তোমাকে প্রিয়
হাতটা ধরতে দিও না কোনোদিন।
একবার ধরলেই তো ভয় হবে, চিন্তা বাড়বে;
তোমার হাতের উষ্ণতা, আমার মনে বর্ষা আনে,
বিষন্নতার, একাকীত্বের।
তুমি চলে যাও হাত ছাড়িয়ে, আমি খিল আঁটি দরজায়।
তোমায় ছুঁতে বলো না কোনোদিনও।
তোমার মিষ্টি গন্ধে আমি প্রলুব্ধ হই;
ধিকিধিকি জ্বলতে থাকি, উন্মত্ত দাবানলের মতো।
তুমি পাশ ফিরে থাকো, আমি বেঁচে থাকি স্বপ্নের চাহিদায়।
ভালোবাসতে বলো না কখনও,
এই ক্ষত-বিক্ষত মন তোমাকে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
তোমায় রোজ রোজ দেখি, ইচ্ছে করে একেবারে মরে যেতে;
তোমার সবটুকু আমি চাই, আর পুরোটা তুমি আমার হবে না।
তাই ভালোবেসো না কোনোদিন, ভালোবাসতে বোলো না।
তার চেয়ে ভালো, মনে থেকো, বিশ্বাসে থেকো, পাশে থেকো।
-
তোমাকে আমি চাইনি কোনোদিন,
শুধু আরোও একটা পথ হেঁটে চলেছি,
যে পথে হেঁটে গেলে অতীতকে ভুলতে শেখা যায়।
আমি ভাবতাম, গল্পগুলো তো বড্ড প্রাসঙ্গিক,
কিছুটা শব্দের, কিছুটা ভবিতব্যের।
কালের স্রোতে ঘরে ফেরার পালা এবার।
অপেক্ষায় বসে অন্য কেউ,
যে ভাবনাতে অতীত লেখা থাকে না কোনোদিনও।
গল্পও লেখা হয়, উপন্যাসের ভাষায়,
সাময়িকে নয়, প্রাসঙ্গিকে।-
পেছনে ফেলে আসা অচেনা জায়গাগুলো হারিয়ে যাওয়া ডাকবাক্সের মতো। যার গল্পগুলো, কথাগুলো জানা হয়ে উঠবে না কোনোদিনও। তবু একটা গল্প থেকে যাবে - মায়ার, স্মৃতির।
-
তাকে বলে দিও,
একসাথে হেঁটে আসা পথগুলো যেখানে এসে শেষ হয়, সেখান থেকেই শুরু হয় নতুনের সাথে ঘরে ফেরার স্বপ্ন।-
ধ্রুব
আর আছেটা কী আমার;
মাঝরাতের ওই এক টুকরো আকাশ আর ধ্রুবতারা।
মাঝে মাঝে মনে হয়, কেউ নেই এই শহরটায়,
অলিখিত কারফিউতে মৃতপ্রায় সব,
আমি হেঁটে যাই, পাগলের মতো, ওই তারাটিকে ধ্রুব করে।
তুমিও ছিলে এই শহরে, কোন একদিন,
আজ নেই, মেঘেদের মন খারাপে ভেজা পড়েছে সব।
শুধু রয়ে গেছে ধ্রুবতারাটি, নাবিকের একলা বন্ধু হয়ে।
এবার পালা, ঘরে ফেরার।
মাঝরাতের আকাশ যদি ডাকে কোনদিন ভুলো মনে,
ফেরার পথে চাঁদ হারিয়ে যায়, আকাশ থেকে;
রাস্তা একা রয়ে গেছে আজও, আলোর পথটি ধ্রুব করে।-
ভাবনাগুলো নিয়ম মেনে, ঝাপসা নিয়ন একলা মিতু,
তুমিও বাসো, আমিও বাসি, ফারাক কেবল চিন্তাটুকুর।
-
মিথ্যে জানি, তবুও ভীষণ খাঁটি
চোখ সয়ে যায় মাঝ আঁধারের আলোয়,
শেষরাতে আর গান ফিরবে না জানি,
বেদনারা কাটে মিথ্যে বাসার ভালোয়।
-
ওই মেয়ে, আমার বছর শেষের গপ্পো হবি?
বাসবো ভালো বছর ভরে, ঘর সাজাবো তোকেই ঘিরে।-
- এই শোন
- বল, কি হয়েছে?
- ওই ছেলেটা কে?
- কোন ছেলেটা?
- ওই কাল যার সাথে ঘুরতে বেড়িয়েছিলি
- অওউ। ও? তুই জেনে কী করবি?
- আমার জানা প্রয়োজন
- অতো জেনে কি বিদ্যাসাগর হবি?
- হ্যাঁ হবো। বল তুই
- যদি বলি নতুন বয়ফ্রেন্ড!
- কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দিচ্ছিস?
- যাহ বাবা! কাটলো কবে? আমি তো জানিই না
- ঢং হচ্ছে! এই যে এক সপ্তাহ ধরে কথা বলছিসনা, আমার কষ্ট হয় না বুঝি?
- সে তো তুইও বলিসনি। তার বেলা?
- তুই তো বারণ করেছিলি বলতে
- আমি মেয়ে, বলতেই পারি।
- তাই বলে নতুন বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে নিলি?
- গান্ডু, ও আমার পিসির ছেলে
- আগে বলবি তো। ধুসসস
- ঠিক আছে। ঠিক আছে। আগে একটা ক্যাডবেরি খাওয়া
- কেন?
- নতুন শুরুতে মিষ্টিমুখ হবে না?
- ক্যাডবেরি তো নেই। অন্য কিছু দিয়ে কাজ চলবে?
- হারামি এক পা এগো। লাথাবো মুখে।
-
নির্দয় হয়েছো কোনদিন?
কুয়াশা ভরা আলসে সকালে, ভাত দুপুরের ঘুমের ছোঁয়াতে কিংবা গহীন রাতে আদর করার চরম মুহূর্তগুলোতে,
নির্দয় হতে পেরেছো কি আজও?
হয়ে দেখতে পারো কোনদিন।
ভালো তো সকলেই বাসে,
তুমি না হয় আমার নির্দয় প্রেমিকাই হলে।
-