ঘষলে মধুচাক, চকমকি হাত আগুনের মন পড়ে,
তুলে দিও মর্সিয়াশীত গোপন দাবানলে।
জন্ম সাতেক জমবে ছায়া- রঙিন ধুলো,
আবাহনের মন্ত্র শুধুই তোমায় ছুঁলে।
নাভির নীচে খানিকদূরে, অল্প ফুঁয়ে শঙ্খ উড়ে,
ডুবিয়ে নিলো তোমায় কেবল পুণ্যিপুকুর জলে।
খুঁড়ছে শরীর ষোলকলা, ঠোঁটের ঢালে আদর ঢালা,
মধ্যমাতে সেলাই করা অন্ধপ্রজাপতি, দংশিত কলারতি।
উথালপাতাল রেশম-বদ্বীপ, জন্মদাগে বকুল আর তিল,
তোমার শেকড় অন্তবিহীন, বিরহই বিরতি।
জোনাকবাঁধা পদাবলী, খুলবেনা আর ব্যথার ঝুলি,
তোমায় জমায় শব্দঋণে মুখচোরা অনুভূতি।
ভাঙাচাঁদে টিপ পরিয়ে, ফুটলে তুমি দিন গড়িয়ে,
চোখেতে পোষ মানলে সাগর, বুকেতে সুনামি।
উঠলো ভেসে জীবনখানি নক্ষত্রশৃঙ্গারে,
অর্ধতরল জ্যোতি, উর্বর সে দেহভূমি।
বিসর্গতে নিঃস্ব কবি, বিসর্গতেই দুঃখ ফোটে,
কবিতা পেল রজঃস্বলা নাভিপলাশ, অন্তর্যামী।-
🔹পৃথিবীতে পদার্পণ 7th May
🔹বাসস্থান হাওড়া
🔹পড়াশোনা Bio-science নিয়... read more
রাত জ্বেলে মুক্তোরা, এ কী খেলাঘর!
জ্বলনবুকেও বেঁচে পোড়া মনোহর।
বয়ে যাওয়া কথা যত আকাশের মনে,
ব্যথার মতোই মেঘ নেয় টেনে গোপনে।
খসে যাওয়া জোনাকি স্নায়ুতে ও দেহে,
স্মৃতিগামী ঢেউ ভাঙে বিন্দু বিসর্গে।
বাস্তব ও স্বপ্নের হাতাহাতি ফের,
অঙ্গারে ভেসে ওঠে নাভি অমৃতের।
বাঁধা আছে যে ঘর হৃদয়ের মাপে,
পূর্ণতা পেয়েছে কি শূন্যতা ঢেকে!
মিছিলে মস্ত ভীড়ে কেবল তোমারই স্তব,
রাতজাগা চোখ ছাদে একলা নীরব।
হৃদয়ে ঘোষণা সে তো তোমারই নামের,
তারা ও উল্কা জরি, পদাবলী প্রেমে।
দূরে থেকেও দূর নয় ভেতরে যে থাকে,
'ভালোবাসা' নাম হোক রেখে দিয়ে বুকে।-
কোন নির্জন, ছুটে চলে মন, পাশে নিয়ে পর্বতপ্রমাণ স্মৃতি,
উপরতি।
পাইনের সারি, পথ আড়াআড়ি, ভুলে গেছে শেকড়ের বিস্তৃতি,
(খুঁজেছে কেবল) মুক্তি।
গোপন সাহারা, দুঃখহরা, জীবনের গাড়ি মানে ধূসরেও সজীবতা,
গভীরতা।
বামপাশে চলে, পূর্ণ হলে, মিলে যাবে আমাদের বাকি কথা,
(জমে থাকা) স্বপ্নব্যথা।-
মনের ভেতর ঘরবাড়ি যার, চোখের আড়াল! ব্যর্থ
আয়না বুঝি সত্যি দেখায়! জীবন খোঁজে স্বার্থ!-
ছায়ার পাশে রোদ্দুরে, ডুবছে হৃদয় সমুদ্দুরে
ইচ্ছে তাতে ফুটছে রোজ।
কষ্ট সে তো স্পষ্ট নয়, অবাস্তবও বাস্তব হয়!
ইলিউশনে চলছে খোঁজ।
শ্রাবণ ঘন চোখ মেলে, চন্দ্রবিন্দু! চাঁদ পেলে
রংধনুতে মেঘ জ্ঞাপন।
ভালোবেসে জিতছে রোজ, দুঃখ তো সব জারজ
বৃষ্টিবাড়ির সংগোপন।
ভেসে থাকার অঙ্গীকার, খেলনাসময় বইছে তার
অভিমুখে সরলস্রোত।
উড়লো হাওয়ায় ধুলোর সুখ, জলের মেয়ের পুড়লো বুক
অপরাজিত স্বপ্নশোক।
কবিতা কেবল শব্দদল, অনুভূতি তো তোমারই আদল
যাকনা উড়ে সব ব্যথা।
সাদাকালো সংসারে, মায়া বিকোয় বেশ দরে
পরিণতি'ই শেষ কথা!-
মেঘের শহর মন উচাটন, গুমোট তার বাতাবরণ, ফুটেছে কেবলই আঁখিজল বকুল হয়ে, আবহাওয়া দপ্তর খবর-হীন ।
সমর্পণে তোমায় রেখে, ঝড়ের আদলে ভুলতে শিখেও শ্রাবণ অক্ষয় হিমলাগা পরিচয়ে, আজ বুকের বামে মরশুমি ঋণ।-
দুধে-আলতায়, রাত ছিঁড়ে যায় পেঁজা গল্পেরা প্রজাপতি।
এ দেহতল, যেন পদ্মপাতার জল, ধাপে ধাপে ছুঁলে দিল ও স্মৃতি।
খুলেছে সে জট, আজ অকপট পড়ে আছে শেষ অবশেষে।
আঁধারের স্তব, ভুলে বৈভব ছায়ারূপে আলোতেই এসে মেশে।
পুড়তে সে থাকে, তবু ভালোবেসে রাখে ফাগুনপ্রবণ চাতক জোড়াঠোঁট।
আবছায়া জানে, ক্ষয়ে যাওয়া মানে, ভাসমান তবু ছোঁয়াচে প্রাচীন প্রিয় চোট।
গড়ায়নি চাকা, দুঃখ আঁকা ভবিতব্যে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে।
হৃদ বাগিচায়, তবে তারই ভরসায়! আলো হয়ে ফুলে গেছে ভরে!
ঠোঁটেরই সে চোট, মিথ্যেই হোক, বয়ে গেছো তুমি ইনফিনিটিতে।
নিয়ন দু'আঁখি, জিইয়েই রাখি, ডোপামিনে তোমাকেই জমাতে।-
তুমি স্বয়ং বিস্তৃতি, অশেষ, আমি কেবলই শূন্য ভেবে তাতে
মেঘের মতো রংবেরঙের অনুভূতি ঢেলে চলি রোজ।
অতঃপর শরীর ও ছায়া মুখোমুখি, অভিযোগও তুচ্ছ,
বুঝেছি, সব বিলিয়েও পূর্ণ তুমি শুধুই কালজয়ী মুক্তির খোঁজ।-
ঈশ্বর- কীসের অভাবে স্বভাবে সদ্ভাবে বিরোধ!
মন অবরোধ!
মৃত্যু হেসে জবাব দিলো- তৃতীয়চোখে
ভাঙারাতের
রজঃস্বলাপ্লাবন,
চেকমেটে শোধবোধ।-