অন্ধকার চাকা সচল হলে ফিরে আসে মাছ পাখি,
নদী উপত্যকায় ডুবে যাচ্ছে ইতিহাস
নাগরিক সমাজের নাঙ্গল টানে বুদ্ধিজীবী।
পাশে বসে বিড়ি টানে বণিক
তার কোলে শুয়ে থাকে ঈশ্বর।
ডাক্তার বলেছেন;মিডিয়ার সঙ্গে রোজ এক পেগ গণতন্ত্র এবং মেগা সিরিয়ালের জনপ্রিয় ষড়যন্ত্র।
ঝিনুকের খোলসে শুয়ে থাকে গোলাপ
তুমি যাকে মুক্ত দেখো।
একটা নোনা চুম্বন করার সময়
মনে পড়ে জন্মান্তরের দায়িত্ব
ধাপে-ধাপে নেমে আসে উত্তাপ
শেষ ধাপ উতথিত পুরুষাঙ্গ থেকে যোনি,
শীতল হয় পৃথিবী।
ফসিলে জমা হয় ডাইনোসরের গল্প
তারপরে তুমি পাগল হলে। তুমিই হও উদ্বাস্তু।
নাগরিক সমাজের নাঙ্গল টানে বুদ্ধিজীবী।
পাশে বসে বিড়ি টানে বণিক
তার কোলে শুয়ে থাকে ঈশ্বর।
অন্ধকার চাকা সচল হলে ফিরে আসে মাছ পাখি,-
ওরা যে পরিযায়ী শ্রমিক, ওরা দেশ গড়ার কারিগর।
ওদের ভালো থাকায় আজ প্রকৃতির ছোবল।
ওরা ফিরুক বাড়ি পরিজনের কাছে।
ওদের কান্নায় ঘটুক কিছু রদবদল।
(পুরোটা ক্যাপশনে)-
অন্ধ মানুষ আলো নিয়ে হেঁটে যায়
আমারও চলি তার পিছে ।
এরাই রাজা,গদিতে বসে রুলার চালায়
আমরাই পিষে যাই তার নিচে।
তবুও বার বার কী এক অবাক বিশ্বাসে
মরা চেতনার নিঃশ্বাসে-
পিছে পিছে চলি তার।
যে মানুষ জ্বেলেছে চেতনার আলো
রব তুলেদেয় অন্ধ মানুষ - গেল সব গেল
সত্য হৃদয় বুঝেছে এ বধ্যভূমি ছেড়ে যাওয়া ভালো।
প্রজারা তখনও দিব্যি ভাত ঘুমে ,
রব উঠেছে রাজা মহৎ,রাজা সৎ....
গলা মেলাও রাজার সুরে,
হাত পেতে থাকো, মেতে থাকো এই ধুমে।
আসলে সে মুখশ ঢাকা কায়া
এসব হচ্ছে ভীষণ জাদু ভীষণ মায়া।
কথা তার ভাবি অমৃত অক্ষর
মৃত জাতিকে নিয়ে গোপনে হাসেন জাতিস্মর।-
----যদি একদিনের জন্য সুপার পাওয়ার পাও তাহলে কি কি করবে?
----মানুষদের মস্তিষ্কে শৌচালয় বানাবো । যাতে মানসিকতার 'গু' গুলো চারপাশে পড়ে বিষাক্ত না করে, ওতে পড়ে । আর পারলে পেটের জ্বালা ঘুচিয়ে শিক্ষিত করে তুলবো,যাতে লিঙ্গ নিয়ে টানাটানি বা রেপ বা পিরিয়েডস নিয়ে 'জেলি-পাউরুটি কনসেপ্ট' হোক কিংবা দেশ চালকদের 'সামনে রামায়ণ রেখে পেছনে মহাভারত' চালানোর পাল্টিবাজি সুনীতিগুলো যেন স্বচক্ষে দেখতে পায় ও বিচার বুদ্ধি কাজে লাগায়!-
রক্ত বইছে? হোক গে,
তাতে আমার কি!
পাতে পড়ছে গরম ভাত,
সাথে একচামচ গাওয়া ঘি..
উপুরতলায় রঙের বাহার,
বিদ্যে বালাই বাপের ঘরে;
দেশ দশ নিপাত যাক,
ঝড়ছে লালা কষা মুরগির ধড়ে;
বাংলা ইংরেজি মারামারি,
মাস্টার করে সম্মানহানি;
যাক গে যা আমার কি,
অন্যের মেয়ে সস্তা জানি!
যুদ্ধ হবে বলছে সবে,
দু চার পাতা ভাষণ দি;
ঘরের ছেলের ঝগড়া হলে,
শান্তভাবে মিটিয়ে নি;
সবটা দেখেও চুপটি থাকি,
জনপ্রিয়তা আসলে ফাঁকি!
পিঠ বাঁচিয়ে কদিন যাবে?
সময় একদিন আসতেই হবে;-
" বেকার যুবক "
পঙ্গুত্ব নেই তার ,তবু জরাজীর্ণ এক মনুষ্য
নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়ে , হতে চায় ধন্য
দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরিয়ে ভিক্ষা মেলেনি বটে
চাকরির বড়ো আকাল ,interview টা জোটে
বাবার অসুখ মায়ের অসুখ যেন সবটাই আকস্মিক
ব্যবসা করার সামর্থ্য নেই, জীবনটা সত্যি ট্রাজেডিক
হতে পারেনি রাজনীতির তাবেদার নেইfixed deposit
ক্রমশ হয়ে উঠতে হচ্ছে নিজেই নিজের parasite।।-
লড়াই,লড়াই,লড়াই,ক্ষমতা দখলের লড়াই,
এই দিনবদলের গানে কর্মের করে বড়াই।
পাঁচ বছর জালের ফাঁদে মাছ ধরে যায়,
বাড়িতে বসায় ইলিশ মাছে কড়াই।
পাতে যখন...ভাগ কম পড়ে যায়
পাতা উল্টে গানের সুর টা বড় চড়াই।
নিত্যদিন গরীবেরা অন্নের জন্য করে
ঘাম ঝরানো অক্লান্ত লড়াই।
বেকার যুবক যুবতীর মন বসছে না
কমপিটিশনের যুগের পড়ায়।
চাকরির হিসেব নিকেশ হয়ে যাচ্ছে যে
বড় বড় টেবিলের তোলায় চোরায়।
নির্ভয়
-