কিছু শুভ মুহূর্ত
মনকে করে বেসামাল,
সময়েরই তাপে বা চাপে,
কমে বাড়ে কিছুটা অন্তরাল,
শুধু ভালবাসা চলে সমান্তরাল।-
নেশায় ছন্দ কাটা
তবে নিজেও জানি না কি লিখি,
লিখতে ভালো লাগে তাই দু চার লা... read more
সত্যগুলো দাবিয়ে রেখে লোকারণ্যে সুখ সাজাই,
অনুভূতিরা তুললে ঝড় নোনা জলে গাল ভাসাই।-
সত্য যুগে ছিল পাপবিহীন শান্তিপূর্ণ জীবন,
লড়াই বিহীন ভেদাভেদহীন ধর্ম ছিল প্রবল।
ত্রেতা যুগে রাবণ রাজ্যে সন্ত্রাস বাস করে,
সীতা মায়ের মান বাঁচাতে বানর কুলও মরে।
দ্বাপর যুগে সন্ত্রাস প্রবন কৌরবদের দল,
অর্জুন পিতা হয়েও অভিমন্যু হয়েছে অসফল।
কলি যুগে পৈশাচিক ধর্মীয় সন্ত্রাস দেখছি হায়...
রাম বা কৃষ্ণ হয়ে আজ কে বা দেশ বাঁচায়।-
ঘুম কেড়ে নেওয়া সংবাদ, বসবাস করি সন্ত্রাসের দেশে,
স্বাধীনতা ঘুঘুর বাসা,জীবনের পরিণতি অযাচিত লাশে।-
ভাঙছে স্বপ্ন থমকে যাচ্ছি
আমি আবার সাজাতে ব্যস্ত,
সংযত রেখে অনুভুতি সব
তুমি সামলে চলাতে অভ্যস্ত।-
কৃষ্ণচূড়ার সাজ,কোকিলের কুহু তান,
বসন্ত বিদায়ে বাজে নতুন শুরুর গান।
সুখের স্মৃতি যেন হয় না মলিন,
মান অভিমান সব হোক বিলীন।
এই শুভক্ষণে ভুলে যেও বিগত ক্ষত,
ক্ষমা রাখি প্রার্থনায় করেছি ভুল যত।-
অভিমানী মন সব ভুলে
ছুটে চলে আস্কারা পেলে,
যদি বিশ্বাসের মূলে ধরে ঘুন
ভালবাসা বিকোয় চৈত্র সেলে।
অভিমানী মন বলতে নারাজ
তবু আবদার পাশে থাকে,
শুষ্কতা যদি শীতলতা পায়
ভীষণ খরাতেও ফাগুন আসে।
অভিমানী মন ভুগছে জ্বরে
অপেক্ষা তার যাকে ওষুধ মানে,
সেই বুকেতে রাখলে মাথা
ভরা বসন্তেও বর্ষা নামে।-
শব্দহীন কিছু আঘাতের নেই ক্ষয়,
কিঞ্চিত শরীরের বেশিটা মনেরই হয়,
হৃদয়ের দেয়ালে লাল দাগ রেখে যায়।-
সমুদ্রসম হৃদয় নিয়ে যারা এসেছিল অহেতুক খুব কাছে,
তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সাজিয়ে অভ্যাস বশে মিলিয়ে গেছে।-
একলা ঘরে গিলছে দেয়াল ভুলছি বাঁচার মানে,
চেনা ডাকটা শুনছি আজ শুধুই টেলিফোনে।
রোজ প্রভাতে খুঁজছি যেন ভালো থাকার রসদ,
নামলে সাঁঝ একলা ঘর একক একাই দোসর।
মুঠোফোনে চলে শাসন সাবধানে ফিরবে ঘরে,
ঘরের পানে পা বাড়ালেই শূন্যতা ঘিরে ধরে।
এলিয়ে শরীর কেদারাতে মাইলের হিসেব করি,
থাকা না থাকার মাঝে যে একাই নিঃস্ব আমি।-