শিক্ষক দিবসের সার্থকতা
-
সেই কবে থেকে
শুনছি শুধু কান্না অন্তরের,
একটু সুখের ছোঁয়া
বুঝি আসবে না এজীবনে আর!
কষ্টের কালিতে লেখা
দীনের গল্পখানি
কষ্টতেই বুঝি হবে শেষ তার!
জেগেছিল কিছু আশার আলো
অজান্তে মনের মণিকোঠায়,
কুক্ষণে অসময়ে কোথা থেকে
ঝড়-বাতাসে তা নিভে যায় বারবার!
কিছুই ভালো লাগে না আর
কিছুই ভালো লাগে না আর
সাজানো সব স্বপ্ন হয়ে যায় ছারখার!-
সবাইকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে জানাই
শুভ নববর্ষের আকাশ সমান শুভেচ্ছা।
আগামী দিনগুলি সবার যেন সুখেই কাটে।
অনেক কিছুর অভিজ্ঞতার সঞ্চয়ে কেটে গেল ২০২৩-
কিছুটা আনন্দ, কিছুটা দুঃখ আর কিছুটা যেমন-তেমন।
মনে হয় এই তো সেদিন ২০২৩ এল,
আর আজকে শুরু হয়ে গেল ২০২৪।
সব ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে অলসতা দূরে ঠেলে
আবার নামতে হবে ময়দানে, চলবে পুরো বছর।
অতীত থেকে শিক্ষা আর বর্তমানের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে
আশার আলোয় এগিয়ে যেতে হবে ভবিষ্যতের দিকে।
প্রতিযোগীতার যুগ,
অবহেলা মোটেই কাম্য নয়
নিজের সেরাটা দিতেই হবে
নইলে পিছিয়ে পড়া থাকা আর গতি থাকে না।
চল তবে সবাই হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
নিজের সেরাটা দিয়ে দূর্দান্ত ভাবে কাজে নেমে পড়ি।
সবাই সুখে থেকো, সুস্থ থেকো।-
(৩)
বিনয় বাদল দীনেশ ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকী
মাষ্টারদা প্রিতীলতা মাতঙ্গিনী সরোজিনী
গান্ধী সুভাষ ভগৎসিং মৌলানা নেহেরুজী
রবী সুকান্ত নজরুল বিদ্যাসাগর রামমোহন
রাজিয়া তিতুমীর ঝাঁসীর রানী আরো যত মহান
স্বাধীনতার তরে হয়েছিলেন আগুয়ান ছিলনা পিছুটান।
তাঁদের শতকোটি প্রণাম, করি তাঁদের সন্মান
আর আজ যা দেখি চারদিকে শুধু স্বাধীনতার অপমান
স্বার্থের লোভে কত বেইমান, জাতির নামে যারা বজ্জাত।-
(২)
পরাধীনতা কত নির্মম
অনুভবে এনেছিল যারা
তারা আর বসে থাকতে পারেনি।
দিনরাত এক করে প্রাণ বাজি রেখে
নেমে পড়েছিল স্বাধীনতার সংগ্রামে,
প্রাণ যাক আর থাক চায় শুধু স্বাধীনতা -
এই লক্ষ্যে এগোতে গিয়ে তারা অনেকেই
দিয়েছে বলিদান, করেছে অনেক ত্যাগ স্বীকার
পিছুপা হয়নি ক্ষণিকের তরে থাকুক যত অভাবে।-
(১)
পরাধীনতার স্বাদ তারা আর কতটা বোঝে
যারা ভোগ করেনি পরাধীনতার বর্বরতা,
অবিচার নির্মমতা পাশবিকতা
সহ্য করেনি জোর-জুলুম অত্যাচার
দেখেনি ক্রুদ্ধ চোখের রাঙানি,
স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিক হয়নি,
লাভ করেছে শুধুই স্বাধীনতার সুখ
আর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে রেখেছে
নিজেকে নিয়োজিত প্রচণ্ডভাবে।-
(৫)
চেতনা যদি থাকে জেগে,
বুঝতে ভুল হয়না তবে,
একদিন সব ফেলে যেতেই হবে চলে
মায়ার বাঁধন সব ছিন্ন করে
সেই সারে তিন হাত মাটির অন্ধকার ঘরে।
চল তবে ওরে ভোলা মন ! এই বেলা
নিজেকে রাখি একটু একলা,
প্রভু নামে হয়ে পড়ি বিভোর,
স্মরণ করি তারে একমনে
গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়ি।
জীবনে ঘটে যত পাপ
অশ্রু ফেলে বিনয়ী হয়ে
দু'হাত তোলে চাই ক্ষমা
সরল পথে ভাসাই জীবন ভেলা।-
(৪)
সত্যিই, প্রিয় বস্তুটা যখন
চিরতরে চোখের আড়াল হয়ে পড়ে,
ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে।
মায়ার বন্ধন ছিন্ন হলে পরে
অন্তরে শোকের বন্যা যায় বয়ে,
তৃষ্ণার্ত নয়ন শুধু প্রিয় আধার খুঁজে।
ফিরে তো আসেনা সে, যে যায় চলে চিরতরে,
আশালতা আবার অবলম্বন খোঁজে।
সময় চলে তার পথ ধরে,
মানুষ চলে তার পরে
জীবন চলতে চলতে শুধুই মরে।-
(৩)
শেষে একটি ছাগল ও তার একটি ছানা
আর একটি বিড়াল ছানা প্রিয় হয়ে দাঁড়ায়।
আজ ভোরে বিড়ালের বাচ্চাটিকেও কুকুরে
ধরে নিয়ে যায় চলে, শেষে মেরে ফেলে।
বাড়িটা এখন সুনসান লাগে
গিন্নি আর ছোটো ছেলে
শুধুই চোখের জল ফেলে,
বড়ো দু'জন থাকে বাইরে,
মুরগি দু-তিনটি ঘোরাঘুরি করে,
আর কর্তা লেখালেখিতে
ব্যস্ত হয়ে থাকে।-