মা
---দিপেশ দাস

মায়ের হাতের মাখা ভাতে
অমৃত সমান স্বাদ,
শৈশব কাটে কোলে মায়ের
নিয়ে হাঁসির চাঁদ।
নিজের হাতে গড়েছেন মা
আমার যত সুখ,
কষ্ট চেপে খানিক হাসেন
গর্বে ভরান বুক।
এই পৃথিবী মায়ের গড়া
ভাবলে বুঝবে শ্রম,
মায়ের স্নেহের স্বপ্ন কাড়তে
ভয়ে কাঁপে যম।

-

বিশ্বাস দেবে ধাক্কা
---দিপেশ দাস

ওরা সবে সুযোগেরি
পায়রা সেজে উড়ে,
বিপদ কালে সঙ্গ ছেড়ে
হাঁসি ফুটায় দূরে।
বাইকে যখন পেট্রল প্রচুর
পকেট ভরা টাকা,
তখন ওরা বিশ্বস্ত ভাই
লাগবে না যে ডাকা।
জোঁকের মতো কামড়ে ধরে
চুষতে থাকে রক্ত,
বুঝবে ওরা নিজের আপন
ভাববে নিজের ভক্ত।
যখন তোমার ফাঁকা পকেট
হিসেব থাকুক পাক্কা,
কটুক্তিতে জ্বলবে দেহ
বিশ্বাস দেবে ধাক্কা।

-

আজ আর সেই আগের মত ভাঙে না ঘুম পাখির ডাকে,
জাগি না এখন সূর্যের আগে ডিজিটেল দুনিয়ায়,
কইনা কথা বন্ধুর সহিত , খেলিনা রান্নাবাটি,
চলিনা এখন সবার তালে হাসিনা হা হা করে,
আদব কায়দা ভুলে গেছি বড়দের দেইনা সম্মান।
---দিপেশ দাস

-

যেই মেয়েটি জন্মের পরেই বাবাকে হারিয়ে হয়েছিল অনাথ । গরীব দুঃখিনী মায়ের আঁচল টেনে কেঁদে চলতো সারাক্ষণ । অসহায় অবস্থা দেখে নাতনিকে দাদু এসে নিয়ে যায় মাতুলালয়ে। সেখানেও খুব কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে বড় হতে হয় মেয়েটিকে । প্রাপ্তবয়স্ক যুবতী মেয়েটিকে ভালো পরিবার দেখে বিয়ে দেওয়া হলেও কপালে যে তার দুঃখ লেখা কে খন্ডন করতে পারে । শশুর বাড়িতে দিনের পর দিন জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো , এমতাবস্থায় জন্ম দিয়েছিল এক পুত্র সন্তানের । তাতেও কি দুঃখ কষ্ট কমে যায় , সেই অসহায় মেয়েটি প্রতিনিয়ত কুলাঙ্গার স্বামী ও তার পাষন্ড পরিবারের পৈশাচিক অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় ।

-

পাশের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করার পূর্বে নিজের বাড়িতেও অগ্রীম জলের ভাণ্ডার স্থাপন করে রাখা উচিৎ । কারণ কারো ঘরে আগুন নিক্ষেপ করতে গেলে সেই আগুনের শিখা নিজের বাড়িতেও বাতাসের সাহায্যে পৌঁছতে পারে।
---দিপেশ দাস

-

চমক পাবে বলে বলে কাটিয়েছো বেলা,
শেষ বিকেলে নিষ্ঠুর তুমি করলে হেলা ফেলা।
---দিপেশ দাস

-

পাগলটা শুধু পাগলামী করেই দিন কাটালো, বুঝলোনা মূল্য প্রেমের, রইলোনা মধুর সম্পর্কে আটকে।
পাগলামির জন্য সে নিজের জীবনটাকেই তুচ্ছ ভেবে করে দিল ক্ষত-বিক্ষত।
হাল ছেড়ে সে হারিয়ে গেল অসুস্থ জগৎ মাঝে,
ভুলে গেল প্রিয়জনের সাজানো স্বর্গ তুল্য সংসার।
---দিপেশ দাস

-

বয়স যতই হোকনা তোমার, হওনা একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি , তবুও মনটা তোমার শিশুই থাকবে।
--দিপেশ দাস..

-

বাঁধ ভাঙ্গার অপেক্ষায় না থেকে যদি সময়মতো খানিকটা মেরামত করে নেওয়া যেত , তাহলে নিম্নে বসবাসরত লোকেরা বন্যায় ভাসতো না।
বাঁধ ভাঙার পর খরচা দ্বিগুণ হতোনা তৎসঙ্গে অন্যের জীবন যাপনো ধ্বংসের মুখে পড়তোনা ।
তাই যেকোনো কিছু খারাপ পর্যায়ে পৌঁছার পূর্বেই সারিয়ে তুলতে হয়, সেটা হোক বস্তু কিংবা কারো মনের দরজা।
---দিপেশ দাস

-

পরন্ত বিকেলে বাড়িয়েছিলাম পা দুটো, ফাঁক খোঁজে ব্যস্ততার মাঝেই আমি সন্ধান চাইছিলাম সেই অতীত কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু ।
যেই কাহিনীতে তোমার ফেলে যাওয়া স্নিগ্ধ ছোয়া মিশ্রিত ছিল।

-