মনখারাপের কার্নিশে জমানো দীর্ঘশ্বাসের আরক্ত,
শতরূপা হাতছানির বক্ষদেশ খুলে.....
সিলিং-ফ্যানে শব্দগ্রাফি জোড়ে!
নীলপীতরের মেঘপুঞ্জ পলিতকেশী উপাখ্যানে উন্মাদী!!

-মহুয়া।।

-

নিরীহতার ফজরে,
প্রেমান্ধতার ওজর লেপে.....
যখন প্রজাপতির পরাগযোগ তোকে ঘিরে!
তখন, কৃশ গ্রামানুভূতির বারিষধারা,
আমার হৃদি-উপত্যকায়......
সমীচীনতার ছদ্মবেশ,
ভেদরহিত বাক্য জোড়ায় অপারক!!
চিলেকোঠা অনিবারবেগে,
সুরভির মালায়......
পরশপাথর ছুঁইয়ে যায়!
একটা নিভৃতের রগচটা গোলাপে,
চেনা উপন্যাসের পাতা......
রাজনন্দিনী রূপে ধরা দেয় আমার কাছে!!

-মহুয়া।।

-

ভিড়ের মাঝে নতুন সাজে....
তুমি মিশেছো বন্যবিহারে!
খোলা চুল, এলোকেশী বেশে....
আমার সমুদ্র শহর, বানে ভাসে!!

-মহুয়া।।

-

সমাপ্তি

-

অতীত তাকে বলে দিও.......
ক্ষতবিক্ষত কামরার লাশ ঘরে,
এখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আমাকে
........ সারা দুপুর ভেজায়।
বর্তমানে দোচালার ছাদঘরে,
মাঘের বেচারা শীতে......
কেলাসনের ভাঙাচোরা কার্নিশে,
"ভালো থাকতে শিখে গেছি-
সুখটানের লবঙ্গ ঝাঁঝে"।।

-মহুয়া।।

-

ঘাসফুলের নাকছাবিটা শাসি,
তৃষ্ণাকাতর রাজহংসী কলমের কথোপকথনে।
চুঁইয়ে পড়ে কালির বর্ণবর্তিকা,
বিধ্বংসী ভাষার লাভায়।।

শিশির-ভেজা আলতা পাটিতে,
পরকলার মনন সনাতন সৌষ্ঠবহীন।
আড়ম্বরের লেস্ উপদেবীর মতনই।।

সূর্য মেখে গেছে নিসর্গীয় ভালো থাকার কাদামাটি,
সোনালি দুপুরে শঙ্খচিলের ফিরতি পথে।
আঁখি কনীনিকায় ছাঁইপাশী ধোঁয়া ওড়ে কুণ্ডলীকারে।।
ক্যালেন্ডারের ছাঁচে বাঁধা জীবন কামরায়,
যাত্রী পাল্টে যায় নিছক বাহানায়।
শুধু শেষ ট্রেনে ফিরে আসে,
কিছু না বলা কথার ক্লান্তি।।

#মহুয়া।।

-

নীরার জন্য তোলা গল্পগুলো,
কেমন যেন বিষিয়ে গেছে মায়া করবীর জালে।
পেছনে ফেলে আসা অতীত,
আজ জীবন্ত মনের অটোপসি কক্ষে।।

নীরা ভালোবাসার শ্বেতপদ্মে,
এক সুনীল আকাশের নিচে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল।
কিন্তু, আকাশটাই অভিমান করে,
সব মেঘের নীল ভেলা নিয়ে নিরুদ্দেশী হয়ে যায়।।

তাই আজও নীরার গল্প সম্পূর্ণতা পায়নি।
অশরীরী হয়ে গল্পের গোছানো ইতি খুঁজে চলেছে দিবারাত্রি।।

-মহুয়া।।

-

চায়ে মিশে গেছে, অবাধ্যতার চুমুক।
বোবা টানেলের মতোই,
বাম পাশের অলিন্দে রাত-দুপুর.......
হাতুড়ি পেটানো আওয়াজে মিছিল ডেকেছে,
বর্তমানের পরিস্থিতি।।

সকালের সূর্যটা কেমন যেন,
মুখভার করে আছে চওড়া ঘোমটায়।
নরম হাতের কাঁকনে,
সব অভিমান গুমরে গুমরে চোখ লুকায়।।

থমথমে বিষণ্ণতায় সময় ছোটে সাইরেন ছেড়ে ছেড়ে।
একলা থাকাই বোধহয় শিখে নিচ্ছে পৃথিবীর অলিগলি।।

-মহুয়া।।

-

শির-উপশিরাগুলিতে,
শ্রাবণের বাইশটি রূপের মত্ততা দেখেছিলাম।
কী করে জীবনের বাইশটি গ্রীষ্ম,
......বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত আর বসন্ত,
কেটে গিয়েছে সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি।
কাপুরুষের মতো শুধু,
ঋতুর পরিক্রমা গুনে গেছি আড়ষ্টতায়।।

দেওয়াল ঘড়ি সেদিন,
অনেক বায়নার টাকায় রাত কিনে নিয়েছিল।
স্বপ্নের দালানে কুটে মরেছিল,
মাথা নীচু করা দেহটির শেষ নিঃশ্বাস।।

ফেরা হয়নি আর চোখের কাজল তলায়।
ভ্রুকুটির উপেক্ষাই সঙ্গী হয়েছিল সঙ্গোপনে শেষবিদায়ে।।

-মহুয়া।।

-

ফেলে আসা জীবনের একাকীত্ব।
ওই একাকীত্বটাই,
পথের ভীষণ দামি সঙ্গী।।
মানুষের পদধূলা মেখে,
ওই নির্বাসনের বিবর্ণ পারিজাতে.....
শেষ বিদায়ের আগুন ধরিয়ে,
একলা অমাবস্যা মেখে নিচ্ছে নুড়িগোলাপে।
আধমরা ইচ্ছেগুলো,
এখন নতুন ভোরের বাতাসে.......
দখিন দুয়ার হাট করে খুলে দেওয়ার প্রতীক্ষায়,
উপসংহারে সন্ধির পারিতোষ খোঁজে।।

শেষ মৃত্যুর দোরগোড়ায় শূণ্য বুক।
না পাওয়ায় সাত অবগাহন।।

-মহুয়া।।

-