পৃথিবীতে ডাইনোসর নেই আর । ওসব বিলুপ্ত ডাইনোসর মানুষের মস্তিষ্কের শিরা উপশিরার ওপর দখল নিয়েছে ।
ওদের প্রভাবেই সমস্ত আনন্দ রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
আর্দ্রতা একমাত্র ঈশ্বরসাধনায় ।-
মনের মধ্যে যেসব ভুঁড়ি ভুঁড়ি চেতনা ওসব ভগবান । ওদেরকে শুদ্ধ করতে হয় । আকাঙ্ক্ষাতে জড়াতে নেই । ভুলবশত ওদের আকাঙ্খায় জড়িয়ে ফেললে ওরা আবার ফিকে হয়ে যায় । ওদের শক্তি কমে যায় ।
-
কাউকে ভালোবেসে নিজেকে এতটাও ক্ষয় কোরোনা যাতে নিজের ভৌগোলিক চেতনাই হারিয়ে যায় ।
ভিতরে নক্ষত্রদের ফুটতে দাও ।
দেখবে , একসময় অন্ধকার নিভে যাবে ।
কোনো অযোগ্য মানবের জন্য হৃদয় সংকুচিত করে দিও না ।
হৃদয় খুলে রাখো , হৃদয়ের ক্ষত সারাতে জোনাকি প্রবেশ করবে ।
-
ঠিক কোনখানে ?
আঘাত আজো শঙ্খের মতো বাজে ?
ঠিক কোনখানে লবন জমাট বাঁধতে বাঁধতে চোখের কলে জং ধরেছে ?
বুকের মানচিত্রের ঠিক কতটা জায়গা টকটকে লাল ক্ষত ?
তা আজো আমার অনুমেয় নয় ।
ক্রমশ অবশ হয়ে আছি ।
আঘাতে আঘাতে বিলীন হয়ে গেছে চেতনার বীজ।-
হৃদয়ের ভিতর কাঁকড়ার দংশন উপশম হয়েছে কখনো ?
হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরতর মাটি উর্বর হয়েছে কখনো ?
নাকি ভালোবাসায় আঘাত পেয়ে ধ্বংসাত্মক বুকের রক্তপিণ্ডের মালা গাঁথতে গাঁথতে নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলছি প্রতিমুহূর্তে ?-
যে হৃদয় রুক্ষ হয়েছে প্রেমিকের প্রত্যাখ্যানের অভিশাপে -
যে হৃদয়ে আহত স্থাপত্যের নিদর্শন -
হাজার হাতুড়ির আঘাতেও যে হৃদয় জেগে ওঠেনা -
সেই হৃদয় অকেজো ।
সেই হৃদয় শুধুই এক করুন মাংসপিন্ড ।
তাতে রক্তের প্রবাহ স্তব্ধ হয়ে গেছে বহুকাল আগেই ।
এখন শুধু মাঝে মাঝে সেখান থেকে লাভার উদ্গীরন হয় ।
সেই দুঃখ থেকেই জন্ম হয় বাস্তবিক বাস্তুতন্ত্রের ।
-