হারিয়েছি অনেক আগেই আমি, মৃত মানুষের শরীরে।
শুধু এখন প্রতিদিন, মাটি খুঁড়ে চলি, নিজেই নিজের কবরে।-
জাহাজের হত্যাকারী নিশ্চিন্তে ঘুমায়
নাবিকের কান্নার আওয়াজ অস্পষ্ট।
নোনা জলে মিশে যাচ্ছে সেগুলো,
সমুদ্র গভীরতা তাতেই যেনো আকৃষ্ট।
-
আপনি ভাবছেন আপনি দর্শক, আসলে কিন্তু আপনিই কারিগর।
না মানলেও সত্যি এটাই, সরকারের পা চাঁটতে আপনি বদ্ধ পরিকর।
-
তোমার কাছে ভালো সেজে, অভিনয় যে জমাতো!
তুমি তাকে ভাব'ই প্রেমিক ! আসলে সে ধর্ষক!!
-
ছেলেটি আজ যুবক! ছুটি দেওয়ার জন্য, মাকে হতে হয় না বিরক্ত!
কাবুলিওয়ালাও দেশে ফিরে গেছে! পরিচিত কণ্ঠ হয়েছে অস্পষ্ট!
সমাজের চাপে বিদ্রোহী গোরা, বাধ্য হয়েছে নিজের মুখ রাখতে বন্ধ!
কত শত উপেন, রয়ে গেছে আজও ভূস্বামী দালালের দ্বারা বঞ্চিত!
সকলেই তারা ফিরে পাক প্রাণ, উজ্বল রবির কিরণে!
বদলাবে ভাগ্য এই মোর বিশ্বাস শরীর জানায় শিহরণে!
-
অনেক কিছুর সাথে এটাও শৈশবেই ফেলে আসতে হয়েছিল, তখন আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল ভালই হয়েছে আপদ গেছে কারণ ডাকনামের অত্যাচারে নিজের প্রকৃত নামটাই কোথাও যেনো হারিয়ে যেতে বসেছিল! ডাকনাম কোনোদিন ভালো হয় বলে মনে পড়ে না গ্রামের সব বন্ধুদেরই ডাক নাম ভীষণ বিদঘুটে হয়ে থাকে, এবং তা সর্বসমক্ষে উচ্চারিত হওয়া ছিলো ভীষণ অপরাধের ব্যাপার! এই ডাকনামের দৌলতে কতো মনখারাপ কত মিথ্যা বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটেছে তার ইয়ত্তা নেই কিন্তু আজ যখন পিছন ফিরে তাকাই তখন মনে হয়, সেই পরিচিতি বন্ধু গুলো আছে কিন্তু তাদের মুখে সেই ডাকনামটা আর নেই! ডাকনাম শুনলেই মনে পড়ে শৈশবের স্মৃতি! পুরানো বন্ধুদের কথা! একটাই কথা বলতে চাই "তুমি আমায় ডাকনামেই ডেকো"
-
চন্দ্রমা / রাহুল
এমন কিছু কবিতা সে লিখেছিলো!
যাদের নিষ্প্রাণ বলা কঠিন।
এমন কিছু নাম সে রেখেছিলো তাদের
যেগুলোর নামে নদী বানানো যেত অনায়াসে।
এমন অনেক শীতল মেঘ রাখা, ছিল তার হাতে
যা দিয়ে সেই নদী আঁকা যেত
এখানে সেখানে।
এরকমই কিছু কথা হয়েছিল আমাদের
যেখানে সূর্যাস্ত যায় শহরের।
এভাবেই,
তার আঙুলে জন্মেছে শহর, জন্মেছে নদী,
জন্মেছে কতো কলতান।
তার আঙ্গুলেই তাই লেখা হোক
না জন্মানো যত আখ্যান।।-
আবার আসিব ফিরে / রাহুল
নিশ্চিত যে, এটাই আমাদের শেষ দেখা।
এবং,
এটা জানার পরেও আমি ফিরবো না আর।
যে কথা হারিয়েছে শরীরের স্রোতে।
তারা জানে, কবিতায় কতো মিথ্যা বলা যায় অনায়াসে।
এই যেমন, আমিও বলেছিলাম প্রচণ্ড চিৎকারে,
হে প্রিয়ে...
ঠিকানা যখন তোমার তোমার ঘর!
যাত্রা সেখানে ক্লান্তিহীন।
তুমি কোলাহলে জর্জরিত উপকূল বন্দর।
আমি অনামী নাবিক পর্তুগিজ।
(এই তো গেলাম!
আবার আসিব ফিরে!
এই তো গেলাম!
আবার আসিব ফিরে!)-
নিঃশব্দ / রাহুল
খাতা টেনে নিয়ে বসা মানুষ,
বুজে আসা চোখে প্ল্যানচেট।
মনে পড়ে যাওয়া অর্ধেক বলা কথা।
ঠোঁটের মাঝে জ্বলন্ত সিগারেট।
এতদূর ঠিক ছিলো
এরপর কবিতা বেমানান।
যাদের কথা বলা যায় না।
তাদের আমরা ভীষণ ভালোবাসি বোধহয়।
-