-
।। Paracetamol ।।
অনেক ছোটবেলায় যখন
গা পুড়ত ভীষণ জ্বরে,
নদীর মতো বইতে তুমি
আমার তপ্ত কপাল ঘিরে ।
আমরা যারা অনেক দূরে
প্রবল জ্বরে paracetamol,
কেবলমাত্র তারাই বুঝি -
জ্বরের ওষুধ মায়ের কোল ।
-
একপশলা বৃষ্টি হলেই
মনের পারদ ভীষণ চড়ে,
তোমার ঘরে বসত করি
রোজ রাতের ওই ধুম জ্বরে!-
কাউন্ট স্টার্ট ! ব্রেন-ডেথ নাকি? একুশ মুচকি হাসে,
বছরশেষের কটা দিনে বিনা অজুহাতে জ্বর আসে;
শব্দছক মিলছে না, ওষুধ ফেলেই হাঁটছি রেলিং ধরে,
'কু-আশা'র আঁচড়ে রক্তাক্ত 'কুয়াশা' সান্তাক্লজের শহরে;
অসহ্য শব্দ-শপথ, চিঠি-খামের আর্তনাদ ক্ষয়ে যাচ্ছে;
আয়নার পাশে পেরেকে সাজানো 'ড্রাকুলা-স্যার' হাসছে!
-
চাইছি খুব জ্বর আসুক।
অথবা জ্বর হয়ে তুমি এসো,
সর্বাঙ্গে উষ্ণতা হও
গাঁটে গাঁটে যন্ত্রনা হও
বুকে মাথা রেখে হও― নিদারুন শ্বাসকষ্ট।
কেঁপে কেঁপে ভেঙেচুরে যাব―
যেন কিশোরীর মন,
যেন রোমান সাম্রাজ্য,
যেন এর আগে বারবার
চিনতে ভুল করেছি তোমায়,
যেন নবরূপে পেয়েছি;
দুচোখ ভরে ঘুম ঘোর।
এসো,
নব দম্পতির মত
সারাটারাত কাছাকাছি থাকি আমরা....-
ভীষণ জ্বরে, শরীর পোড়ে, কপাল চুমে জলপটি।
থার্মোমিটার, ভোগে বিকার, পারদ ঘটায় বিচ্যুতি।-
বাইরে যখন হৈ-হুল্লোড় মনের ভিতর জমাট শোক,
পুড়ছে জ্বরে থার্মোমিটার,গলনাংকে ভিজছে চোখ।
-
রাত গভীর, স্মৃতির ভীড়,
'তুমি' নামক অবাধ্য জ্বর৷
মন কেমন, ফ্যাকাশে রঙ,
তোমায় ছাড়া ভাঙছে ঘর৷
রাত বাড়লে গ্ৰাস করে ভয়,
অজান্তেই ঠোঁট কেঁপে যায়৷-
হাজার নালিশ দিলাম তোমায়
সেই তুমিতেই ভীষণ জ্বর
অভিমানটা বুঝেও তুমি
শূন্য দিলে দশমিকের পর।-
তুমি তো জানো প্রিয়,
তোমায় ছাড়া এই মনের ওজন
দিন রাত ধরে কতটা বাড়ে ...
তবুও কেন শেষ বেলাতে
রোজ পোড়াও আমায়
অভিমান জ্বরে ?
-