সন্ধ্যের কুয়াশা শরীরে ভার হয়ে নেমে আসে ,
বাকি পথটুকু আমি হেঁটেই যাবো ।
না , কোনো মিরাকল্ নয় ,
কুয়াশাকে ঘাসের বুকে শিশির হয়ে যেতে হয় ।
শুধু কিছুটা সময়ের অপেক্ষা -
ভোর হতে বেশি দেরী নেই ...
( চোখ থাকুক ক্যাপশনে )
-
|| আগমনী ||
শিউলি ঝরা ভোরের উঠোন, শিশির ভেজা ঘাসে,
কাশের বনে লাগলো দোলা, ওইযে উমা আসে।
আকাশে বাতাসে আগমনী সুর, সাদা মেঘে ভাসে মায়ের কি নূর,
ঢাকের আওয়াজ, ধুনুচি নাচ, প্রাণ খুশিতে ভাসে।
শিউলি ঝরা উঠোন জুড়ে ওই যে উমা হাসে।।
(তোমার) মৃন্ময়ী রূপের ছটায় মা গো সাজুক মর্ত্যলোক,
হরণ করো দুঃখ, বিষাদ, মহামারি, ক্লেশ, শোক।
তোমার রাঙা চরণে মাগো দুহাতে দিই অঞ্জলি তুলে,
ভুবনমোহিনী হাসিতে তোমারই জয় জয়কার হোক।
তোমার রূপের ছটায় মা গো হরণ করো শোক।।
পৃথিবী আবার উঠুক ভরে নব চেতনায়, প্রাণে-
শঙ্খনিনাদ, উলুধ্বনি, বো-ধ-নে-র সুরে-গানে।
মন্দ্রিত হোক ধ্যানমন্ত্র, দিকে দিকে তবে হোক জাগ্রত
শুভ চেতনা, আলপনা আঁকা প্রভাতী আমন্ত্রণে।
পৃথিবী আবার উঠুক ভরে বোধনের সুরে-গানে।।-
এই শারদীয়া অন্যরকম, অকাল মহামারীর রেশ
আগমনী শুভেচ্ছায়, মানুষের গৃহবন্দী বেশ।
উমা এসেছে বছর ঘুরে, শোধিতে প্রকৃতির ঋণ
আকাশে মেঘের খেলা, ঢাকের সুরে লাগে আশ্বিন।
শিউলি মাখা মায়ের পদধ্বনি, মিঠেল রোদ্দুর
কাশ বন অপরূপা, বাতাস মাখে আগমনীর সুর।
সময় ফিরুক আগের রূপে, মায়ের অপার মহিমায়
মুক্তি হোক বন্দী দশার, পূজিত উমা শ্রদ্ধার উপমায়।
নিধন হোক মহামারীর, সুখ সময়ের আচ্ছাদনে
আগমনী বার্তায় ভুবন আবৃত,মায়ের পুন্য দৃষ্টিকোণে।
-
শারদ আকাশ, অরুণ প্রভায় শিশির ভেজা প্রাতে,
দেবীপক্ষের শুভারম্ভে আনন্দে মন মাতে।
মহালয়া সুর, আগমনী গান, মধুর চণ্ডীপাঠ,
তর্পণ স্নানে, তব আহ্বানে মুখরিত মাঠ ঘাট।
দশভূজা মা অসুরনাশিনী, অন্নপূর্ণা, মহামায়া,
সঞ্জীবনী মন্ত্রে তোমার অকালবোধন শুরু হোক।
তব পদধ্বনি মুছে দিক যত অশুভ শোকের ছায়া,
মঙ্গল করো বরাভয় দানে, প্রাণ ফিরে পাক মর্ত্যলোক।।-
আকাশে বাতাসে শারদীয় সুর,
কন্ঠে প্রকৃতির নতুন তান,
পেজা তুলো আকাশে ভেসে
ছড়ায় খুশির আগমনী গান।
সোনা রোদে হাসির ফোয়ারা,
সঙ্গ দিয়েছে চিকিমিকি বালি,
কুমোরটুলির মাটির গন্ধ,
আর মন কেড়েছে সুবাসী শিউলি।
কাশের বনে খাস খবর,
ধানখেত ভরেছে সবুজে,
পদ্ম গাছে কুঁড়ির মেলা,
সৃষ্টি আজ নতুন রূপে সেজে।।-
দৈবনির্ভর ভদ্রবর্গ
জরায়ুভেদী অশ্রু কাড়ে
সনাতনের মূঢ় তর্পণ
দেবীপক্ষেও আঁচড় মাড়ে।-
শিশির ভেজা ঘাসের ওপর,
শিউলি ফুলটা পড়লো খসে।
মাকে বরণ করতে এবার,
প্রকৃতি সেজেছে নতুন বেশে।।-
ভালো থাকার ইচ্ছেটুকু, বাঁচিয়ে রেখেছি আজ যত্ন করে সাজিয়ে।
মনের মধ্যে গভীর, এক দীর্ঘ নিশ্বাস, বেয়ে আসে শীতল হাওয়ায় মতো।
একমুঠো খুশি যেন, এসে ধরা দিলো মনে পুরোনো স্মৃতি স্বরণ করে।
হয়তো কালের স্রোতে ঘটে গেছে অনেক পরিবর্তন, এখন আগের মতো ঠিক নেই আর কিছুই। শুধু রয়ে গেছে আগমনীর এই কয়েকটি আনন্দের অনুভূতি যা এক স্বরণীয় দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, আরো একবার।-