মন
অবাধ্য যতো...
জীবনে
শিক্ষা ততো....-
-ঐ যে কি হল?? আমার চা!!কই
-হ্যাঁ হ্যাঁ এই যাই......
-মা আমাকে তাড়াতাড়ি ছাড়ো.. দেরী হয়ে যাবে আজো আমি মেট্রোটা মিস্ করে যাব!! দুর!!
-অনু মা তাড়াতাড়ি আয় চুল বেঁধে দিই!! দেরী হয়ে যাবে!!..এই পলা সবজি গুলো কেঁটে দে আর টিফিন বক্স গুলো সব ঠিক করে ভরেছিস?? কাল কিন্তু বাবুর টিফিন প্লাষ্টিকে তেল ছিল বলেছে??
- হ্যাঁ দিদি করেছি
- সাবধানে যাস মা..
-কই তোমার মোজা পেলে
-হম পেয়েছি।
-বাবু তোর ঘড়ি!.
-ওহ হ্যাঁ রোজ দেরী হয়ে যায়,যাই!!
- ঔ আবার?? বল আসি...
- হমম 😁
- তোমারা সবাই এতো ভুলো মন কেন?? সব আমাকে মনে করিয়ে দিতে হয়!
-সবার এতো খেয়াল রাখো যে আর তুমি নিজেরো রাখো এবার.. বুঝলে..সুন্দরী..
- দূর্ বুড়ো বয়সে ভিমরতি যাও্। এখন আর দেরি হচ্ছেনা!!
-
প্রেমের অবক্ষয় টানে.......
দুজোড়া ঠোঁটের ছবি
ক্ষনিকের উষ্ণ অনুভুতি।-
তুমি ছায়া পথ ধরে এসো চেনা ছন্দেরই মাঝে পুরাতন অভ্যাসে!!
ডাকটিকিট আর টেবিল ল্যাম্পে হাত ছুঁতে চাওয়ার প্রেম;ইচ্ছাকে দমকা হাওয়া মাতিয়ে তোলে.......
তুমি হীন শুকনো ঠোঁটে অভাব পড়েছে আদর বেলার...
এসো তুমি আবারও!!! আমার মনের পথ ধরে হেমন্তের দুপুরে।-
এমন কোনো ঝড় আসুক;
যা বদলে দিক তোমার অবচেতন।
এমন কোনো ঝড় আসুক;
যা বদলে দিক তোমার রংচটা মনের দেওয়াল।
এমন কোনো ঝড় আসুক;
যা বদলে দিক তোমায় না পাওয়ার অসুখ;
তোমার নেশার বিষয়।
এমন কোনো ঝড় আসুক;
যা বয়ে আনুক শান্তির কাঠগোলাপ!
যা বয়ে আনুক সত্যের প্রেম!
আসুক ঝড়!!-
আর যা কিছু বলার ছিলো
থাক তা নিকোটিনের ছাইচাপা পড়ে
পরের জন্মে যদি আমার হও আবার
নিয়ে যাব সেই চিঠির অতল তলে।
যদি পরের জন্মে আবারো আমার হও;
তবে কথা দিলাম!!
প্রেম দিয়ে এমন বাঁধব তোমারে
যাতে যমো ভয় পাবে তোমার দুয়ারে ধূপ দিতে।-
কড়ির উপর ধানের শীষ যেমনরকম মানানসই
তোমার প্রেমের পূর্বরাগে লেখকের কলম বই
কড়ির সাথে সিঁদুর যেমন মাখামাখি করে
তোমার প্রেমের অনুভবে চিত্ত আমার বেলা ভোলে
-
=ডিসেম্মর=
কারোর কালোসময় শেষ
কারোর ভালোথাকার শুরু
কেউ ভালোবেসেছে
আর কেউ বা প্রেম করেছে
কেউ ভুল মেনে থমকে গেছে
কেউ শিক্ষা পেয়ে নতুন ভাবনা ভেবেছ।
আর আমি!!!!আমার কথা তো ঐ একই
বছর যাচ্ছে;বদলে যাচ্ছে দিন, সময়, নক্ষত্র, গাছ, মানুষ
শুধু আমিই বাদ পড়লাম এই নিয়ম থেকে একটু একটু করে বুড়িয়ে যাচ্ছি জেনেও;
নতুন করে খোঁজ নিতে যাচ্ছিনা তার!!!-
হঠাৎ সন্ধ্যায় জানলায় থেকে একটা কর্পূরে গন্ধ
পিপুল আর সবেদা গাছের ঝোপের পেছনে
কান্না!! হ্যা মেয়েলি ক্ষীণ স্বরের কান্না!!!!!
কিন্তু এই ভর সন্ধ্যায় এমনকরে কে কাঁদছে???
আচ্ছাএটা আদেও মানুষের!!! নাকি অন্য!!
হুস্ এইসময় এইগুলো কীভাছে সহিত্য।
(কথাটা বললেও মনে মনে কোথাও যেন একটা বুকের ধুকপুকানি আর নিঃশ্বাস গলার কাছে এসে আটক হয়েগেছে)।-