কাম যদি উপাস্য হয় পুরাণের কাল হতে
কেন তবে দ্বন্দ্ব বৃথাই সম-অসম 'র মতে?
যারা মিছে ধ্বজা ওড়ায় সবজান্তা সেজে-
ভাবে 'যোনি'তে হলে 'লিঙ্গ' স্থাপন তবেই সমাজ বাঁচে!
সত্যের হয় গণধর্ষণ ন্যায্য 'আবেগ' আশে
আর অপরাধের দায় এড়ায় 'জ্ঞানী'র ছদ্মবেশে!
তারা নাকি ওই মেয়েটির ভাই, দাদা বা কাকা-
পর্দা ঢেকে ঘরের মেয়ের, যৌনাঙ্গের নেয় মজা!
ওই ছেলেটিকে বাধ্য করে বিবাহ বন্ধনে জড়াতে
নইলে থুতু ছিটোবে ডেকে এনে, চৌরাস্তার মাথাতে!
অকালে মরা ভালোবাসা, আর লুকানো অনুভূতি
ন্যায় বিচারের আশায় হয়, সহস্র আত্মাহুতি!
ওরা নাকি অসামাজিক, প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে-
ওরা নাকি মানসিক রোগী, সমাজ কলঙ্কিত করে!
তাহলে ওরা কারা, যারা যৌনতার নেশায়
আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের গায়ে কাদার ছিটে লাগায়?
ওরা কারা যারা আগল তুলে শুদ্ধিকরণ লাগি-
সত্য হনন করে, খেলে লহু'র রঙে হোলি?
'সমকামিতা' অপরাধ হলে, সমাজও অপরাধী
সে মিথ্যে অহং ধরে রেখে, চোখে পড়েছে ঠুলি!
সমাজ তো এক অলীক আকার, চোখে দেখেনি কেউ
মননের হত্যালীলায়, লেগেছে পাশবিকতার ঢেউ!
তবে আজকাল শুনি ইতি উতি নাকি জনা কয়েক 'মানুষ',
পর্দানশিন সমাজের বুকে, জ্বালছে নব যুগের ফানুস!
তারা সম-অসম 'র ভেদাভেদ ভুলে নতুন ভোরের আশে
ভালোবাসা'র বিজয় ডঙ্কা বাজায় দশ দিশে!-
আমি চাই না হতে নব বঙ্গে নব যুগের চালক।
আমি নাই-বা... read more
ন্যাড়াপোড়ার আগুন নেভে
শিশির-ঘামে,
ছাই হয়ে যাক স্বপ্ন হাজার
প্রেম-জামে ।-
তুমি ছোঁয়া হতেই পারো
আমার জল শুকোনো হাতে
তুমি এই অধমের না হলেও
রাজত্ব করো মোর দুখে।-
প্রলাপ বলে থামালে যাকে
সেই প্রলাপে বিষ আছে
বিষের নেশার মরণ টানে
মরতে পারায় সুখ আছে!
সুখের নেশায় দুঃখ পাওয়া
দুখের জলে ভাসবে সব
অন্তর্যামী অট্টহাসে
মায়ার খেলায় সবাই শব!
কলজেটাও পুড়বে তোমার
অহরহ সেই বিষের বিষে
শান্তি আছে যে আগুনে
খুঁজে মর তারে দশ দিশে!
ছাই হয়ে রোজ জড়াবে এসে
জলের ছোঁয়ায় জলাঞ্জলী
প্রেম সায়রে তরী বওয়ায়
শেষ না হয় আধুলি!-
ছাই গুলো হাওয়ায় ওড়ে
সানাই এর সুর মেখে গায়!
পোড়া গন্ধটা কি ভেসে এল
ভুরিভোজের আড়ালে?
লাগানো গাছ গুলো তার
আজও ফুল ফোটায়,
আগাছা গায়ে মেখে!
খই পোড়ানো ধোঁয়াটা
মনে করিয়ে দেয়
শ্মশানের আগুনটা!
গোধুলি সেদিনও এসেছিল
আজও আসবে,
এভাবেই হয়ত এগিয়ে চলে সময়
আর মানুষ বাঁচতে শেখে!-
লেখা গুলো বেনামী হোক আজ থেকে!
যদি ভালো লাগে কারো,
নিজের বলে দাবী করে?
কি বা আসে যায়!
ভালোবাসার দাবী মুখ বদলায়-
মুহূর্তের পরিহাসে!
মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটুকরো ঝরঝরে কাগজ
কলমের আঁকিবুকি মাখা!
কে লিখেছে জানা নেই,
তাই আজ ইতিহাস অজ্ঞাত খাতায় কলমে!
আর যে গল্প পড়ে রইল পাতায় পাতায়?
কাটাছেঁড়া চলুক তার-
কি বা আসে যায়!-
একটা গান, বারংবার
একটা ছবি, অপলকে
একটা দিন, সাক্ষাৎ লাগি
একটা সকাল, রাত জাগা!
একটা দুপুর, জট পাকানো
একটা সন্ধ্যে, ব্যস্ত শহর
একটা রাত, কথা থাকে বাকি!
একটা আমি, শুধুই আমি
একটা পথিক, কমদামী!-
নেশার ঘোরে বাজে বকো বড় আজকাল
সময়ের স্রোত আনবে বয়ে আগামীকাল!
রাজ্য হারা রাজ্যলোভী কি আজ?
ভিন রাজ্যে তার এত কিসের কাজ?
এই রাজ্য অন্য কারো, স্বত্ব তারই কাছে
নিজের রাজ্য হরিয়ে আজ, লোভী হওয়া কি সাজে?
-
কবিতার ঘনঘটা বৃষ্টি ফোঁটার ছদ্মবেশে
শিহরিত সিক্ততা দেয় আমারই মনের দেশে!
আকাশের মন কেমনে কি মন হয়েছে ভার
নাকি মনের কথা জেনে ফেলে গোঁসা হয়েছে তার?
নিরুদ্দেশ চাইছি আবার মাথাকে দিয়ে ছুটি
পালাতে চাইছে সে আজ খুন করে অনুভূতি!
শিকল কাটার ছল জানি না, বন্দী কারাগারে
পাষাণেও কি পচন ধরে হাজার বছর পরে?-
তুমি আজ ভুলেছ মোরে
নতুন গল্প লেখার পরে
বহুবার হয়েছে এমন
আবারও হবে কদিন পরে!
অভিমান থাক আমার বুকে
তোমার আকাশ ভরুক সুখে
রেখেছ কি ঠিক আগের মতই
আমাদের সেই সংসারেতে?
দলছুট পাখি বাসা খোঁজে
নতুন গাছের খাঁজে খাঁজে
ভাঙে যদি আবার এ নীড়
ঠিকানা হবে গগন মাঝে!
পাতায় পাতায় গল্প নতুন
সমাপ্তিটা নয় পুরাতন
তবু আবার কলম হাতে
বুজিয়ে দেব চাপা আগুন!
কেটে যাবে ঠিক আঁধার কালো
লাগলে চোখে ভোরের আলো
নাই হল ঠাঁই পরিশিষ্টে
তবুও তোমায় বাসব ভালো!-