'অচেনা বৈশাখে' রোজ নতুন সকালে
এত চেনা - তবু কেন থাকে চোখ মেলে !
এ যেন অন্য এক নতুন পৃথিবী
ব্যবহারে - পোশাকে তার চোখে ফোটে ছবি।
বৈশাখ মানে কৃষ্ণচূড়া - মাধবী সুবাস,
রবীন্দ্র গানে গানে মাতাল বাতাস ।
কালবোশেখীর ছন্দে মনে, নতুন সৃষ্টির
বার্তা দিয়ে তুফান তোলে , মনে বৃষ্টির ।
পঁচিশে' এবার 'রবি' শুধু মনে মনে
শিহরণ জাগায় প্রাণে - ছন্দে - সুরে - গানে।
জীবন আর প্রেম যেথা একই আবাসে,
শরীরী - দূরত্বে কভু স'রে কী সে' পাশে ???...

-

দুপুরের এক গাল ভাত খেতে রবীন্দ্রনাথ পড়ে মনে,
তখন ভাবনার উঠোন জুড়ে শুন্যতা চ্যান করে-
ভিজে যায় আদি অনন্ত ভাবনারা...
কলিকাতা হতে পদ্মা এক হয়ে যায় কখন আনমনে।

-

ভালোবাসা বন্দী অলীক 'গুপ্তধন' এ।
'ফটিক' এর পেটে ভাতের প্রতিচ্ছবি!
'সুভা' মারা যায় মায়ের পেটে, ভ্রূণে,
মেঘ সরিয়ে তুমি আবার ওঠো 'রবি'।

-

হে নবীন তোমার উন্মোচিত হউক পুনর্বার কবিগুরুর জন্মের প্রথম শুভক্ষণে।
বিশ্বকবির আজি শুভদিনে রবির ন্যায় তেজ্শ্বী হোক সারা বিশ্বভূবন !!
হে নবীনা, প্রতিদিনের পথের ধূলায় যায় না চিনা ।।
- 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'

-

"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে"
---দিপেশ দাস
তোমার স্মৃতি গুলো আজ বেঁচে আছে, সমস্ত বিশ্ব জুড়ে।
যা কিছু লিখে ছিলে কবিতা ও সংগীত, পল্লিতে ঘুরে ঘুরে।
মানব সমাজ গর্বিত আজ,তোমার সমস্ত কিছু আঁকরে ধরে।
নিত্য-সঙ্গীত ও কবিতা পাঠে, আনন্দ মুখরিত প্রতি ঘরে ঘরে।
সবার হৃদয়ে আছো তুমি, হয়ে গর্বের ও সম্মানের বিশ্ব কবি।
দেশের মতো বিদেশেও আজ, তুমি উজ্জ্বল এক গর্বের রবি।
কত কত কবিতা ও গান তোমার, লিখেছো শৈশব থেকে।
তোমায় দেওয়ার নাই কিছু, তাই কলম দিলাম এঁকে বেঁকে।
০৭/০৫/২০২০ইং তারিখে,
তোমার জন্মদিনের, হৃদয় জুড়ালো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করি।
আশির্বাদ হিসেবে চাই যেন ,অল্প কিছু লিখে নিজ সম্মান গড়ি।
হে মহান লহ প্রণাম আছি মোরা সঙ্গীত ও কবিতা নিয়ে বেশ।
তুমি ই মোদের শ্রেষ্ঠ গুরু, জীবনের প্রথম এবং সর্বশেষ।

-

আমার জীবনে আপনি মহেন্দ্র ছিলেন
তাই হয়তো আশালতার কাছে ধরা দিলেন
আমি পড়ে রইলাম বিহারীর কাছে বিনোদিনী হয়ে.....
চোখের বালির মতোই কতো জীবন যে বয়ে
কী সুন্দর লিখেছো ঠাকুর তুমি রবির কিরণ দিয়ে ।।

-

বিষয় --'বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'
কবিতা--"হে মহান ভাবাদর্শ"
কবি--দিপেশ দাস
হে মহান ভাবাদর্শ, হে মহান বিশ্ব কবি,তব চরনে শতকোটি প্রণাম।
২৫শে বৈশাখ আজি এই পুণ্য তিথিতে,তব আবির্ভাবে ধন্য মোরা, ধন্য এই মানবজাতি।
নির্বোধ বালক হইতে বৃদ্ধ বয়সী,সকল মানব আজ তব প্রেমে মুগ্ধ।
ধন্য হে মানব দরদী, ধন্য তব কার্যে,ধন্য তব ভাবাদর্শে, ধন্য সম্পূর্ণ ধরা।
শিশু কবি হইয়া আরম্ভ করিয়া ছিলে পথ,পাইলে বিশ্ব কবির খেতাব ।
অসংখ্য নাম কামিয়ে শেষে,সংগীত দিয়ে করিলে নিজ জীবন সমাপ্তি।
বাল্যশিক্ষায় প্রথম পাঠ করিয়াছি তব হস্তে লিখিত ছড়া,
বিদ্যালয়েও অসংখ্য কবিতা পাঠ হইয়াছে,আজ অবধি পাঠ বন্ধ হয়নাই।
তব হস্তে লিখিত কবিতা ও সংগীত যতই করিয়াছি পাঠ,
যতই শুনিয়াছি দূরদর্শনে,
যেন তব সহিত প্রেম আরো উজ্জ্বল ও কোমল হইয়া উঠিয়াছে ।
আজি এই তব জন্ম তিথিতে সংকটময় ভয়াবহ মুহূর্ত,
সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়াইয়া রহিয়াছে মহামারি।
আনন্দ পূণ্য আবির্ভাব দিবসে,
ইচ্ছে হইয়াছিল মুক্ত মনে, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করিব।
সুগন্ধি পুষ্প দানে আলোকময় সজ্জিত মঞ্চে,
গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিব।
দুঃখিত হে মহান কবি,
দুঃখে নয়ন জলে ভাসিয়াছে বুক ।
তবুও নিজ মনে রাখিয়াছি পাহাড় সম প্রেম,
রাখিয়াছি সমুদ্র সম শ্রদ্ধা।
লহ প্রণাম হে মহান,
লহ প্রণাম মোদের গর্বের বিশ্ব কবি।

-

এককোনে তাক মলাটধূলো, আরেকটিবার ফিরবে যদি?
ফিরতিমোড়ে ভাবনাকলম, পেরিয়ে যাবে বর্ণনদী।

এইঘরে মেঘ শহরজুড়ে, আঁজলা ভরে জল খাবে কই
মৃত্যুগাছের খর্বধাবক, দেখছো?,ওগো বিশ্বজয়ী...।

একলা আমি, আঁকছি আকাশ,বৃষ্টিরোগের হাপিত্যেশে
ভিজলে ও চোখ, রাখছি মাথা, ভাঙলে আবার ভালোবেসে।



তোমার দেওয়া হাজারকলম, বাঁচুক ওদের প্রতিশ্রুতি
ফাগুনগানে, আখর জানে, উপন্যাসের অনুভূতি।

কবিতাকথা, প্রার্থনা আর, খেলনাভোরের কুন্দমায়া
আজকে আবার, গল্প তোমার, অনন্ত যার উপচ্ছায়া।

ফের ও চোখে, বইলে নদী, সোনার তরী ভাসিয়ে দিও...
তোমার কোলে রাখব মাথা, রবিঠাকুর, সামলে নিও।।

-

কেমন আছো দাড়ি বুড়ো ?
জানতে বড়-ই ইচ্ছে করে ,
পৌঁছে দিয়েছো বাঙালী-কে তুমি
বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে ।
‘বিশ্বকবি’ উপাধি-তে ,জগৎ-জোড়া খ্যাতি তোমার
‘ভানুসিংহ’ ছদ্মনামে-ও ,রাজ করেছো তুমি ,
‘সঞ্চয়িতা’ ,‘গীতবিতান' ,কোনটা রেখে কোনটা বলি ?
সন্তান হিসেবে তোমায় পেয়ে ,ধন্য যে এই ভারত ভূমি ।
আধুনিকতা-র বড়াই করি
হানি সিং-এই থাকি মজে ,
আজকের দিনে সত্যি ক'জন ?
তোমার গানের মর্ম বোঝে ।
থমথমে পরিবেশ-ও আজ
হঠাৎ করেই রবি-ময় ,
প্রকৃতি আজও তোমার আশায়
আকাশ পানে চেয়ে রয় ।
এসব শুনে হাসছো বুঝি ?
হচ্ছে একটু অভিমান ?
প্রেম কিংবা বিরহের প্রকাশে
আজ-ও যে ভরসা তোমার গান ।
সময়ের তালে এগোবো সবাই
নতুন ‘ট্যালেন্ট’-ও আসবে জানি ,
তবে ,রবি ঠাকুর আর হবে না
কথা-টি এক বাক্যে মানি ।
ক্রিকেট-ফুটবলে-ই মগ্ন থাকি
ব্যস্ত বছরের প্রতিটি দিন-ই,
তবুও ,শয়নে-স্বপনে নিদ্রায়-জাগরণে
সর্বক্ষণ-ই রইবে তুমি ।।

-

জানতাম আছো, কোথাও হয়তো,
মৃত্যু তোমার নেই...
তোমার লেখা, তোমার আঁকা,
নতুন আজও সেই...
হটাৎ করে ভিড়ের মাঝে খুঁজে
পেলাম তোমায়...
সময় করে লিখো কিছু আমার
পুরোনো ঠিকানায়...

-