জীবন নাকি কারো জন্য থেমে থাকে না
বহমান স্রোতের মত,
শুধু ভেসে যেতে হয় কালের নিয়মে।
আর ভাসিয়ে নিয়ে যেতে হয়
পথে দেখা হওয়া নুড়ি,পাথরের টুকরো গুলোকে
কখনও উচ্চগতি,মধ্যগতি অথবা নিম্নগতি পথে।
সে কখনো প্রতিকূলতার সাথে আপোষ করে না,
উপনদী,শাখানদী বিস্তার করে
এগিয়ে চলে একশ হাত জলরঙের কাপড় পরিহিতা
এক রমনীর ন্যায়।
কখনও সে খরস্রোতা
কখনও আবার অন্তঃসলিলা।-
// বিগত //
যাবার সময় হলে চলে যেতে হবে
রেখে চলা কর্মের হিসেব-নিকেশ,
ক'রে চলবে তারা, বাকি পড়ে থাকা সবে
প্রেম-বিনিময় রেখে যাবে তার রেশ।
যাবার সময় হলে চলে যেতে হবে
নতুনকে চৌকাঠে স্বাগত জানিয়ে,
যত ভার অর্পণ ক'রে করে তবে
চলে যাওয়া, খতিয়ান কিছুরই না নিয়ে।।
যা ছেড়ে আসা এই কালের কোলেতে
কি লাভ তখন রেখে তার খতিয়ান?
কি লাভ ধাঁধিয়ে চাওয়া-পাওয়ার গোলেতে?
শুধু শুনে চলা নতুনের আহ্বান।
স্বাভাবিক এ আসা-যাওয়া, চলার পথেতে
পড়ে থাকা সব দীপে শুধু জ্বেলো আলো,
চলা তো একই কালের বহমান স্রোতে
তবু মনে হয় গত যা তাই ছিল ভাল ।।-
পুরানো ক্ষতঃ- সময় এগিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বইছে,একফালি রোদের সাথে সাক্ষাৎ সদ্য বসন্ত মনে কলেজ শুরুর শৈশব। বাবার মৃত্যুর পর নীবর কথা আরও নীরবতায় শৈলশহরে মুখ ঢেকেছে তবে সকলকে সাহায্য করা নৈতিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে পূর্ব পুরুষদের থেকে শেখা।ঘরবন্দী খাঁচার পাখির অজানা শহুরে মনের জটিল ভাষা তাদের মিথ্যা অভিনয়ের ছলনা।অঙ্কটা পারছিস না ঠিক আছে বুঝিয়ে দেব আমি... প্রথম বর্ষে রেজাল্ট খারাপ মনখারাপ করিস না বন্ধু আমি আছি।যাবি দূর দেশে পড়তে বর্ধমান স্টেশন, ভয়ে ভয়ে ট্রেনে উঠতে শেখা..! স্যার কী পড়ান না ঘুমান জানিনা তবে বাড়ি পৌঁছে তাকে খবর দিতে হতো এদিক দিয়ে খুবই খেয়াল রাখতেন।আসলে দোষ স্যারের নয় বয়স তো অনেক হয়েছিল তাই আর পড়ানোর এনার্জি ছিলো না পুরানো সব খাতা দিয়ে বলতেন লেখ...এদিকে পাহাড় প্রমাণ পড়া বাকি..!নাহ্...এভাবে আর নয় ওদিকে পথ চলতে চলতে পিতা পুত্রীকে বুঝতে পেরেছিলাম কিছুটা কিন্তু নাহ্ বলে কী হবে...!আসলে সবাই নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন।তবুও ঠিক আছে..কী হবে বন্ধুই তো..রেজাল্ট খারাপ হয়েছে মনখারাপ পাশে না থাকলে হয়..এর মধ্যে ও অনেক অধরা গল্প আছে যা মন চাইলো না তবে..আজ অনেক বছর পেরিয়ে বলছ তুমি কবি বেশ ধরে..
ভুলিয়ে দাও সব পুরানো ক্ষত..
অনেকটা সময় ক্ষতি হয়েছে, জীর্ণ আমার মূল্যবোধ...
অসহায় মনের সুবিধা নিলে তুমি...
মিথ্যা অভিনয় করলে বন্ধু তুমি..
পারবে ফেরাতে আমার সেই মনুষ্যত্ব বোধ।-
"মা"
নতুন বছরের প্রণাম জানাতে আমার মাতৃ স্থানিয়া
মহিলাকে ফোন করে ছিলাম।কথার পরিপ্রেক্ষিতে
উনি হঠাৎ আমার মাকে খুব খারাপ বলেন।আমার মা ২০১৭ তে দেহ রেখেছিলেন।মায়ের নামে খারাপ শব্দ শুনে খুব খারাপ লাগলো।কিন্তু
গুরুজন কে তো কিছুই বলা যাবেনা।তবুও নিজের দুঃখকে চেপে রেখে শুধু বললাম"মামিমা
মানুষ হিসেবে আমার মা তোমার চোখে খারাপ
হতেপারে কিন্তু মা হিসাবে ওর মতো মা কেউ হয়না। যে মানুষ আজ এ সংসারে নেই তার সম্পর্কে এমন কথা নাইবা বললেন।"তার পর থেকে আমার মন খুব খারাপ আছে।-
সময়ের স্রোতে, দুরন্ত গতিতে
চলে যাচ্ছে, জীবন নামের নৌকাটি,
দিনের পর দিন, বছরের পর বছর,
শুধুই এগিয়ে যাওয়া, অতীতের স্মৃতি
বুকের পাঁজরে আঁকড়ে ধরে, নতুনের
পথে চলা, যেন কিছুর অপেক্ষা,
কিসের এই অমোঘ আকর্ষণ,
আগামীর পথে আরও কিছু ভালো পাওয়ার
অপেক্ষা! নাকি , যতকিছু পেয়েছি হারিয়েই
চলেছি, শৈশব, কৈশোর যৌবন!
প্রিয়জনদের দুরে সরে যাওয়া ,
ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাওয়া দিনগুলো,
সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, জীবন নৌকায়
বোঝাই করে বয়ে চলেছে, অন্তর্যামী
নাবিকের টানে ।-
অফিস ফেরত পথে দেখি শহর সেজেছে নববর্ষের আহবানে, চারিদিকে আলোর রোশনাই। সাজ নেই শুধুই ওই ফুটপাথের মানুষগুলোর, যারা স্বপ্ননগরীতেও স্বপ্নহারা। হঠাৎই মনে সাধ জাগলো এদের তরে কিছু করবো। ভাবামাত্রই কাজ, কিছু উপহার কিনে রেখে দিলাম ওদের জীর্ণ বিছানার ধারে। জানি না এতে ওরা কতটা খুশি হবে, তবু ফেরার পথে আপ্লুত মনে বললাম, “শুভ নববর্ষ"।
-
তার কাছে সবটা তুমি?
খুঁজে দেখো শূন্যস্থান প্রচুর আছে
তোমার সবটা শুনছে সে?
প্রশ্ন করো একটাও উত্তর পাবে না তার কাছে
তোমার মতামতকে খুব গুরুত্ব দেয়?
সিদ্ধান্ততে নিজেকে খুঁজে পাবে না
অনেকটা গুরুত্ব তোমার প্রতি?
সে ই বেশী করে তোমার অলক্ষ্যে সমালোচনা
তোমার কষ্টে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে?
পাশ ফিরলে ওটাই দারুন মজার বিষয় তার
তোমার মিষ্টি কথাগুলো খুব পছন্দ তার?
কটুকথায় তাকে খুঁজে পাবে না আর
সব পছন্দে তোমার অভ্যস্ত সে?
খেয়াল করো উৎসাহ নয় অবহেলাই বেশি আসে
✍️ মুন্নী
-
ঐ দিন
ওটা এক দিন
একটা সভ্যতা যখন ধ্বংস হচ্ছিল, আমিও সেখানে ঘিরে রেখেছিলাম
সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অসহায়, কুৎসিত মুখ আর মুখে রক্তের ছিটা নিয়ে নীরবতার আগে তোমায় ডাকলাম।
আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করেছিলাম কিন্তু আপনি বুঝতে পারেননি, আমার দিকে হাহাকার করে তাকিয়ে থাকলেন। আমি তোমার সাথে বাঁচতে চেয়েছিলাম কারণ আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসতাম।
আমি সেই নিদারুণ অন্ধকারের মধ্যেও জীবনের পুরো আবেগ অনুভব করেছি
আর দৃশ্যটা পাল্টাতে চেয়েছিলাম, তোমার কাছ থেকে যা পেলাম, কিন্তু আমার অনুভূতিগুলো তাদের মধ্যে হারিয়ে গেল।
আমি সেই উজ্জ্বল আলোর পিছনে ছুটে যেতে চেয়েছিলাম কোন এক অজানা জায়গায় এবং আমার সমস্ত নিষ্পাপ স্বপ্নকে সেই সম্ভাবনার সাথে বেঁধে ফেলতে চাই।
কিন্তু বাঁচাতে পারেননি।
আমি আমার চোখের সামনে আমার ক্ষত এবং আমার স্বপ্নের হারানো জীবন চেয়েছিলাম, কিন্তু আপনাকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
তুমি কি জানো
এই ধরনের নিরপেক্ষতা সহজে আসে না, এটি এত সহজ নয়
জীবন্ত চোখে নিজের স্বপ্নগুলোকে নিজের কবর হতে দেখতে।
-
ডিসেম্বর
ডিসেম্বর তুমি রোদে পুড়ে হেমন্ত হতে পারবে?
ডিসেম্বর তুমি মেঘ হয়ে তাঁত বুনতে পারবে?
ডিসেম্বর তুমি কাঁচের ঘরে অক্সিজেন হতে পারবে?
ডিসেম্বর তুমি প্লুটোর ঘরে গোলাপ হতে পারবে?-