খুব কাছে, তোকে পেতে, বারে-বারে বলি, ভালো থাকিস...
তোর এই পাগলাকে, আপন- না করলি!!! ভালো রাখিস,-
একজন ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা
মানুষই ভালো করে জানেন ,
সকলের সামনে নিজকে
হাসিখুশি প্রমাণ করাটা
ঠিক কতটা কষ্টের।। 🙂🙂-
আজ কুড়িটা বছর পর ছোট মেয়ের ডিপ্রেশনের
কাউন্সিলিং দরকার এই ভাবনায় ভীষণ ভেতরটা ক্ষত বিক্ষত আশুবাবুর---আজ তিনি বড় ডাক্তার, এত মানুষের ভালোবাসা,নাম,যশ পরিবারের মাথা ভরসা এমনকি তার ছোটো মেয়ে ববিনেরও...আশু বাবুর তাঁর বাবার কথা আজ খুব মনে পড়ছে ।পুরোনো বাক্স বই পত্র খুলেতে খুলতে দেখলেন সেই বেশ অনেক বছর আগের পুরোনো ধুলোয় মোড়া চিঠিটা...
বাবা আশু,
সবটাই শুনলাম তোর মায়ের মুখে,এই সময়টা তোর সাথে থাকতে পারলাম না ভাই...ধূর সব গানগুলো ভুলে গেলি নাকি ছোট থেকে তুই আর আমি গলা জড়াজড়ি করে গাইতাম যে। বন্ধু থেমে যেও না,গান ধরো দেখি--"তোল ছিন্ন বীণা বাঁধো নতুন তারে ভরে নাও সুর গাও জীবনেরই জয়গান...!" এই গানটা সবসময় আয়নার সামনে গাইবি।
ইতি তোর জন্মের-প্রথম-বন্ধু
চোখ মুছতে মুছতে মৃদু-হেসে স্বস্তির স্বাস ফেলে আশুবাবু মনে-মনে বললেন,"ববিনের সাথে আমি আছি আর কাকে চাই, ক্যাউন্সিলিং আমিই করবো। ......আর camomilla তো আছেই...!"-
একাকিত্ব যেন বেপরোয়া শোনে না কোনো বারণ
হাজার ভিড়ের মাঝে থাকে তার অবাধ বিচরণ।-
তুমি দেখেছো তাকে,ভাবছো যাকে
সে আসল মানুষ নয়....
মুখ লুকিয়ে সেও কাঁদে
তারও করে ভয়......
অবহেলায় বাঁধলে পরে
ক্রমশ ঘুটিয়ে সরে......
কখনও কখনও আগলে রেখো
মনের ভাষা বুঝে দেখো.....
অজান্তেই মিষ্টতা মুখের
চাবিকাঠি হবে সুখের.....-
আমার আবেগী শব্দরা এখন নিয়ন্ত্রণে,
অশ্রু হয়ে ভীড় জমায় চোখের কোণে।-
স্নিগ্ধ নীলাভ দিবা আলোয় শিশির ভেজা কোণঠাসা অবসাদ।
নিদ্রাচ্ছন্ন নিরবধি কোলাহলে- অঙ্গরঙ্গে নিপীড়িত অবশ ছাদ।
শুধু কুৎসিত মনগুলো বাস্তবে এখন অট্টহাস্য করে যাচ্ছে,
সূর্যমগ্ন হয়ে দিবানিশির চিরসত্য গুলো ভয়ঙ্কর ভাবে জেগে উঠছে।।-
বৃষ্টিভেজা দিনযাপনে মেঘলা ওই নীল আকাশ,
মনখারাপি বিজ্ঞাপনে ডিপ্রেশন আমার বারোমাস...-
মুঠোফোন হাতে তাের নামেরই কবিতা,
Insomnia-এর আকাশে জাগছে চাঁদ,
লাল কালিতে তাের রােল A4 পেজে,
ডিপ্রেশন পেতেছে স্লিপিং–পিলের ফাঁদ...
-