আমরা যখন বাড়িতে নিজেদের পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি, তখন সীমান্তে দাড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কথা ভেবে দেখো, যারা দিনের পর দিন নিজেদের পরিবারের থেকে দূরে থেকে বহির্ভূত শক্তির হাত থেকে আমাদের ভারত মাতাকে সুরক্ষিত রাখছে।
সেই সেনাবাহিনী দের কুর্নিশ জানাই।-
যে জওয়ান তার প্রাণ দিলেন দেশ মা'কে ভালোবেসে,
তার প্রতিও রাজনীতিবিদদের অপবাদ পড়লো এসে।
কঠোর পরিস্থিতিতেও যারা অস্ত্র হাতে দাড়িয়ে সীমান্তে।
সমালোচনা তার না করে একটি দিন দে দেশ রক্ষার্থে।
যে মা তার সন্তান হারিয়েছে সে জানে হারানোর কষ্ট,
জন্মের পরেই পিতৃহারার করলো যারা শৈশব নষ্ট,
তাদের হোক কঠোর শাস্তি, মোমবাতি মিছিল অপ্রয়োজন,
সমালোচনার সময় আবার আসবে, আগে হোক শত্রু দমন।
-
সন্ধ্যে হল, আর দেরী করিসনে বাছা
আয় আমার কোলে..
কত শতাব্দী দিন গুনি, তোকে কোলে শোওয়াবো বলে
মত্ত মানুষ ধর্ম নিয়ে ধংস খেলায় মাতে
ওরা ধর্ম জানে না, জানলে বুঝতো
ধর্ম তাই যা মানুষকে ধরে রাখে,
রাখে বাঁচিয়ে...
অনেক কষ্ট পেয়েছিস বল!
অত বড় বিস্ফোরণ এর আঘাত
বুক চিরে গেছে, ছিটকে পড়েছে রক্তের চাঙড়..আর ভয় নেই, ঘুমো তুই, মায়ের কোলে..
তবু যদি মানুষ একবারও বুঝতো ধর্মের মানে,হয়তো বা বন্ধ হয়ে যেত সব হানা হানি..সাঙ্গ হত বুক খালি হওয়া মায়ের কান্না..ভেসে আসত না লালরঙহীনা প্রেয়সীর চিৎকার, ছোট্ট প্রাণ এর আর্তি...
আসত শান্তি, ধর্মের হাত ধরে আসত নেমে..এরা জানেনা তার মানে...এরা "ধর্ম"-এর আগে "অ" দিতেই অভ্যস্ত...
ঘুমো তুই, দেখ আর কষ্ট নেই...-
বীর বিপ্লবীর শহীদ রক্তে,, ফিরেছে দেশের সম্মান...
এবার,,ঘাম ঝিরিয়ে গড়ব এ দেশ বিবিধ মাঝে মহান....-
স্বাধীনতা হয়েছে কেবলই আমাদের দেশের,
কিন্তু আজও পরাধীনতার শিকলে বাঁধা রয়েছে চিন্তাধারা অধিকাংশ মানুষের;
আমাদের দেশ হয়েছে ৭৪ বছর স্বাধীন,
কিন্তু দেশের কিছু কিছু মানুষের মানসিকতা আজও বড়ই হীন;
নাহলে যারা স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা হাতে,
গলা ফাটিয়ে চেঁচায় " জয়হিন্দ " অথবা " বন্দেমাতরম " এইসকল ধ্বনিতে;
তাদের মানসিকতা ও চিন্তাধারা যদি না হত হীন,
তাহলে তাদের হাতের সেই পতাকাগুলি স্বাধীনতা দিবসের পরেরদিন,
ভূমিতে পড়ে ধুলোয় লুটোপুটি খেত না কোনোদিন;
কেউ কেউ আবার ১৫ ই আগস্ট ঘটা করে, করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন,
তারাই আবার পরেরদিন মাটিতে পড়ে থাকা পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়ে করে গমন;
যারা দিতে জানে না জাতীয় পতাকার সঠিক মান,
তারাই বেশি স্বাধীনতা দিবস পালনের নামে করে ঘটা করে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান;
বছরে কেবল ওই একটা দিন দেশকে না জানিয়ে সন্মান,
সারা বছর চেষ্টা করা উচিত দেশকে প্রদান করতে তার যথাযথ মর্যাদা ও মান।।
🇮🇳 " জয়হিন্দ " 🇮🇳-
স্বাধীনতা 🇮🇳
-------------
ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বরণীয় আছে হাজারো বীরের বলিদান,
রক্তাক্ত এই ভূমিতে রচিত হয়েছে কত স্বাধীনতার মধুর গান।
শহীদ হলো কত দেশপ্রেমী, মারা গেলেন যুবক ভগৎ সিং,
ভারত মায়ের এমন সন্তানদের পূরণ করা যাবে না ঋণ।
হিন্দু-মুসলিম গাইলো সবে একজোট হওয়ার মন্ত্র,
ভারত তোমার-আমার পূর্ণ স্বরাজ নিয়ামক গণতন্ত্র।
নারীরা থাকেনি পিছিয়ে, প্রীতিলতা-ঝাঁসির রানি বাড়িয়েছিল হাত,
বন্দুকের গুলিতে প্রাণ দিয়ে এনেছে স্বাধীনতা, হিন্দু-মুসলিম একসাথ।
৭৫তম স্বাধীনতায় ‘বন্দেমাতরম’ ‘জয়হিন্দ’প্রতিধ্বনিত হোক চতুর্দিকে,
স্বাধীনতার সকল শহীদরা জেগে উঠুক আমাদের পূণ্যভূমিতে।
খোলা আকাশে উঁড়তে থাক মুক্ত ত্রিবর্ণ পতাকা;
এই স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রণাম জানাই, নীচু করে মাথা।।-
ঝড়ের গতিতে গুলি টা ছুটে আসলো ,মাটিতে লুটিয়ে পড়লো কেতন !
হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠলো জীবনের আত্মচরিত !মনে পড়লো ঝিলামের কথা ।মেয়ে টা ওর প্রিয় বন্ধু ।কিন্তু কেতনের মাকে সে নিজের মাই মনে করে কারন তার নিজের মা নেই।
গত বছর সীমান্ত থেকে ছুটি পেলে যখন কেতন বাড়ি গিয়েছিল তখন ঝিলামই ওকে বলেছিল ওর মা( কেতনের)র চোখের অপারেশন করাটা জরুরি।
কিন্তু কথা দিয়েও আজ আর হলনা তা করা কারন ও যে চলে যাচ্ছে দেশের জন্য অজানার ঠিকানায়।
ও কথা তো শুধু ঝিলাম কে দেয়নি মাকে ও দিয়েছে ঝিলাম কে বিয়ে করার কথা।ওর মা ঝিলাম কে নিজের মেয়ে ই মনে করে।
কিন্তু আজ সে চলে যাচ্ছে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে করতে ।
সারা দেশ আজ তার ছেলের লড়াই কে কুর্নিশ করছে তার মা আজ গর্বিত কিন্তু মায়ের কোল আজ খালি তাই সে চেয়ে আছে আকাশ পানে তারাদের দলে ,তার ছেলে কে খুঁজে পেতে। কতৃপক্ষের টাকায় আজ তার চোখ অপারেশন সফল তাই সে দেখতে পায় আর অন্য দিকে সারাদিন কথার মাঝে বিরাম না দেওয়া মেয়ে টা( ঝিলাম) আজ যেন নির্বাক দর্শক!
-
দেখিয়েছিলে দেশবাসীকে অধিকার কাকে বলে
ভাঙ্গিয়ে ছিলে মোদের ঘুম মহা মন্ত্রের জালে
বিষ মন্ত্র পড়লো কানে হিন্দ জাগলো কোলাহলে
জন্ম নিয়ে কর্ম করে মিশে গেলে জনজোয়ারে
এখনও খুব ইচ্ছে করে দেখতে পাবো এই শহরে
পথ চেয়ে আছে যে সবাই কবে আসবে তুমি ফিরে ?-
তুমি সুখে থাকার চেষ্টা করো
আর
আমি রাখার চেষ্টা করি।
(তফাৎ শুধু এইটুকু)-