ভাবছি তোমায় নিয়ে বিকেল করে এক মুঠো করে রোদ কুড়োবো ।
বিভোর যখন পদ্য লেখায় , খুচরো কালি তোমায় দেবো ।
ছিঁচকে ঠোঁটে একশো শতক কবিতা লিখবো তোমায় নিয়ে ।
ভোরের শিশির আঙুলে ছুঁয়ে মোহনায় দাড়াই সময় নিয়ে ।
তবুও তুমি অবাক হয়ে ভাবতে থাকো নিশির রাতে ।
আমিও আবার পালিয়ে বেড়াই উজবুক হই হন্যি হয়ে ।
চলো পারি দিই আকাশগঙ্গা কেড়ে নিই কিছু মিথ্যে গগন ।
পরে থাক সব মফস্বলি রাত প্রেম নিংড়ানো শীতল আস্তরণ ।-
মা বাবা ভালোবেসে পুচু বলে ডাকে ।
ভালোবাসা বলতে মা বাবা , বোন , বন্ধুবান্... read more
যা পেতে গিয়ে সব হারালাম তা
চিরকালই অবশেষের ব্যালকনিতে
অবশেষ হয়ে পড়েছি ছিল ।
শুধু তুমি আমি আমরা সবাই
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে হাতে মুষ্টি বদ্ধ করতে
চেয়েছিলাম ।
বিশ্বাস করো
কেউ সেটা পাই নি যেটা পেয়েছি
সেটা কখনোই চাইনি ।-
চলেছি পথের শেষ সীমানায়
আগুন ছুঁয়েছে জলতরঙ্গ
রৌদ্র যেমন পরাধীন হয়
মুকুট ছাড়া রাজার দেহে
আমিও তেমন বাস্তুহারা
চিত্ত হারা পথিক বনি
নিত্য নতুন শব খনিতে ।
লাইনচ্যুত হয় কবিতাগুলো
ভারহীন হয় সম্পর্কটা
তারহীন থাকে মনের সংযোগ
খুবলে খেয়ে নিই নিজের মাথা ।-
অজাতশত্রু
অন্ধের দোকানে আধার দিয়ে
পূণ্যপ্রাপ্তির ঘড়া সাজাই ।
শূন্য স্থানের শূন্য হয়েও
তারার দেশে একতারা বাজাই ।
ছিন্ন-ভিন্ন হই মরুমাঝে
মরসুম খুঁজে আলো জ্বালি ।
প্রেসার মেপে হাতের শিরায়
মুখে ভর্তি রাখি খিস্তি গালি ।
আবার চলি সোজা পথে
ব্রেন-এ চলে ঘূর্ণিঝড়
মৃত পাথরে খোদাই করি
আমিই দানব , কিংবা যাযাবর ।-
আজ হারিয়ে যাওয়ার দিনেও
আমি হ্যাংলা হয়ে দেখি -
তুমি চায়ের পেয়ালায় আরাম খোঁজো
অন্যদিকে চেয়ে ।
আমি হিসেব কষে দেখি
তুমি লুকিয়ে আছো দূরে
শুনশান দেখে ব্যালকনিটা
ছাঁদ গেছে সিঁড়ি বেয়ে ।
আমি কলম গুঁজে দাঁতে
ভাবছি বসে রাতে
যোগ মেলেনা অঙ্ক খাতায়
কেন ভাগ জুটে যায় সাথে ?-
হাতের চেটোয় অগুনতি প্রমিস
চোখের তারায় বিদ্রোহ
কাজল চোখের নৃশংসতায়
ফিকে প্রেমের আগ্রহ ।
হয়তো সেদিন কালচে মেঘটা
শুষে নিয়েছিলো মুখোশ গুলি
সে যে ছিলো মায়ার নাবিক
ছুঁড়ির চেয়েও ধারালো ছিলো
প্রেমিকার দেওয়া মুখের বুলি ।
হয়তো আজই ভুলতে পারি
ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক
হয়তো আজই ভোলাতে পারি
মানুষটাতো আমি বিপরীত ।-
ওমন আঁচড় কাটা জিভের ডগায়
ঠিক কতখানি বিষ মেজাজ হারায় ।
হয়তো অগাধ আস্থার রোমন্থন করে
পাঁজরের মাটি আলগা হয় ।
আমরা নাহয় সমান গালে বেমানান হই
টিপ ছাপের মতো চড় গিলে নিই প্রেমিক বলেই !
কিন্তু তুমি তো কারোর প্রেমিকা নও
তবুও কেনো ঠোঁটের আলিঙ্গনে
জলের মতো তরল ফেনায় আগুন জ্বালাও ?
অনেক অনেক প্রশ্ন বাকি , খাটি উত্তর হয়তো
মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যাবে ।
প্রশ্নগুলো না হয় ছুড়ে ফেলে দেবো
তুমি প্রেমিকা না হলেও আমি প্রেমিক বটে ।-
এক প্রহর ঘেরা বাতিস্তম্ভ
মুখ লুকিয়ে পালিয়ে বেড়ায় ।
রাতকানা রোগ পাগল করেছে
দিনদুপুরে কবর খোঁড়ায় ।
শেষ চিঠিটা বিবর্ণময়
তেলচিটে সেই হরফ গুলো ।
যে হরফে ছিলো খামখেয়ালী
সেই হরফই আজ কালচে ধূলো ।
মারণব্যাধীটা নিঃশ্বাস ফেলে
বোধ হয় এবার নির্ঘাত শেষ ।
আয়না আবার হেঁয়ালি করে
কাঁদলেই তুই নিরুদ্দেশ ।-
খাকি পোশাকে হৃদয় ঢেকে
আলগা ফ্রিকশনে ছুট লাগালাম
ওপার থেকে খবর আসে
দূষণ জমেছে আড়াই সের ।
একটা নালিশ-খেকো উস্কো-মনা
প্রেম-প্রহরী জটলা জমিয়ে ,
বলছে হেঁকে কালচে চোখে
একাকিত্বের যুগ বয়স দেড় ।
ওই যে তাদের চাদর-চাপা
ফিকে রঙের মসকরাতে
আলতো হেসে লজ্জা ঢেকে
বলতে হয়েছে ঘরকুনোদের
একলা থাকা ভালোই ঢেড়।-