তমসা•••🍁❤️   (©তমসা...✿♡)
1.3k Followers · 136 Following

read more
Joined 15 April 2019


read more
Joined 15 April 2019

এমনি করেই মন ভাঙে রোজ
কেউ ছাড়লে হাত,
শাস্তি দেবে কাকেই বা আর,
চাইবে বা কার সাথ?

তার চেয়ে বরং একলা বাঁচো,
সরিয়ে দূরে ভয়
নিজেই নিজের বন্ধু হয়ে
                  জীবন করো জয়।

-



গোধূলির রঙ আঁকে পশ্চিম আকাশ,
উষ্ণস্রোতে ক্রমশ ভারী হয় শরীরআদল...
ছেড়ে ছুড়ে আসি সব বাদ-প্রতিবাদ,
ভেসে ওঠে দু’চোখে স্মৃতির কালো বাদল।

ব্যথার দাগে ভরে যায় হৃদয়প্রাচীর,
ফাঁকা থেকে যায় যত্নে সাজানো মনের ঘর,
ঝড় ওঠে সহসা ভেঙে যায় বিশ্বাসবাঁধ,
সীমারেখা টেনে দেয় নীরবে ধূ ধূ বালুচর।

-



সময়ের পরতে ঢেকে গেছে সব অতীত,
ভেঙে যাওয়া স্বপ্নেরা আজও ঘরছাড়া।
বাতাসে মিশে গেছে ধোঁয়া ওঠা বিশ্বাস,
চলতি পথের পাশে ঝরা গল্পেরা...

অপেক্ষাযৌতুক উপহারে পাওয়া চোখে
এখনও প্লাবন নামে অলিখিত বন্যার।
কষ্টের আঁচে পোড়া এ হৃদয় অবশেষে
বুঝেছে, সব প্রতিশ্রুতি পায় না সংসার।

-



দীর্ঘশ্বাসে ঘনিয়ে আসে মেঘ,
শোকের কপাল চুঁইয়ে পড়ে আর্দ্র অসুখ-জল,
ঝাপসা দেখায় সেই অবেলার স্মৃতি,
মনের মধ্যে বাড়ছে ক্রমে নীরব কোলাহল।

বুকের মাঝে জমাট বাঁধা ক্ষত,
মধ্যরাতের আস্কারাতে ধূসরতায় লীন।
ডাকনামগুলো আজও ভবঘুরে...
একাকীত্বই সঙ্গী হয়ে বাড়ায় স্মৃতির ঋণ।

-



এবার তবে ভাঙুক নীরবতা,
কফির কাপের ধোঁয়ায় উড়ুক রাগ অভিমান যত...
এবার তবে দূরত্ব হার মানুক,
পশলা মেঘের বৃষ্টি মেখে ভিজুক বুকের ক্ষত।

এবার আবার পাশাপাশি হাঁটা,
ভুলক্রটিদের হিসেবনিকেশ থাকুক না হয় তোলা,
সম্পর্কের শিকড় হলে বিশ্বাস, ভরসা,
থামে না কখনও দুটি মনের একসাথে পথচলা।

-



একটা নামের আখর জুড়ে হেমন্তিকার মায়া,
চোখের তারা ভরিয়ে রাখে অসম্ভবের আলো...
একটা মেয়ের হাসির আদল ছুঁয়ে
ছলকে পড়ে অনন্ত সুখ, নিভিয়ে সকল কালো
সেই মেয়েটার কলম ছুঁয়ে কাব্য রটে রোজই,
রং তুলির নিখুঁত টানে প্রাণ পায় মুহূর্তরা...
সেই মেয়েটার নামেই ফিরে আসুক
বছর বছর জন্মদিনের এমন রঙিন স্বপ্নেরা।

সেই মেয়েটা মায়ের মতই খুব আদরে, বুকে
আগলে রাখে যত্নে ভীষণ নিজের স্নেহের ছায়ায়।
কথার ভাঁজে বিশ্বমোহিত জাদু,
মনখারাপে হাতদুটো তার পরম শান্তি বাড়ায়।
রামধনু রঙ রাখছি এঁকে আজকে তার দিনে,
আকাশভরা ভালোবাসা, শুভেচ্ছা রাশি রাশি...
সেই মেয়েটা থাকুক ভালো সবাইকে সাথে নিয়ে,
বলছি তাকে, ও মেয়ে তোমায় বড্ড ভালোবাসি।

-



তোমার লেখা কবিতার শেষ পংক্তিতে আটকে আছি এখনও (নিছকই অর্থহীনভাবে)।
এখনও অস্ফুটে আওড়ে চলেছি আত্মত্যাগের মন্ত্র, আর তোমার নাম...
যে উর্বরতার আদরে এতকাল মায়া লালিত হয়েছিল, আজ সেখানে গজিয়ে উঠেছে অদৃশ্য পরজীবী।
চিতা জ্বলেছিল যে শ্মশানে, সেখান থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি পরজন্মের আহার...
এখনও অনেকটা পথ পেরোনো বাকি।

একটুকরো আশ্রয়ের জন্য একটা কোল খুঁজেছিলাম, (হয়তো তোমারই)।
আমায় ব্রাত্য করে তুমি দূরত্ব চেয়েছিলে। আমি শীতল রাত্রির নির্জনতার সাথে চুক্তি করে,
স্পাইরাল বাইন্ডেড প্রেম আর অভিমানের পার্থক্য বুঝতে বুঝতে
কাটিয়ে দিয়েছি এতকাল।
বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া দুটো ছায়াপথের কিনারা খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে গেছি পৃথিবীর শেষপ্রান্তে,
তবুও নির্দ্বিধায় এগিয়ে গেছি তোমার দিকে...

দ্যাখো, আজ কেমন গড়িয়ে পড়া দুঃখ, শীতল থেকে শীতলতর করে তুলেছে কৃষ্ণপক্ষের শেষ রাত।
সেই অভিমান আর প্রেম আজ কেমন মুখোমুখি...
অথচ সেই আগের মতো করে তোমাকে ছুঁয়ে দেখার স্পর্ধাটুকুও আজ আমার নেই।

তবে আমাকে কেবল তোমার কবিতায় লেখা ভালোবাসার অর্থটুকু বুঝিয়ে দিও।

-



আমার আকাশ আজও আলোহীন, জ্বলেনি সন্ধ্যাতারাও,
নিঃসঙ্গতায় কাটে না প্রহর, ক্লান্ত এ মনপাড়াও।
এখন কেবল ভেসে যাওয়া– অচেনা কোনও স্রোতে,
আড়াল করে গভীর ক্ষত, বুকের গোপন খাতে।

-



ময়লা মেঘের ইলশেগুঁড়ি, জানলাকাঁচে জমছে ভাপ,
শ্রাবণরাতের আস্কারাতে বাড়ায় কেবল মনঃস্তাপ।

চোরাবালি আঁকড়ে ধরে কাটছে জীবন, রাত্রিদিন–
চোখের কোণায় অথৈ নোনায় আঁচড় কাটে স্মৃতির ঋণ।

-



এমন মনকেমন করা শ্রাবণের শেষ সন্ধ্যা। পাড়াগাঁয়ের চায়ের দোকানের কানাঘুষো...

অন্ধকার একটু গাঢ় হলেই দেখি তুমি বিশাল থেকে বিশালাকার ধারণ করো
দূরের ওই আকাশটার মতো, শান্ত নীরব নিঃশ্চুপ... তবু কাছে আসো না, ছুঁয়ে
দেখো না আর এই জাগতিক যা কিছু। অথচ আমি স্পষ্ট দেখতে পাই,
তোমার বুকের পাঁজরে লুকিয়ে রাখা অসহনীয় যন্ত্রণার দল রোজ গর্জন করে ওঠে
অশান্ত মেঘের মতো। অথচ আমি বুঝি, রোজ নোনাজলের ধারায় রক্তস্নাত হয়ে
ওঠে তোমার বুকের শুকনো মাটি।

এরকম তো কথা ছিল না? তবে কেন আজও তোমার শাড়ির আঁচলে লেপ্টে থাকা
আমার শরীরের সুবাস, ডালিমরঙা বিকেল, কিম্বা ধরো তোমার এলোচুলের
ঘন কালোয় মিশে যাওয়া আমার জীবনের সব অন্ধকার থেকে তুলে আনা
অসংখ্য স্মৃতির কোলাহল, নির্জনে আঁকড়ে ধরো?

এক লহমায় সবকিছু ছেড়ে ফাঁকি দিয়ে আমার চলে যাওয়া... মেনে নাও। মেনে নাও, পৃথিবীর এ কঠিন নিয়ম।
জানি, আমি অপরাধী তোমার কাছে। যে অদৃশ্য রৈখিক দূরত্ব সবকিছু নিরর্থক করে দিল,
যে অপরাধে তোমায় শুধুই উপহার দিয়ে এলাম আজীবনের পাথরশোক,
সে ব্যবধান যে আলোকবর্ষের! আমি নিরূপায়!

কানাঘুষো মিলিয়ে যায়। আমি দু হাত পেতে সযত্নে কুড়িয়ে নেই
বিন্দু বিন্দু তরল অভিমান এমন মনকেমন করা শ্রাবণের কোনও এক শেষ সন্ধ্যায়...

-


Fetching তমসা•••🍁❤️ Quotes