খামখেয়ালী
---------------
তোর ওই খামখেয়ালী মনের উপদ্রবে অজান্তেই সূচনা হয়েছিল এই মেঘবালিকার গল্পের নতুন অধ্যায়,
সেই দেখে শত শত ভ্রমরদল যেন তার কানে মধু ভরেছিল,
তাই সে আটকে পড়েছিল এক অপরূপ মায়ায়।
সেই মায়া ছেদন করা ছিল তার কাছে কল্পনার অতীত,
কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে গেল সেই খামখেয়ালী মনের গতিক।
যেখানে হয়েছিল প্রেমের মধুর অভাব,
যা মেঘবালিকার মনে ফেলল এক বিশাল প্রভাব।
এই মেঘবালিকা এখনও তত্ত্বাবধানে তার মনের বেহালে,
তাই আজ এই গল্পটিকে বাঁধতে চেষ্টা করলাম কবিতার জালে।
-
তোর নির্মল শৈশব, অমলিন বালখিল্য,
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে আমার গাম্ভীর্যকে..
তোর গজদাঁত, নাকের ঐ তিলটা,
তোর কথায় কথায় গাল ফোলানো,,
উত্তেজিত করে যায় আমার ইন্দ্রিয়গুলোকে,
মনের আলকাতরায় মিশিয়ে দেয় গোলাপের গন্ধ,,
আমিতো এমনটাই কাউকে চেয়েছিলাম,
যে আমার মতো পাষাণেও পলির প্রলেপ দিতে পারে,
একটা নিষ্পাপ স্বপ্ন,, নেশা ধরানো,,
রোজই দেখি প্রায়.....
স্বপ্নটা দেখাই হয়, বাঁচা আর হয়ে ওঠেনা.....-
মনের মাঝে তুফান ওঠে, হৃদয় আকুল-ব্যাকুল,
আবহাওয়া-ই ছুঁয়ে দিল, অঙ্গে লাগল ফাগুন।।
রুক্ষ দিনের তপ্ত বিজন,
বৈশাখী সমীরনে;
দিচ্ছে পরশ ছুটির অলস তৃষ্ণার্ত এ বুকে।
বৃষ্টিবিহীন আমি অমলিন;
তেষ্টাতে প্রাণ যায়,
হঠাৎ করেই কালবৈশাখী, আবির্ভূত স্বমহিমায়।।
বৃষ্টি এলো, ভিজলো কায়া;
কষ্ট হল মোচন-
'মেঘবালিকা', তুমি-ই শেষে;-
মন ভোলালে এমন!!-
মেঘবালিকা থমকে দাঁড়ায়, ভাবে আনমনে
আবার বুঝি বৃষ্টি নামবে দুটি চোখের কোণে।-
ফিরলে আকাশ রামধনু হবে, থাকবে সাতটি রং-এতে স্থির ..
অভিমানের চাদর সরাবে মেঘবালিকা , প্রকৃতি হবে সুস্থির ...-
ভিজতে চেয়ে মেঘবালিকা নিরুদ্দেশে বহুকাল,
উপল রাখে তাদের খবর,নদীর বুকেও হয় সকাল।
বন্ধকী মন পলাশের ডালে লিখে রাখে ডাকনাম,
গোলাপি ক্ষতের ডাকটিকিটে সাজে দূরপাল্লার খাম।-
শহর, একবার বৃষ্টি হয়েই দেখো..
আমিও কেমন ভিজতে ভালোবাসি!
আমার যত মন খারাপের দিব্যি,
দেখবে আমার মন ভোলানো হাসি..
আকাশকেও পাঠিয়েছিলাম চিঠি,
প্রত্যুত্তর পাইনি কিছু আজও..
বৃষ্টিপাতের মিষ্টি খবর নিয়ে,
শহর তুমিই তিলোত্তমা সাজো...
নাহয় একটা গল্প লেখো ভেজা,
অফিস যাবার হোক না খানিক দেরি।
বুকপকেটে তোমার গল্প ভরে,
মেঘরাজ্যে করতে যাব ফেরি!
মেঘবালিকার বড্ড অভিমান,
কালবৈশাখী আসতে ভুলে গেছে!
ভরদুপুরে গোপন গলি ধরে,
তুমিই যেও মেঘবালিকার কাছে...
বাসটা হয়তো হর্ন বাজিয়ে শেষে
শুকনো ধূলোয় আবার দেবে পাড়ি..
চুপটি করে তোমার হাতটি ধরে,
আমরা যাব মেঘবালিকার বাড়ি!
শহর,একবার বৃষ্টি হয়েই দেখো,
আমিও কেমন ভিজতে ভালোবাসি!
মুখ-মুখোশের মিথ্যে খেলা ভুলে..
একটুখানি সত্যি করে হাসি!!-
মেঘবালিকা
মেঘপিওনের নীল খাম খুলে মেঘবালিকা আলতো অভিমানী,
সে আসবেনা বলে চুপকথাদের উড়িয়ে দেয় কালো মেঘে।
মালতীলতার বুকে এঁকে দেয় অগোছালো কিছু কাহিনী,
তার নিশ্বাসে যেন ধূলো উড়িয়ে বাতাস ছোটে প্রবল বেগে।
মেঘবালিকার বড়ই প্রিয় কাঠগোলাপের আদর,
হঠাৎ হঠাৎ মনকেমনে মেঘ ভীড় করে ঠোঁটে,
বুকের ধূসর মলাটে বাঁচে নীলচে প্রেমের চাদর,
আবছা আলোয় সুখ খুঁজে নেয় বিকেলবেলার বৃষ্টিতে।।
-
বিশ্বাসের কাদামাটিতে,
অভিনয়ের আলসেমিমাখা অলীক চরিত্রগুলো,
চটকদারের শিরোপায় শিরোমণি!!
-মহুয়া।।-