জন্মান্তরে বিশ্বাস জাগে তোকে হারানোর পর
যদি আরোও একটা জন্ম পাই, তুই আমার সাথেই বাঁধিস ঘর।-
💠 A strong believer in exis... read more
শুকনো প্রেম আসকারা দেয় বুকে জমা ফ্রাস্টেশন
কেউ জানে না কোথায় হবে ভালোবাসার ডেস্টিনেশন।-
ভালোবেসো, কিন্তু রেখো না কোন অ্যাডিকশন
পরিণতি তা বড্ড বাস্তব, তাতে নেই কোন ফিকশন।-
মল্লিকা ফুটুক কি না ফুটুক
বসন্ত রোজ আসে না,
কখনও সে যায় দেবালয়ে
কখনও আবার বেশ্যালয়ে।
-
হৃদযন্ত্র বিকল হলে,জ্যান্ত মানুষ হয়ে যায় লাশ
আগুন ছাড়া মন পুড়লে,আমরা হই যন্ত্রনার দাস।
-
- আচ্ছা ঠাম্মি "মনের জানালা " মানে কি? এই যে কবিতায় লেখা আছে,দেখো... মনের আবার জানালা হয় নাকি?
- হ্যাঁ দাদুভাই মনেরও জানালা হয়।মনের কাছে পৌঁছাতে হলে আগে মনের ঘরের দরজা, জানালাগুলো একটু একটু করে খুলতে হয়।
- ও ঠাম্মি কোথায় আছে সেই মনের ঘর,বলো আমাকে। আমিও যাব সেই ঘরে।
- তোমার খুব কাছেই আছে দাদুভাই। ইচ্ছে হলেই তুমি যেতে পার সেখানে তোমার কল্পনার ডানায় চড়ে।
- কি মজা! পাখির মত কল্পনার ও ডানা আছে।
- চোখ বন্ধ করে মন দিয়ে শুনে কল্পনা কর দাদুভাই। মনে কর তুমি একটা প্রজাপতি, হলুদ প্রজাপতি। উড়তে উড়তে তুমি পৌঁছে গেছো একটা সরিষা ক্ষেতে। সেখানে আরোও অনেক বন্ধু প্রজাপতির সাথে তোমার দেখা হল;কেউ লাল,কেউ নীল, কেউ বা সবুজ। দাদুভাই ,ও দাদুভাই.... মনের জানালা র খোঁজ পেলে নাকি?
- [ ফড়িং আস্তে আস্তে তার চোখ খুললো]
ঠাম্মি, প্রজাপতি থেকে মানুষ হলাম এবার।
-
জীবন নাকি কারো জন্য থেমে থাকে না
বহমান স্রোতের মত,
শুধু ভেসে যেতে হয় কালের নিয়মে।
আর ভাসিয়ে নিয়ে যেতে হয়
পথে দেখা হওয়া নুড়ি,পাথরের টুকরো গুলোকে
কখনও উচ্চগতি,মধ্যগতি অথবা নিম্নগতি পথে।
সে কখনো প্রতিকূলতার সাথে আপোষ করে না,
উপনদী,শাখানদী বিস্তার করে
এগিয়ে চলে একশ হাত জলরঙের কাপড় পরিহিতা
এক রমনীর ন্যায়।
কখনও সে খরস্রোতা
কখনও আবার অন্তঃসলিলা।-
ঝাপসা কাচের ওপারে তুমি
এই আছো,তবু নেই
জলের নকশা উবে যায়
কর্পূরের মত।
মনের চোরাবালি
ইড,ইগো,সুপার-ইগো সাঁতরিয়ে
হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায়
"জলের উপর পানি,নাকি পানির উপর জল"।
-
বদলে যাও,পাল্টে যাও
একটু করে রোজ।
এ শহরে কেউ রাখে না
একা হবার খোঁজ।।-
এমনই এক বছরের শেষের পথেই দেখা হয়েছিল তাদের। প্রায় তিন বছর ধরে তিথি আর পরাগ একে অপরের আলো - ছায়া হয়ে বেঁচে ছিল ।ভালোই ছিল দুজনে; পড়াশোনা, গান-গল্প, কবিতায় দিব্যি কেটে যাচ্ছিল সময়।
তাদের জীবনের একমাত্র দুর্বলতা তাদের মা।
পরাগের মা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেও,তিথির মা জীবনের সব ক্ষেত্রে হেরে গেছে। মেয়েই তার একমাত্র সম্বল। তিথির পৃথিবীটাও খুব ছোট, জীবনে থাকা এই দুটো মানুষকে সে ভীষন ভালোবাসে,আগলে রাখতে চায় সর্বদা। আজ তিথির মন একদম ভালো নেই। ডাক্তারের কাছ থেকে পরাগের রিপোর্ট টা পাওয়ার পর। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না সে। পরাগ তার বেঁচে থাকার অক্সিজেন,তার জীবন সাথী। পরাগ তিথিকে ভুলে যেতে পারে না, কিছুতেই না। তার চোখের জল টপ টপ করে পড়তে লাগল সেই নিষ্ঠুর শব্দটার ওপর,"অ্যালজেইমার"...-