মেয়েটা বোঝেনা পিরিয়ডস'এর মানে,
ছেলেটা জানেনা কাকে বলে দাম্পত্য।
বছর ঘুরতেই প্রেম বুড়িয়েছে,মায়ায় জড়িয়েছে মাতৃত্ব।
দের কেজি শিশুর ওজন,খুব রিস্ক,পুষ্টির অভাব;
ট্রিটমেন্টে রাখতে হবে যে..কি করে বাপ?
মেয়েটি চুপচাপ।
শয্যায় ঠোঁটে ঠোঁট মেলেনি বহুদিন..পুরুষ মন;
কিছুটা জবরদস্তি...,এভাবে আর কদিন!
এখন শহরের কালো গলিতে ছেলেটির আনাগোনা রোজ,
অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের মায়ায় মেয়েটির যৌবন চিরতরে নিখোঁজ।-
মা যে আমার বড্ড প্রিয় মনখারাপের Dose,
মা যে আমার ভীষণ দামি ভালোবাসার Rose.
মা যে আমার ঘুমপাড়ানি স্নিগ্ধমাখা সুর,
মা যে আমার খেলার সাথী হইচই ভরপুর।
মা যে আমার নরম বালিশ ক্লান্ত ভয়ের ছুটি,
মা যে আমার রাতের আকাশ লক্ষ তারার মতি।
মা যে আমার নকশাকাটা ভগবানের দান,
মা যে আমার রক্ষাকবচ নাড়ির সুতোর টান।-
তোমার লজ্জা হয়না!
তুমি রকে বসে একটু আগে,
রাস্তা দিয়ে যাওয়া মেয়েটাকে যে নামে ডাকলে..
পারতে ওই একই নামে ডাকতে,
পাশে তোমার মা কিংবা বোন কেউ থাকলে!
মেয়েরা তো দ্রব্য পণ্য কিছু নয় -
কাঁটাপাল্লায় ওজন ও হয় না..
ওদেরও ওই কথা শুনে কষ্ট হয় -
ওদের ভিতরে মাতৃত্ব লুকিয়ে থাকে, ওরাই মা..
তোমার ওই ভাষা শুনে ছুটে গিয়ে
মুখ লুকিয়েছিল মেয়েটা বিছানার কোণে,
রকে বসে তুমি তখন ধোঁয়া টেনেছিলে
মায়ের কথা বুঝি পড়েনি তোমার মনে..
মেয়েটার যৌবন দেখে বলে তো দিলে,
মনে রেখো, সেও একদিন হতে চলেছে মা-
রকে বসে তুমি মাতৃত্ব নষ্ট করেছিলে..
'মা' এর পরে 'ল' বসাতে তোমার লজ্জা করে না?
তোমার লজ্জা হয়না!-
মাতৃত্ব
উনুনের ধোয়ার কুন্ডলী মোচড় দিয়ে স্তব্ধ গগনে দিশেহারা হচ্ছে। আত্মজা অন্যমনস্কভাবে রান্নায় ব্যস্ত। আগুনও লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে অগোছালো আঁচলটার দিখে।
পাঁচ বছরের আগে প্রেম নির্বাচন আর শুভ পরিণতি লাভ করেছিল অমিত ও আত্মজার বিবাহ বন্ধনে।
জীবনের কথা ও কাহিনী নদীপথে মেলে।
আবার কখনোওবা জীবনের সাতটা রঙ অন্ধকারের মোহনায় মেলে। প্রয়োজনের কাছে প্রিয়জন বড্ড মূল্যহীন দেখায় সময়কালে।
ভুলে সময়ও স্তব্ধ হয়ে গেল সেদিন আত্মজার কাছে,যেদিন ডাক্তার বলল অমিতকে ডেকে,’আপনার স্ত্রী কখনও সন্তান ধারণ করতে পারবে না।’
সেদিনের পর থেকেই দুজনের মনে যেনো ক্রান্তিকাল লাগে। অমিতের উদাসীনতা, অযত্ন দিন দিন একহাত করে সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।এদিকে আত্মজা মাতৃত্বহীনতায় দহনে পুড়ছে ।অমিতকে সে কি করে পিতৃত্বের স্বাদ দিবে কিংবা নিজে মাতৃত্বের স্বাদ....
’ মা, মাগো!তোমার আঁচলে আগুন লেগে গেছে।’হঠাৎ সম্বিৎ ফিরল,আগুনটা নিভিয়ে অদূরে তাকিয়ে দেখলো ,দুটো ছোট্ট ছোট্ট ভাই বোন ভিক্ষার ঝুলি হতে করে দাঁড়িয়ে।’আয় তোরা আয়! আমাকে, আ..মাকে আর একবার মা বলে ডাক না তোরা....ডাক না!’
সেদিন আত্মজার পোড়া মাতৃত্বে প্রথম ঢেউ লেগেছিল।-
অশিক্ষিতরা লিঙ্গ নির্ধারণ করাতে যায়না প্রিয়, "শিশু"তাদের কাছে ভগবানের দান!
তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের কাছে বিক্রিত হয় স্বাস্থ্য
মাতৃগর্ভে কাটাছেঁড়া হয় ভ্রুণের প্রাণ!-
পথপানে চেয়ে থাকে অপলক নয়নে,
কথা না হোক দর্শনই মনে শান্তি আনে।
হৃদয়ের অংশটুকু ভালোর আশায় বিলিয়েছে সে,
মাতৃহারা শিশুটিকে তুলে দিয়েছে বাবা বন্ধা নারীকে।
গল্প হোক তোমার নামে তুমিই মহান পিতা,
তোমার দয়ায় মাতৃত্বের স্বাদ পেল আশাহত এক মাতা।-
ক্লান্ত দুপুর
পাখিদের ঘরে ফেরার তোড়জোড়
বৃষ্টি ভেজা পালকগুলো
ডানা ঝাপটায় গাছের আড়ালে আবডালে
ফিরতে যে হবেই তাদের
মাতৃত্বের চরম আবদারের সুরে-