয়ে দেবো শীত বোনা তোর বরফ ঠোঁটে।
চাঁদের আলোয় দেখবো তোকে, দেখবো তোকে এলোচুলে!
হরিণ চোখে আঁকিস কাজল মেঘ সেঁচে তুই কেমন করে!
তুই যদি হোস একটু রাজী, নাম লেখাবো তোর পাড়াতে,
সকাল সন্ধ্যা টং দোকানে থাকবো তোরই অপেক্ষাতে।
আকাশ ছোঁয়া ছাদ বানাবো, পাতবো তারার শীতলপাটি....
'ও মেয়ে' তুই আমার হলে, তোকে নিয়েই খেয়াল খুশি।
তুই যে আমার স্বপ্ন সুখের, গেরস্থলী গরম ভাতে,
সাঁঝ ঢলানী আলোর চিরাগ, জ্বালিয়ে রাখিস উঠোন -ভিটে।
পাগলিরে তুই আমার হলে, সুখ কুড়াবো তোর আঁচলে,
লোকালয়ের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে যাবো অনেক দূরে....
সেই ছেলেটা আর এলোনা, বুকের গোলাপ রইলো পড়ে!
রক্তে তাহার ভিজলো মাটি, সন্ত্রাসেরই আতুড়ঘরে।
হারিয়ে গেলো আফোঁটা প্রেম, ঝরলো বকুল শোকের বুকে
কেউ বলেনা 'ও মেয়ে' তুই আমার হবি, এক জনমের কান্না মেখে!-
কান্নার জলটুকু মুছে পেতেছি চোখের নীচে রাতের চাদর
শুধু তোমাকে দেখবো বলে বহুদিন পর ঘুমের ভেতর।-
এক জীবনের যা কিছু সঞ্চয়
ভেসে গেলে কার কাছে হাত পাতি
তোমার সাথে হাজার মাইল পথ
পায়ের নীচে নরম পলিমাটি
দিন ফুরিয়ে গড়িয়ে এলে বেলা
সন্ধ্যাকাশে জ্বলবে তারার বাতি
আমরা তখন শঙ্খ চিলের পাখায়
অচিনপুরে নিরুদ্দেশের যাত্রী।
সময় যদি আসে নদীর মতো
জোয়ার ভাটায় নৌকা যাবে ভেসে
মায়ায় ছায়ায় জড়িয়ে রাখা সুখ
থাকবে ছুঁয়ে স্মৃতির সোপান ঘাটে।-
শব্দে শব্দে যদি প্রতিবাদ গড়ি
কথাদের মিছিলে হাঁটি রোজ রাজপথ
তবে এ কলম বিপ্লবী হোক
কবিতায় লিখে রাখি রক্ত শপথ।
ভাবনার বুননে যদি বেঁধে দিই বেণী
ছন্দে ছন্দে গাঁথি বুকের আঁচল
তবে কবিতা মানুষ হোক
নীল চোখে ফুটে থাক মেয়ের আদল।
কবিতা অমর প্রেম কথা ও কবিতে
বিরহে কখনো কাঁদে যমুনার কূলে
রাধিকার মতো বলে মরিলে 'প্রিয়'
আমারে তুলিয়া রাখো তমালের ডালে!-
স্নান সেরে ফিরে গেছে হিমঝুরি বন,
ফিরে গেছে বেতসের লতা...
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা পাইনি দু'চোখ....
দাবদাহে এ বুকের মাটি ফুটিফাটা!-
শরীরে বিভঙ্গ জুড়ে তুমি নদী হলে.....
খুলে দেবো জলের বসন,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে স্নান সারা হলে
তোমাতেই মিশে যাবো স্রোতের মতন।-
কবি যদি কবিতার?
আমি তবে কার?
কবিতা লেখিনা আমি
শব্দের অতল স্রোতে কাটিনা সাঁতার
মাঠে মাঠে বীজ বুনি
জল দিই গ্রীষ্মের গোড়ায়
হেমন্তের থালায় বেড়ে দিলে ভাত
উঠোনে হেসে ওঠে
একফালি নবান্নের সংসার।
মাঠ যদি ফসলের হয়
আমি তবে কার!-
তুমি আমার অপ্রকাশিত অভিব্যক্তি, ভীষণ ব্যক্তিগত.....
পাওয়া না-পাওয়ার সংঘাতে, হৃদয়ের গাঢ় ক্ষত!-