সম্পর্ক!
নতুনের তকমা খসে পড়ছে গা বেয়ে
যে শ্রাবণের বৃষ্টিতে টানা বারো মাস ভেজা একগাছা চুল
কাঁটায় জং ধরলে, পরিপাটি করার দায়িত্ব বেড়ে যায়।
নতুন রং লাগাও
দেখতে চাওয়ার অসুখে সবটা কেমন ফ্যাকাসে আজকাল
যে বৃষ্টি মন ভালো করতো
সেও ঠকালো! আসবে বলেও এলো না
এমন অবস্থায় জীবনানন্দের পেনের কালি শুকিয়ে আসে
পরের লাইনটা ভেবে ফেললেও
আর লেখা হয়ে ওঠে না।-
শীতলতার আনাগোনায়...
কবির বেহিসেবি কবিত্ব হৃদয়,
প্রকৃতির ডাকে হতে পারে না নির্দয়।
তাই ছুটে যায় কবিমন সব ছেড়ে,
জীবনানন্দের ধারাতে বারেবারে।
-
|| বিদেশিনীর প্রেমে ||
তার বুকের রাবীন্দ্রিক ক্ষত
আমার জীবনানন্দ ছুঁয়ে গেছে,
কাদম্বরীর কানের স্বর্ণদুল
নাটোরের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে।
( সম্পূর্ণ কবিতা ক্যাপশনে... )-
আমি ধূসর পদ্যে হারিয়ে যাওয়া কোনো 'আরব বেদুইন',
শীতের রোদ্দুরে বোবা সাজে রক্তে ভেজা 'ট্রাম লাইন';
'শঙ্খচিল' না 'শালিক' হবো—আজ নিজেই পড়েছি ধন্ধে,
আমার কাব্যি গণ্ডী টেনেছে তোমার জীবন–আ–নন্দে!-
যেসব মানুষ ভীষণ একা, সমুদ্রের কাছে ঋণী
তাদের কাছে জীবনানন্দের, ঋণ শুধু ঋণ-ই ।
-
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে
...
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়...
-
ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম- পউষের রাতে-
কোনোদিন আর জাগবো নাজেনে
কোনোদিন জাগবো না আমি-কোনোদিন জাগবো না আর-
----জীবনানন্দ দাস (অন্ধকার)-
আমার জীবনানন্দ
—দীপক বেরা
হতাশা, বিপন্নতাবোধের
একটা 'ধূসর পান্ডুলিপি' জীবন
ভালোবাসাহীনতার ক্ষত-বিক্ষত আত্মার
নির্জন কবিতার নাম জীবনানন্দ-রেখচিত্র!
আমার ছন্নছাড়া, মার খাওয়া, পোড় খাওয়া
ক্লিন্ন জীবনের আশ্রয়স্থল।
তুমি জীবনের, নাকি মৃত্যুর?
প্রশ্নচিহ্ন উঠে যায় বারবার...
আসলে—
তুমি জীবনের মধ্যে মৃত্যু আর মৃত্যুর মধ্যে জীবন
কোলাহলের মধ্যে নীল নির্জনতায়
মিলেমিশে একাকার...-
ফুরায়ে গিয়েছে যা ছিল গোপন স্বপন ক'দিন রয় !
এসেছে গোধূলি,গোলাপীবরণ ,এ তবু গোধূলি নয় !
-