এই শীতের বিকালে গঙ্গায় ডুব দিয়ে এলো মেহেনাজ, সূর্যাস্তের লাল আর রক্তের লাল মিশে যাচ্ছে গঙ্গায়।
"শরীর বেচি ,তা বলে আমার মেয়েটাকে নিয়ে জবরদস্তি.....ছুরিটা চালিয়ে দিলাম বুক লক্ষ্য করে।"
জেলে যাওয়ার আগে, গঙ্গায় ডুব দিয়ে শুদ্ধ হলাম,মা বলতো-"মনটাই আসল , ওতে পাপ লাগতে দিসনা, শরীর তো ধুলেই শুদ্ধ"-
বালিয়াড়ি বয়ে তোর কাছে আসতে হইনা ক্লান্ত
ধৈর্য্য বুকে পাড় জাপটে, তাই সম্পর্ক জীবন্ত-
এক হাঁড়ি মহুয়া নিয়ে বসে আছে ঝিলাম, বিক্রিবাটা নেই।
দুশ্চিন্তার আকাশে ময়ূরাক্ষীর সূর্যাস্তের লাল রংটা নেশার মতো লাগছে; পাঁচ টাকার মহুয়া যে মায়ের এক একটা ওষুধ-বড়ির সমান।
মহুয়া বিক্রি না হলে যে শরীরই সম্বল !-
#চূর্ণী_নদীর_ঘূর্ণী
রূপসী নদীটার বুকে যে অমন রাক্ষুসী ঘূর্ণি রয়েছে, গেল বছর ভরা ভাদ্রে নৌকাডুবি না হলে গাঁয়ের লোক জানতো কি করে?
একনৌকা মানুষ গিলে নেওয়ার পরও কেমন অম্লান, অনন্ত শুয়ে থাকে ক্ষয়াটে নদী ; ঘূর্ণি বুকে আঁকড়ে !
সূর্যাস্তের সময় পুরনো অভ্যাস মতো তপন আজও চূর্ণীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে ওঠে —"আমার বাচ্চাটারে ফিরিয়ে দে,সর্বনাশী"!
-
সূর্যাস্ত ঘনিয়ে এলো তারপর পঞ্চায়েত বসলো।
রামচরণ বাবু বলেউঠলেন, ওই মাহারা মেয়েরই দোষ,বড়োবাড়ির ছেলে ফাঁসিয়ে টাকা নেওয়ার মতলব তার, এরকম ঠক বাজ মেয়েকে আমার ভালোকরে চেনা আছে,"আমার ছেলে গঙ্গা নদীর মতো পরিস্কার!""।।
রামচরণের কন্যা বলেউঠলো বাবা এখন কিন্তু গঙ্গানদীর জল সব থেকে ময়লা,কোনদিন আমিনা অপরিস্কার হয়ে যাই তোমার গঙ্গা নদীর জলে,তখনও কী মেনে নেবে আমি কলঙ্কিনী! তোমার ছেলে পরিস্কার!?...।।
-
নদীর ধারে অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম সূর্যাস্তের দৃশ্যটা- এত চমৎকার দৃশ্য, কিন্তু বড় যন্ত্রণা মেশানো, কষ্টমাখা সূয্যিমামার বিদায় নেওয়ার মুহূর্তটা...নাহ, নদীর নামটা এবার জানতেই হয়!
"কি নাম এই নদীটার?"- গাইডকে প্রশ্ন করলাম আমি।
ছোট্ট হেসে গাইড উত্তর দিল- " বুড়িবালাম।"
-
অববাহিকায় নীলচে সুখ,ঢেউ মাপছে ডুবুরি,
নদীর বাঁকে পলির ছাপ,সাজানো কিছু মঞ্জরী।-
পাঞ্চজন্য বাজুক আরেকবার,
কুরুক্ষেত্রে গীতার বাণী,
সেই তো সারাৎসার,
আমি কার, কেই বা আমার,
জীবন চলুক স্রোতের টানে,
দু'কুল ভাঙুক পাড়....-
ঢেউয়ের দোলায় ভাসছে এ মন,আলগা হলো পাড়
হঠাৎ যে ঝড় উঠলো মনে,চারিদিক হলো ছারখার!!-