❣️ সঞ্চারী ❣️   (sanchari)
662 Followers · 219 Following

read more
Joined 10 June 2019


read more
Joined 10 June 2019

দিন কি আমার মৌতাতে যায়
বিকেলঘুড়ি স্পর্ধা চেনায়
আকাশ ছিঁড়ে গণ্ডি হারায় সুতো

সবার মাঝে একলা হলাম
বন্দীঘুঘুর দুঃখ হলাম
সে কার চোখে হারিয়ে যাবার ছুতোয়

সেই মনেতেই গলছে সোনা
বিদ্যুতে আর চমকাবোনা
ঝুমকো ঝড়ের হারিয়ে যাবে ধুলোয়

ওড়নাটি তার বাঁধনি ছাপের
মনখারাপের নভেম্বরে
বৃষ্টি হয়ে জুড়ায় মেঘের ক্ষত

হেমন্তে সে আসবে জানি
নীল কুয়াশার সুরমাদানি
তোমার তো আর পাইনা দ্যাখা অত

তারপরে দিন আসবে আবার
আলোর ঢলে জীবন উজাড়
ফানুস উড়ায় মানুষ রাতের যত

দেদার বিকোয় আতশবাজি
মন পোড়ানো সে ফুলঝুরি
এ কোন্ আলোয় আমিও চন্দ্রাহত

-



তুমি আমি আর এই যে ইশারা
সহজ কোমল আহ্লাদী
অথচ
যা কিছু জলের মত সহজ,
মুঠোয় ধ'রে রাখা যায়না চিরকাল
চুঁইয়ে প'ড়ে যায় যদি
আমাদের বোঝাপড়া?
ভয় কি!
সমুদ্রের মত দুই বাহু বাড়িয়ে দিতে পারো যদি
আর মহাকর্ষের মত প্রেম...
আমি আছি
আর আছে নক্ষত্রের আশ্বাস,
এই বেলাভূমিতে সর্বস্ব হারিয়ে বসে থাকা এক নারী!
দ্যাখো তার ভীষণ শূন্যের মাঝে যদি কিছু খুঁজে নিতে পারো।

-



দুঃখ পেলে মনে হয়, কবিতা আমায় দিয়ে গেল মাটির কাছাকাছি এক বন্ধুগাছ, রূপকথায় হারিয়ে যাওয়া বাবা-মা, অসময়ে চোখের জল ফেলতে পারব এমন হাঁটুগোঁজ ক'রে ব'সে থাকা অসাড় বিকেল। দুঃখে থাকলে মনে হয়, তার সমস্ত দুর্বোধ্য পংক্তিরা কাঁধে হাত রেখে বলছে," তোমার ঐ না-পারাগুলো দিয়ে আমাদের দুটো ডানা বানিয়ে দেবে? দেবে ঐ চেপে রাখা চিৎকার থেকে আশ্চর্য কোনো সুর? ভেতরের অন্ধকার থেকে মায়াপরবশ জ্যোৎস্না?"। কিছুই দিতে পারিনা। কিছুই দিতে না পারলেও কেউ কি থেকে গেছে কোনোদিন? আমি ছেড়ে গেলেও কেউ কি বসে থেকেছে অসীম অপেক্ষায়? কেউ থাকেনা, এতকাল ভেবেছি, শৈশবের স্নেহবন্ধন সরু হতে হতে অচিরেই ছিন্নবস্ত্রের মত ছেড়ে যায় দেহ, আদরের আস্তানা হয়ে ওঠে বদ্ধ কারাগার। কেবল তারই মাঝে, বিষম দুঃস্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা তৃষ্ণায় ওরা ফিরে এসেছে বটগাছ হয়ে। সুখের সময় যারা মরীচিকা হয়ে মিলিয়ে যায় শূন্যে। কান্না পেলে বাতাস ভারী হয়ে এলে আবার এসে দাঁড়ায় শত বছরের প্রাচীন ঝুরি নিয়ে। লতায় পাতায় অজস্র অক্ষর, আমার আশ্রয়। যত হারাই তত ফিরে ফিরে পাই। ততবার দেখি হালকা হয়ে এসেছে মন, চারপাশে তখন শুধু জুঁই ফুলের গন্ধ, ফুরফুরে হাওয়া আর সেই চিরন্তন আশ্বাস। ওরা আছে, ওরা থাকবে।

-



যতদূর যেতে হয় যাব।
লোকালয় ছেড়ে ঐ নির্বাক মেঘেদের পাড়া,
তোমাকে জানব,
বর্ষাকে যেমন জেনেছে ক্ষীণকায়া নদী।
সেদিনও এমন সন্ধ্যের মুখোমুখি
ওষ্ঠে ওষ্ঠে কি অকস্মাৎ বিদ্যুতের মাস!
বর্ষাতি ফেলে কারা সব ছুটে গেছে জলে।
এই ঘাস এই মাঠ বৃষ্টির তীর বুকে নিয়ে
বিড়বিড় করে চলেছে মাটির প্রথম কবিতা...
দেখো
ঝাপসা নিয়ন আলো চোখে
আমি শক্ত ক'রে ধ'রে আছি তোমার হাত।

-



ভালো আছি।
বিন্দুবৎ শিশিরের মত আগলে রাখবে
এমন দুব্বো পেয়েছি কাছে।
এখনও তোমার কথা মনে পড়ে-
ভালোবাসার ফাঁকে,
বিদ্রোহের ফাঁকে,
শুধু সেই ঘুড়ি কেটে যাওয়া দুঃখটা নেই!
শুধু সেই পাখি পাখি উড়ে চলা নেই!
তৃতীয় নয়ন থেকে মেঘ সরে গেছে কবে;
অন্ধকারে অন্ধকারে এখন বুঝি
চাঁদের ছায়া আরো স্পষ্ট হয় জলে
যেন কোনো পার্থক্য নেই
দীঘিতে আকাশে।

-



তোমার মেঘের মাঝে শরীর বিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। দাঁড়িয়ে আছি অসমাপ্ত ঝড়ের মাঝে। আগে বলতাম ভালোবাসলে তাকে নিয়ে লিখতে পারিনা কিছু! আগে কী বলতাম, মিলিয়ে যাচ্ছে, চোখ কটকট করছে আচমকা ধুলোয়। সাদা থান উড়তে উড়তে ময়দান বেয়ে ব'য়ে আনছে অশরীরী দুঃখ! আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে আমার চুলে, হাতের পাতায়... এখন কেবলই সেই মেয়েটার জন্য আমার কষ্ট হয়, যার না হওয়া প্রেম তৃষ্ণার্ত গলার নলি ছিঁড়ে হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। বোরো ধানের ক্ষেতে না ব'লে ক'য়ে আসা বৃষ্টিতে আর কেউ মাথায় ধরে না মস্ত এক কচু পাতা। ক্রমে ওদের ছায়া এসে পড়ছে আমাদের চোখের ওপর। কোনো এক চৈত্রের ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে খেতে আবছা হয়ে আসছে আমাদের বর্তমান...

-



এমন আলতো রোদে জেগে
আমি ঘাসের দুটো চোখে
কেন আবিরগুঁড়ো হলাম
ঐ কাগজ ফুলের আগেই

এ পথ গেছে সে যার ঘরে
জানি সে সুরের মতই মাতাল
অনেক জীর্ণ পাতার বাঁশি
তার অন্ধরূপের কাঙাল

যদি একটিবারের মত
তাকে ভিড়ের মাঝে খোঁজো
আমি আঁচল পেতে দেব
ভেঙে বরফশীতল রাগও

হব নদীর মত মেয়ে
তোমার চোখের দু'কোন বেয়ে
অজান্তেই!

-



শীতের দোয়াত আর লেখেনা কিছুই
সকল পারাই মিথ্যে হয়ে যায়
বালির ঘড়ি সময় মাপে যখন
দেরীর পরেও সিন্ধু বয়ে যায়

জন্মদিনে কিই বা দিলাম আমি
হলুদ গোলাপ, মিষ্টি ক্ষীরের দই?
শব্দখোয়াই উপচে পড়ুক খামে
বন্ধুজীবন হোক কবিতার বই

-



সূর্য এখন গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবুঝ প্রেমিক।
সূর্য আজকাল হাতে বোনা সোয়েটারের রোঁয়া ওঠা মেঘ
যত্ন ক'রে জমিয়ে রাখে বুকপকেটের একটা কোনায়।
কিজানি কোন নাম না জানা পাহাড়গ্রামে
কার সে হাতের বাজুবন্ধ, সুগন্ধী সব স্মৃতি
জমিয়ে রাখে তুষার জমা নীল কাগজের খামে,
দ্যাখা হলেই পালকধোয়া বুকে ছড়িয়ে দেবে ব'লে
শেষ দুপুরের শীতকাতুরে রোদ!
এইতো আমার অস্তগামী সাজ,
এইতো আমার তাকে ছোঁয়ার বৃষ্টি;
আড়াল খুঁজে খুব গোপনে একলা একলা ভিজি!
সূর্য তখন পাঁচিল ঘেঁষে এসে অতর্কিতে জাপটে ধরা আলো,
ওষ্ঠ চিবুক লেপ্টে ছিল বিন্দু বিন্দু জল
ছ্যাঁত করে সব বাষ্প হল...
এসব কথা কিন্তু
তোমরা কেউ পাঁচকান ক'রোনা।

-



আমার বিবর্ণ ইচ্ছেরা প্রাণপাত ক'রে এখানে ব'সে ছিল অনন্ত রাত্রির পরে চেয়ে। তুমি জেগে উঠলে দীর্ঘ ঘুম কাটিয়ে, জেগে উঠলো স্নিগ্ধ গোলাপী তারা। সে বছর উনিশের কিশোরী এখন জীবন-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এক যুবতী। কবিতা তাকে ছেড়ে গেছে অনেক আগেই, আদতে কোনোদিনও এসেছিল কিনা এমন ধন্দ ও আছে বৈকি! তবুও মলিন ধূসর যে শহরতলী, যেখানে আমাদের কোনোদিন যাওয়া হলোনা; তোমার পায়ের ছাপে সেখানকার বরকঢাকা পথে-ঘাটে লেখা হয়ে যাচ্ছে শীতকালীন সনেট। আমার দু'হাতে লেগে থাকা অবশিষ্ট অক্ষর ঝরে যাচ্ছে শিহরিত বাতাসে। শব্দ উঠছে সমস্ত গাছের বাকল থেকে-
"তুমিই আগন্তুক, তুমিই শীতকাল আবার তুমিই এই অসময়ের অনাহুত চেরি ব্লসমস।"

-


Fetching ❣️ সঞ্চারী ❣️ Quotes