মনের ওপর মনের ছায়া পড়ে।
ভালোবাসা কুঁকড়ে ওঠে অসহ্য যন্ত্রণায়।
যে রোদ তোমাকে দিয়েছি,
সে রোদ দিয়ে তুমি বাসা বাঁধো
নিরিবিলি নদীর তীরে।
আমার মেঘলা আকাশ,
বৃষ্টিভাসানো দিন,
ভারী হয়ে আসা চোখের পাতা,
স্বাদ চলে যাওয়া জ্বরের বিকেল-
সমস্তই কবিতার রসদমাত্র।
কথা বলে না,
চিৎকার করে না,
ছল চেনে না।
কেবলই ধীর পায়ে হেঁটে যায় ছাতিম বিছানো পথ।
মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,
যেদিন অবেলায় ঘুম ঘুম পায়,
যেদিন সবাই ছেড়ে চলে যায়,
যেদিন তুমি অনায়াসে মিথ্যে কথা বলে চলো!-
#বালিশ_ছেঁড়া_স্বপ্নধোঁয়া_উড়ছে_উড়ুক
#প্রেম_... read more
একদিন
প্রজাপতিডানা রোদ ছিল
আর
মনজুড়ে বেলুন ওড়ানো সুখ।
তারপর
আমাদের আলোর বৃত্তে এক হয়ে যাওয়া জীবন
একে অপরের পরিসীমা পেরিয়ে চলে গেছে কতদূর...
তবু গান ছেড়ে গেলো কই?
সেখানে কথায় কথায় মেঘ হয়ে আছো তুমি।
সেখানে তোমার বাড়ি আসা যাওয়া, ব্যস্ততা, অবসর,
অভ্যাস, অনভ্যাসের হিসেব নিকেষ!
আর আমি?
ইচ্ছে করে
কিছু নাহোক আমিও একটা গান হয়ে থাকি,
থাকি তোমার ঘুম না আসা দুপুরে সীমাহীন বৃষ্টি হয়ে।
পারো তো সত্যি বলো,
এমন কোনো গান কি থেকে গেছে তোমার কাছেও?-
ভালোবাসা আমায় পেরিয়ে চলে যায় ঝাউবনের শুকনো পাতা মাড়িয়ে। তিন পাহাড়ের ঘূর্ণিপাকে হাওয়া হয়ে যেতে যেতে বলে," সাড়া দাও, সাড়া দাও"। আমার সমস্ত শরীর থেকে উঠে আসা শব্দগুচ্ছ ঠোঁটের কাছে এসে সংজ্ঞা হারায়। তোমাকে দেওয়ার মত আমার আর কিছু যে বাকি নেই! একটা প্রত্যুত্তরও না! একটা জীবন, একটা বারান্দা, তুলসীমঞ্চ, জামরুল গাছের পাতায় জড়িয়ে থাকা একফালি রোদ... কিচ্ছুটি না। তুমি অলীক, তুমি বইতে পড়া রূপকথার গল্প, তুমি কোনোদিনও সত্যি হবেনা। তবু একদিন স্বপ্নের ভেতরে শালপাতায় মুড়ে এনে দিয়েছিলে বেলীফুল। তাদের গায়ের বিন্দু বিন্দু জল আমার চোখের পাতায় এলিয়ে আছে আজও। আজও তাদের মাতাল করা গন্ধ আলতো হাতে জড়িয়ে রাখি চুলে। এইযে আমার এক শালিখের প্রাণ হৃদয় নিংড়ে যেতে দিয়েছিল তোমায়, মুগ্ধ হয়ে বিকেলচোখে তাকিয়ে দেখেছিল তুমি সবুজ পায়ে ক্রমশ চলে যাচ্ছো বসন্তের দিকে। সেখানে পক্ষীশাবক নতুন ডানা ঝাপটায়, ঐখানে সংসার, ঐখানে মায়াপ্রপঞ্চময়। তোমার চলে যাওয়া যেন ভালো হয়, আলো হয়।
-
এহেন বিকেল তোমার দু'ঠোঁট চেনে
চেনে উড়োচুল ধুলোদের ছোঁয়াছুঁয়ি
টান মেরে তাকে বুকে টেনে নিই যদি
রোদ ঢলে যায় গাছেদের কাছাকাছি
তুমি কি আমার জ্যোৎস্নায় ভেজা কথা?
তুমি কি আমার এক আবদারে হামি?
ঝড় এলে যারা পাশাপাশি এসে বসে
তুমি কি তাদের সোহাগের প্রতিনিধি?
আমি তবে হই চুপতারাদের আলো
তোমার উঠোনে ঝ'রে পড়া শেষ পাতা
দুপুরের প্রেম ম্যাটিনি শোয়ের মাঝে
আমি হয়ে যাই চোখেদের যাওয়া আসা
তোমাকে তখন পাহাড়ের মত লাগে
আমি একরোখা ঝর্ণার রিমঝিম
স্পর্শ নীরব, আগুন করেছো আমায়
এক চুম্বনে বারুদের গান শিখি
পথচলতি কবিতায় ঘোরাফেরা
তুমি তুমি করে বারুদের গান লিখি-
এখন তো সে রোদের মাঝে ছায়া
সেই ছেলেটার অলীক যেন চোখ
মেঘের মোড়ক জড়িয়ে দিলাম গায়ে
একফালি দিন অবাধ্যতার হোক
একফোঁটা রাত, স্বপ্ন এবং মায়া
তারায় তারায় বিলিয়ে দেওয়া গান
দেখছি তবু চোখ ফেরেনা কেন?
দিই ভাসিয়ে ছোট্টটি সাম্পান
হাওয়ার টানে পেরিয়ে গেল স্রোত
পেরিয়ে গেল জোয়ার মাপা দিন
ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটা নিয়ে মুখে
সেই যেখানে বৃষ্টি বাকি ঠিক
বৃষ্টিহীনও এক চাতকের ঠোঁট
সহজ তো নয় সহজ করে পাওয়া
আদরধোয়া চিলেকোঠার ঘরে
সেই ছেলেটার উথালপাথাল হাওয়া
বকুল ফুলের দিব্যি দিলাম তাকে
যেই ছেলেটার উথালপাথাল হাওয়া-
গুলিয়ে গেছে জলের ওপর রোদ
গুলিয়ে গেছে বৃষ্টিদিনের স্তব
তোমার চোখের আয়না জগৎ খুলে
আমায় করো অবাধ্য আলপথ
আমায় নেহাত শূন্য হতে হলো
হতেই হলো আধেক পড়া বই
ফুরায় যারা খুচরো প্রেমের মত
তাদের আমি একান্ত হইচই
তাদেরকে দাও অন্ধকারের আলো
তাদেরকে দাও পর্দাওড়া দিন
বিষম তাপে বাষ্প হলো যত
সেসব জলের অতীত মাপা ঋণ
সেসব গল্প ছোঁয়ার আগেই সোনা
দুঃখী মেয়ের ভালোবাসার বই
এইতো ছিলাম মানুষ মানুষ বেশ
এখন রাতে নিঝুম হয়ে রই-
কথাদের সমুদ্র দেখা হলোনা।
রাখা হলোনা বালিতে পা, দিগন্তে চোখ।
নদীর চিরবহমান জীবনের
একান্ত পাণ্ডুলিপি নিলাম হল।
ধূসর ছেঁড়া ছেঁড়া অক্ষরে ছিটিয়ে গেল তারা
এপার-ওপার!
নিজেকে ভেঙেচুরে এই গল্পের অন্তিমে
আমিও এখন নীল।
একদা মেঘ ছিলাম,
আমারও পাহাড় ছিল।
তুমি ছেড়ে গেলে!
আমি মানুষ হয়ে ফিরে এলাম।-
আমি অস্থির, এলোমেলো।
অসম্ভব উদ্বেগে প্রাণপণে মুঠো করি হাত।
সংযত মাঝরাত,
আমার দু'হাতে আগুন।
আরো কিছু পুড়ে যাওয়া বাকি,
আরো কিছু পোশাকি ব্যথা
ঘুমের ভেতরে ভেতরে আমায় করুক ছাই।
আমায় স্থানু করো কাল্পনিক ঈশ্বর!
এ রুদ্রনৃত্য শেষে
নতুন জন্মের গহ্বর থেকে উড়ে যাক
সেই আশ্চর্য ফিনিক্স!
-
মানুষ খুঁজতে খুঁজতে
আমিই না-মানুষ হয়ে গেলাম।
একান্ত কৈশোরে
আমার চোখ না বাঁধার স্বপ্ন
আমায় ছেড়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে অনেক দূর।
এখন শুধুই গান্ধারীজীবন।
আনন্দ অলীকই।
এখনও কথার ওপরে কথা ছড়িয়ে দিচ্ছি
নিস্পন্দ শ্মশানে।
ভেতর ভেতর জানি
নীরবতাই আমার শ্রেষ্ঠ সাজ।
-
সেই স্তব্ধতা আমি চিনি।
যেখানে জল স্নিগ্ধ অচল,
একা একা বসে থাকি ভিজে।
আমারও আঁচল লুটিয়েছে কারো পায়ে।
একদা যত ফুল ফুটেছিল গানে
তাদেরও প্রাণের বায়ু
এমনি বালির পরে জ্যোৎস্নার মায়া মেখে
হয়ে যায় ক্ষয়!
আর তুমি আমি, আমাদের প্রেম
কোন্ মুখে করি অমরত্বের আশা?
ভালোবেসেছ ঋত?
এসো তবে
সময়ের মরীচিকা জলে
আজ তোমারও স্নান।-