একটা রঙচটা বিকেল,
কিছু অন্ধকারের বাষ্প....
কিছু লুকিয়ে রাখা উদ্বেগ,
বইয়ের তাক...
দুরপাল্লার ট্রেনের হর্ন
ধোঁয়াশা ভেজা ইচ্ছে।
এই বিকেলটা নাহয়
আমারই থাক।।-
একটা অলস দুপুর পেরিয়ে একমুঠো আবির ছড়ানো বিকেল আসবে।আলগোছে লেগে থাকা রোদের টুকরোরা ফুরিয়ে এসে যেখানে মায়াবী সন্ধ্যাকে ডাকবে।জীবনে ভোর,সকাল,দুপুর পেরিয়ে একটা স্নিগ্ধ বিকেল আসা বড়ই প্রয়োজন।যেখানে এক পশলা পূবালী হাওয়ার মতোই দম নিয়ে বাঁচবে রামধনু-স্মৃতির জীবন।ফেলে আসা স্মৃতিরা মন-আলপিন থেকে উঠে এসে রোমন্থনের অবকাশ দেবে ঐ বিকেলে।কী পেয়েছো আর কী পাওনি তার সালতামামি আর নাই বা করলে তখন।জীবনের বিকেলগুলো ভীষণ দামী।সুখ-স্মৃতির অতল জলে ডুবসাঁতার দিয়ে না হয় সময়ের মুক্তো খুঁজো সেদিন।জীবনের বাঁকে বিকেলগুলো তাই বড় রমণীয়।প্রত্যেকের জীবনেই এমন বিকেল আসে যেখানে ডুবুরির মতো ডুব দিয়ে ঢেউ মাপা যায়।জীবনে রাত্রি নামার আগে বিকেলের গোধূলিতে তাই প্রদীপের শেষ শিখা হয়ে জ্বলে উঠি এসো।কথা দিচ্ছি প্রাণের নতুন ভোর একদিন না একদিন এমন স্মৃতির বিকেল খুঁজবে আবারও।তাই জীবনে এমন আলাপী বিকেল ভীষণ দরকার যেখানে দুদন্ড একলা হওয়া যায় নিজের সাথে।তারপর না হয় নতুন প্রাণে এমন টুকরো বিকেলের অভিসার খুঁজো অন্য কোথাও,অন্য কোনো কালে।....
-
কাঠফাঁটা রোদ আকাশে নেই তাও
উত্তরে হোক কালবৈশাখী সাজ,
একটা দু'টো মন খারাপের জন্যে
এমনিই একটু বৃষ্টি নামুক আজ।
ঝগড়াগুলো থাকুক আজকে তোলা,
দূরে সরে যাক মিথ্যে অভিমান,
অবসরের বুকে মাথা রেখে
ইলশে-গুঁড়ি মেখে করব স্নান।
কেমিষ্ট্রি বই খুলব না আজ আর,
একটা বিকেল নিজের জন্য থাক;
ভেজা মাটির গন্ধ পান করে..
তৃষ্ণা মেটাক বৃষ্টিভেজা কাক।
স্ট্রেসগুলোকে আর্দ্র হাওয়ায় ধুই,
খোলা হাতায় হঠাৎ লাগুক শীত!
জানলার ওপার অঝোর ধারায় ভিজুক,
এইপারে থাক রবীন্দ্রসঙ্গীত।।-
আসলে আমাদের সেই পছন্দের অঞ্জন দত্তর 'যাচ্ছে চলে' গানটার মতো খানিক,
তুমিও দূরে চলে যাচ্ছ আমিও ফেলে চলে যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছিটা কোথায়?
আগে একসাথে চলে যেতাম মনে পরে কখনো বৌদির চা কিংবা লুকিয়ে সিগারেট..এখন সব অপ্রাসঙ্গিক!-
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমেছিল সেদিন।
আর, কনে দেখা আলোয়
আরও একবার প্রেমে পড়েছিলাম তোর!
প্রেমটা মরেছে
খবর পেয়েছিলি?
আজ তাকে চুল্লিতে পুড়িয়ে এলাম!
জানিস, আজ চিতার আগুনটা
আরও একবার দেখালো আমায়
কনে দেখা আলো!-
মনকেমনের আতর মাখা বিকেলবেলা...বহুদূরে মিলিয়ে যাচ্ছে ফেরিওয়ালার ডাক ....নির্জন college street এ পুরনো বইয়ের গন্ধ ...তেলচিটে আকাশটার বুকে লালচে মেঘের বহু পুরনো চিঠি ...চিঠিতে কৃষ্ণচূড়ার আলতো ঘ্রাণ ....নীচে বহুকালের পুরনো রাস্তাটা ধরে কচি যুবক তার সদ্য পাতানো বান্ধবীকে আগলে ছুটে চলেছে bus stand এর মোড়ে ...মরচে ধরা trum টা বেলাশেষের ক্লান্ত রোদ্দুরকে অভিবাদন জানিয়ে ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে গন্তব্য স্থানে .....এত shopping mall ...এত টেক্নোলোজী মঝেও মহানগরী কোলকাতা আজ পুরনো নিজেকে খুঁজে পেয়েছে ....ঝিমিয়ে পড়েছে ব্যস্ত শহর আজ ক্লান্তির কোলে .....
-
হাসছে বিকেল খেলার ছলে
কে যেন তার গল্প বলে
শহর বাঁচে, রাধাচূড়ার বনে।
ঝরা পাতার শুকনো বাড়ি
তোমার বিকেল, আমার আড়ি
শরীর জাগে আদর বেলার টানে।
মিথ্যে স্বপন, ওগো সোনা
মাঝরাতে আর ফোন বাজে না
ভিজবে শহর তোমার ছাতার তলে।
সবার বিকেল তোমার হবে
ভেজা ট্রামে রাত ফুরোবে
পারদ নামবে নিরামিষ ককটেলে।
-
বিকেলের শেষ আলোটুকু থাক তোকে ঘিরে,
আমার পথের শেষ ঘরে ফেরা মানুষের ভীড়ে।-
আমার কুয়াশা ভেজা আবছায়া ভোর
জেগে ওঠে সূর্য কনার সাথে,
আমার ধূসর বিকেল সব হারায়ে বিষন্ন
ঝিমুনি র অন্তরালে একাকি পড়ে থাকে।-
আলতো আলো,বিকেল ছুঁলো,
রোদের হাসির আভাস পেলো।
বিকেল মানেই লাটাই ঘুড়ি,
আলো ছায়ার লুকোচরি।
উড়ছে পাখি, দুলছে তরু,
মিষ্টি ছোঁয়ায় প্রেমের শুরু।
খুশির পলে মন আবেগী,
ঘরছাড়া সে আজ বিবাগী।
দমকা হাওয়া,ডাকছে কোয়েল,
মন হারানোর এই বিকেল।।
-