ছোটবেলায় না চেয়েও যদি বকা খেয়ে, ইতিহাস বই নিয়ে বসতে হতো...

-

দুঃখ বেঁধে লাগামছাড়া পাড়ি
মনের সিঁড়ি বেয়ে
দীর্ঘস্থায়ী কিছু মুহূর্ত যাপন
মাঝখানে–
পাহাড়ের পথে বৃষ্টি আসে
তুমিও জানো, এবার ফেরার পালা
কেবল সুখ কিনবে বলে,
মন ভেঙে দাও অচিরেই, কিছু গোপন ভিড়ে–

তুমিই জানো, আমি কতটা একা...

-

নিখোঁজ হবো বলে...

-

গহীন রাতে অচিন রেখা
ভোরের বুকে সাঁকো–
শুরুর কথা লিখি তো রোজ
ভাঙন চিনে রেখো...

-

কিছু পুরোনো স্মৃতি, মলিন হলে
নূতনের দ্বারে ডাক–
আজ বৈশাখী রাতের কোল
সব দুঃখ মুছে যাক...

-

ভালোবাসার গভীরেও হেরে যাই–
কথা দেওয়া থাক,
তবুও নাহয়...
মন খুঁজো ভেজা বালিশে...

-

মাঝ আকাশে ফিরতি চিঠি–
উড়ো মনের টান,
তোর নামেতেই সন্ধে নামুক
সেই 'ঘরে ফেরার গান'...

-

রোজ রাতে ঠাকুরদালানে বাঁশির আওয়াজ শুনতে পান, সুবিনয়বাবু।
– কে? কে ওখানে অমল?

আজ ঝাপসা চোখে শুধুই স্মৃতি, কী ভালো বাঁশি বাজাতো ছেলেটা।

-

এক চিলতে স্বপ্ন দেখেছিল অপরাজিতা–
তবু সময়ের কালো হাত, আটকায় কে? সেদিন যখন মাঝরাতে বাড়ি ফিরছিল, সেদিনই তো। ছিন্নভিন্ন শরীর, মন, অভিলাস। বুকের বদ্বীপ জুড়ে চললো কাটাকুটি খেলা। ঘন্টাখানেকের অত্যাচার, যেন জ্বলন্ত ফসফরাস। ওর সংবিৎ ফেরে ধীরে ধীরে।

গুটি গুটি নগ্ন পায়ে ফিরে যায় বাড়ি। তবু ছন্দ পায়নি ও।
আচ্ছা নিজের ইচ্ছের আহুতি দিয়ে দেখেছেন কখনো? এই অন্তর্দহন কতটা কষ্টের আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। শুধু জ্বালা যন্ত্রণার শব্দ বুনে যাই মাত্র। একবুক বিবর্ণ পাথর নিয়ে অপেক্ষা করে, মেয়েটি। সেই সবুজ ছেলেটা'র।

-

শীতের চাদর মুড়েই
হারিয়ে যায় বেলা
এভাবেই রোজ ফুরিয়ে যাচ্ছি আমরা
সব আলো নিভে গেছে আমাদের বইপাড়ায়...

হলদে বসন্ত আড়ি পাতছে
অলস দীর্ঘশ্বাসে
তবু উৎসব শেষে ফিরিস
এই ফ্যাকাসে পোড়া মনবাড়িটায়...

-