ঘুম ভেঙেছে শিশিরের শব্দে,
হিমের ছোঁয়া দিয়ে যায় সারারাত
জাগা শীতল, কোমল শুভ্র কুয়াশারা।
বাবুই পাখির গানে সুর খুঁজে পাই লাঙল
নিয়ে খেতের দেশে পাড়ি দিয়েছে যারা।-
কুয়াশার চাদর ঢেকেছে শহর
চায়ের কাপে দিচ্ছে ডুব
শীতের পরশ লাগছে গায়ে
উষ্ণতারা আজ নিশ্চুপ
ভোরের আলোয় একটু আশা
খেঁজুর গুড়ের স্বাদ
আমেজ করে চাকছি বসে
পিঠে পুলির এই স্বাদ....-
কুয়াশা মোড়া সকালবেলা
শিশিরে ভেজা ঘাস
কুয়াশার চাদর ঢেকেছে শহর
শীতের দীর্ঘশ্বাস!!
নলেনগুড় আর পাটিসাপটা
সঙ্গে হিমেল হাওয়া
সূর্যী মামার ভাঙেনি ঘুম
এখনো সকাল বেলা!!
-
মিষ্টি সকালের আমেজ,
গায়ে শীতের নরম রোদ মেখে—
মন চলে যায় সুদূর শহুরে কোলাহল ছেড়ে,
কবিতার মতো সুন্দর রূপসী গ্রাম বাংলায় !
তুমি আমারই জন্য রয়েছো অপেক্ষায়,
উপাচার সাজিয়ে ৷
সবুজ ঘাসে শিশিরের শুভ্র ঝিলিক,
আমি হাত বোলাই প্রশান্তির আমেজ !
পাখির সাথে গান গেয়ে যাই—
বাউল সুরে ৷
উন্মুক্ত মন ঘুরে বেড়ায় মেঘের ভেলায় চড়ে !
খেজুরের রস, হরেক ফুলের ডালি—
স্নিগ্ধ সূর্যোদয়ের গন্ধ মেখে মন মালি,
ফিরছে শহুরে রোজনামচায় ৷-
মাঠের রাস্তা বাঁক নিয়েছে ঘন কুয়াশার স্বর্গ প্রাতে
ছোট্ট সেসব ঝুপরি বাড়ি;মাথায় তাতে সূয্যি খেলে।
পাখিরদলের মাখামাখি;খেজুর গাছের মাথায় চড়ে!!
নলেন গুড় আর শীতলপাটি!!রোদর পরে কথাবলে;
নতুন ধানের ঝরা সমেত কিষান বাবুর আদর বাড়ে;
সেই সকালে শীতের চিঠি!!এমনি সব ছবি আঁকে
সেথায় যখন আপার সুখে সুখীরা সব শান্তি মাখে;
হেথায় তখন তুমি আমি সুখের পিছে ভাগ্য জুড়ি।
-
শিশীর ভেজা দূর্বাঘাসে
পা ভিজে গেছে , ঠান্ডা
হিমেল পরশ ।
খেজুর গাছে দুচোখ ওঠে
হাড়ির মাঝে সরস ।
ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া
বাতাস বহমান , হিমেল
বাতাস ।
কনকনে ঠান্ডা আর
বন্য ডালিয়ার মধুর সুবাস ।
থাকুক বসে কম্বলের মাঝে
সবে তো এসেছে শীতের
প্রভাত ।-
শীতের সকাল
~~~~~~~~~~~~~~
কুয়াশা ঘেরা মেঘলা আকাশ
হিমেল হাওয়ায় শীতের আভাস।
যত দূর চোখ যায় চারিদিক ধূসর
দূর হতে ভেসে আসা এ কার কণ্ঠস্বর?
গায়ে চাদর, কাঁধে খেজুরের রস
মিষ্টি মধুর ভারী তার নাম যশ।
মেঘ সরে সূর্য্যি ওঠে রোদ করে ঝলমল
শোনা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের কলকল।
এইভাবে কেটে যায় অনেকটা সময়
শীতের সকাল বড়ই বৈচিত্রময়।-
অ্যালার্মটা এখনও বাজে ভোর চারটায় ,
কিন্তু উঠে প্রাতঃভ্রমন করা হয় না ।
অ্যালার্মটা বন্ধ করে , আবেগাক্রান্ত তনুটা
পুনরায় আবেশ দেবার জন্য ধরে বায়না ।
সূর্য না উঠলে পুব আকাশে ধরায় যায়না সময়
ঘড়ির কাঁটা কখন ২৪০ ডিগ্রি কোণ এঁকেছে
পথে ঘাটে হাঁক ছাড়ে খেজুর রস বিক্রেতারা
মোয়া বিক্রেতা মহিলারা খালি পায়েই হেঁটেই চলেছে ।
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরবেলা দু একটা দুর্ঘটনা স্বাভাবিক
লেপ ছেড়ে ঘর থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করে না ,
কত প্রকারের স্বপ্ন আনাগোনা করে তখন হিসেব নেই
দু লিটার জল না পান করেও ঘন ঘন বাথরুম যা ডাকে না !
লেপ মুড়ি মাথা ঢেকে , আলো দেখা বন্ধ
সকালের টিউশন যেতে সবচেয়ে বড় বিরক্ত ।
নিষ্ঠুর মহাশয় বদলান না তবুও রুটিন
ঠান্ডাতেও ছাড় নেই , হৃদয় কঠিন শক্ত ।
পাইকাররা হাঁক ছাড়ে ফুলকপি বাঁধাকপি
উচ্ছে করলা , বেগুন , আলু , টমেটো
আগুনের মতো মূল্য চারদিক শাক সবজির
মধ্যবিত্তদের কাছে এ বিষয় বড় শোকাহত ।
পিঠে পুলির খাওয়ার দিন এসেছে , বিশেষত ভাকা
খাবার গরম গরম থাকতেই খাওয়ার ডাক আসবে
ল্যাদ দেবার ইচ্ছে জাগবে এই সময়েই বেশি
মশা মাছিরা কমবে , ঘামও বিদায় নেবে ।-
শীতের চাদরে মোড়া তোমার শহরের জুড়ে।
শীতের স্নিগ্ধতায় ছড়িয়ে আছে তোমার সাথেই।
শীতের বুকে তোমার সাথেই ছড়িয়ে থাক না , আঁকার খাতা।
শীতের বুকে তোমার সাথেই ছড়িয়ে থাক জলছবি মতোই আঁকা ছবি।
শীতের স্নিগ্ধতায় শিশির বিন্দু ঘাসের উপরে তোমার চরণ খানি।
শীতের স্নিগ্ধতায় ছড়িয়ে থাক না তোমার হাতে রঙ তুলি ক্যানভাসে।-
সকালের হিমেল সুরে পাখিরা
ডেকে যায়,
মানুষ শুয়ে আছে বিছানায়,
পাখিরা গাছের আগায়।-