শরতের পেঁজা তুলো মেঘে
ছড়িয়ে আছে রোদের ঝিলিক,
মিলিত হাসিতে মেতেছে যেন।
কবুতরখানি চুম্বন এঁকে দেয়
সঙ্গীর ঘর্মাক্ত কপালে,
নিবিড় ছোঁয়া লেগেছে গোপনে।
পড়ন্ত বিকেলের সোনা রোদে
ক'পা হেঁটেছি সাথে সেটাই স্মৃতি,
জানি না কতোটা সুখ লিখি!
সময় বয়ে যায় নিজের খেয়ালে
দিন ক্ষণ পল সব পাল্টে দিয়ে,
শুধু মোনালিসার রহস্যময় হাসি
অবিকল রয়ে যায় আলো আঁধারে।-
নেশায় ছন্দ কাটা
তবে নিজেও জানি না কি লিখি,
লিখতে ভালো লাগে তাই দু চার লা... read more
আকাশ পানে তাকিয়ে দেখি রঙ বেরঙের ঘুড়ি,
বলছে দেখি আকাশ থেকে"চল না সেথায় উড়ি"।
সেদিন ছিল খুশির বাহার ছাদের কানায় কানায়,
উত্তেজনায় চেঁচিয়ে দিলে বকতো দাদা আমায়।
অভিমানে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকি যখন,
মুচকি হেসে জড়িয়ে নিতো দাদা আমায় তখন।
আনন্দেতে চেঁচিয়ে ওঠে "কেটেছে ঐ যে দেখো",
আমি বলি তারই কথা "হারিয়ে গেল সে তো"।
ওমনি সবাই হেসে উঠে আমার পানে চায়,
পালিয়ে যাই মায়ের কাছে ভীষণ লজ্জায়।
কেন দাদা বড় হলেম বলনা আমায় তুই,
কি করে বল সেই শৈশব আবার আমরা ছুঁই।-
যে ফুলকে কেটেছে পোকা,স্থান পায় কি ঠাকুর ঘরে?
বিশ্বাসের ঘরে ধরলে ঘুন সম্পর্কের ভিত নরম করে।-
আজকাল অভিমান ছেড়ে দিয়ে ভালো আছি,
সন্তর্পনে ভিড় কাটিয়ে সরে যেতে শিখে গেছি।
স্বপ্নরা অকারণে এলে সত্য মিথ্যার যাচাই করি,
আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে,দেখছি আমিও পারি।
সমুখে দেখি যখন অবহেলার পাহাড় দাঁড়িয়ে,
বাঁধ ভেঙে নদী নেমে আসে না আর গাল বেয়ে।
কিছু কিছু স্মৃতি দেখি এখন হাসতে শেখায়,
নরম নেই মন হয়েছি কঠিন এটাই দেখায়।-
মনের ঘরে হাজার স্বপ্ন থাকুক, নয় শূন্যতা,
রোজের খাতায় নতুন ভাবনারা পাক পূর্ণতা।
রাতের অবসাদের দিনলিপি পাশবালিশে রেখো,
আলসেমি ঝেড়ে জেগে ওঠো,প্রভাত বলছে দেখো।
সময় নিয়ে হেঁটে দেখো সমুখে দাঁড়িয়ে বসন্ত,
আলোর কাছে যেও,দেখবে জীবন কতটা জীবন্ত।
নিজেকেই করতে হয় আনন্দে থাকার আয়োজন,
মন থেকে ভালো আছি বলা ভীষণই প্রয়োজন।-
ঈশ্বর আল্লা গড, ঠিক কি নাম তাঁর নেই জানা,
মন্ত্রে অজ্ঞাত আমি শুদ্ধ মনে নাহি পারি সাধনা।
তবে মানি, তাঁর ইচ্ছের বিনে পাতাও নড়ে না।-
দিনের ব্যস্ততায় ভুলে থেকে বলি,
এই আমি ভালো আছি বেশ।
সাঁঝ নামলে মন বারান্দায়
শ্যাওলার মত সেঁটে থাকা,
দেখছি তোমার অভ্যেস।-
বাবা মা'এর পরেই সর্বদা
যথেষ্ট ভূমিকায় আছেন শিক্ষাগুরু,
তাঁদের হাত ধরে জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু।
অকৃপণ হাতে বিলিয়ে কত
নিজেদের করেছেন ক্ষয়,
তাঁদের দান জীবনের অমুল্য সঞ্চয়।
আজীবন শিখিয়ে যায় সবাই
বড় হোক কিংবা ছোট,
প্রতি পদক্ষেপে শিক্ষার্জন হয় অবিরত।
সেই সব শিক্ষক যাঁরা
ফুলবাগানের মালীর মত
ছোট ছোট শিশুদের করছেন বিকশিত,
আজ শিক্ষক দিবসে শ্রদ্ধা জানাই
সেই সব শিক্ষকদের হয়ে অবনত।-
ফাঁকা কাগজে শব্দের আঁকিবুঁকি,
কারো কাছে আছড়ে পরা তরঙ্গ
তো কারো কাছে প্যানপ্যানে দিনলিপি।
যে নদীতে শুরু হয়েছে জমতে পলি,
মাছরাঙা এসে আর করেনাকো ভীর
সেথায় মাঝিরও নেই কোন তড়িঘড়ি।
উন্মাদনায় পাড় ধরে তবু যায় হেঁটে,
অচেনাকে চেনা আর অদেখাকে দেখার
আগ্রহী নয়নের স্বাদ নাহি মেটে।
দু কলি লেখন আর ছন্দের পতন,
কত কথা মুছে ফেলে আবার প্রচেষ্টা
এসব নিয়েই কেটে যায় যে জীবন।-