আমার আর বাড়ি ফেরা হল না!!
চেনা গলি, ভূষিমাল দোকান, রাস্তার সাদা কুকুর..
কান্নাচাপা বালিশ আর ছাদের কাকস্নান;
প্রিয় গ্রিলের অযাচিত যে ধুলো ফুঁ দিয়ে ঝেড়ে দিতাম,
তার অভিশাপেই বোধহয় সব ছেড়ে যেতে হলো;
তবে তাতে আফসোস পুষিনি কোনো।
শীতের দুপুরে খুব কান্না পেলে,
উলের গোলার মতো গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে;
তবু আমার আর বাড়ি ফেরা হল না!!
আমি বড় অদ্ভুত প্রাণী,
কত শেষ দেখা বুঝতে না পেরে বুকে আশা চেপে ট্রেন ধরেছি;
এক অচেনা অজানা শীতল সভ্যতা জমেছে চোখে..
যার ভাষা, শিলালিপি পড়তে দিই নি আর কাউকে।
আদপে আমরা সবাই এক একটা জীবাশ্ম..
হঠাৎ করেই চাপা পড়ে যাই ঠিক ভুলের মধ্যিখানে!
জীবন মৃত্যুর দাবা খেলায় গো-হারা হেরে গিয়ে।।-
◆ আফসোসের ঝুলি থেকে ইচ্ছে চুর... read more
চেনা শহর ছেড়ে যাবো একাকী বহুদূর,
কথা দিতে নেই কাউকে হয়তো তাই..
সারাজীবন ধরে খুঁজে গেছি যা কিছু,
আর কি আক্ষেপ? পাই বা না পাই !!-
খুব শক্ত হতে গিয়ে হই পাথর কিম্বা চাঁই
শেষ রাতে আয়না বলে আমি তো আর আমি নাই..-
সুখী ভাবলেই সুখ
ঢাল বেয়ে নেমে আসে গালে;
দুঃখ যে বড়ই ছোঁয়াচে...পথিক
লুকায় প্রাণখোলা হাসির আড়ালে!-
আবারও শীত এলো,
এতদিন এতভাবে যুদ্ধ করে তোমাকে যে ভুললাম...
কিন্তু তুমি আমার নক্সীকাঁথায় সোনামুখী সূঁচ হয়ে থেকে গেছো।
টানের মরশুমে শুধু হৃদয়ের ক্ষতই কেন বাড়ে বলতে পারো?
কমলালেবু খেয়ে ঠিক যেভাবে খোসাটা ছুঁড়ে ফেলে দাও,
ওভাবেই আমি সংসারের এককোণে বসে আছি!
যেদিন উঠোন ভর্তি পর্তুলিকা ফুটবে,
বুঝে নিও আমার সময় বোধহয় ফুরিয়ে এলো;
দেখা হবে না আর তোমার সাথে ফের এক জীবনে।।-
প্লে- স্টোরে আপডেটে বসিয়ে, স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ সামনে আসা কোন সুন্দর লেখা বা মিম ঠিক যেভাবে বন্ধ হয়ে যায়.. চাইলেও আর সেটা খুঁজে পাওয়া যায়না- ওটাই হলো “বিচ্ছেদ”
আর বন্ধ হয়ে যাবে জেনেও ঠিক ঐ সময়ই পড়তে বা দেখতে শুরু করা; সেটাই হলো “জীবন”
পুরো গল্পটাই আগে থেকে লেখা হয়ে গেছে;
আমাদের হাতে কিচ্ছু নেই।
আমরা শুধু যেটা পারি সেটা হলো... অভিনয়ের এই মঞ্চে নিজেদের রোলটা কতটা নিখুঁত ভাবে পারফর্ম করবো যবনিকা পতনের আগে,
সেটা নিশ্চিত করতে।।-
মন কে ছাড়া বোধহয়
কিচ্ছুই বেঁধে রাখা যায়না
না সময়
না মানুষ
না শ্বাস-প্রশ্বাস
তবু দোষ হয়... “চিত্ত চঞ্চল”
ঠিক যেভাবে তোমার গল্পে “আমি”-
কিছু সময় আমাদের নিজেকে কুড়িয়ে নিতে হয় খুব যত্ন করে,
মরশুমের শেষে ঝরে পড়া ফুলের মতো
আমাদের ফেলে রেখে যায় কোনো চেনা হাত;
পথ চলতি মানুষ কিছু না জেনেই মাড়িয়ে দেয় পায়ে করে;
শেষরাতের ঝড়ের বেগ কমে ভোরের আলো ফুটলে ধীর পায়ে উঠে দাঁড়াতে হয়,
আমাদের ভাঙ্গা টুকরো গুলোর মধ্যে
ঠিক কতটা চেষ্টার গল্প ছিল কেউ জানবেনা কোনোদিনও।
আমরা হলাম ছোটো গল্প,উপন্যাসের মতো ধৈর্য্য ধরে পড়ে দেখবে না কেউ;
যত না পাওয়া, যত হেরে যাওয়া, সবটুকু অতীতে ভরে রেখে,
খুলে দিতে হয় বিছানার পাশের জানালা;
নিজের ভেতরে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটাকে একে একে শেখাতে হয় আত্মপরিচয়;
ঠান্ডা হাওয়ায় উড়তে থাকা পর্দায় স্রষ্টা এসে ছুঁয়ে দিয়ে যায় কপাল ।।-
দিন ফুরিয়ে আসে,
প্যাপিরাসের ছালের মতো হলদে হয়ে যায় সময়;
দুই মেরুর বিচ্ছেদ হয় খুব যত্ন করে..
তাদের মিলে যাওয়া, দিগন্তরেখার মতই কাল্পনিক,
কিন্তু মৃত্যুর মতো সত্য ! !
মহাকালের নিয়মে মায়ায় জড়ায় নতুন কোনো নক্ষত্র,
চেনা কক্ষপথ ছেড়ে উপগ্রহ পাড়ি দেয় সুদূর ভবিষ্যতে;
ফেলে রাখা কথা,
একরাশ অভিমান দখল করে নেয় বামদিকের চিলেকোঠা;
চিতার আগুনে তিল তিল করে জন্ম নেয় ফিনিক্স পাখি,
একটু একটু করে জমানো লক্ষীভাঁড়ের টাকার মতো ।।-
অবাধ্য বৃষ্টির আস্কারায়
তোমার কাছাকাছি চলে গেছি খুব!
দামাল হাওয়া বুঝিয়ে দিয়েছে
নিষিদ্ধ প্রেমে অমোঘ টান;
খুব করে যদি চোখের ভাষা বোঝো
তবে এড়িয়ে যাওয়ায় বারণ নেই কোনো।
আমাদের যেন তাড়াহুড়ো নাহোক..
সন্ধ্যেবেলা ব্যস্ত কাকের বাড়ি ফেরার মতো;
এক শতাব্দী যদি অপেক্ষা করতে পারো!
তবে বাঁধা পড়ুক তোমার হাতের ছোঁয়ায়
ভেজা চিবুক বেয়ে নেমে আসা জল;
তারপর বৃষ্টি থামুক শেষ ভোর-রাতে,
তোমার ক্যানভাস জুড়ে থেকে যাক
হঠাৎ করে জাপটে ধরার উষ্ণ লাল রং...-