#জীবন্ত রামধনু
"কিছু রামধনু ফোনের মুঠো বন্দি করা যায় না....তার বাইরেও কিছু জীবন্ত রামধনু আমাদের চারিপাশের ব্যস্ততার মধ্যে ওতপ্রোতভাবে লেগে আছে,যা হয়ত আমাদের নজরেই পড়ে না...!"
(যাক,এই প্রেক্ষাপটে লেখা আমার একটা কাল্পনিক বাস্তব মেশানো গল্প ক্যাপশনে আছে পুরোটা ।একটু বড় গল্প ধৈর্য্য ধরে পড়বেন প্লিজ।চেষ্টা করলাম অন্যরকম লেখার।💓💓💓💓😌😌😌🙏🙏🙏)-
দিগন্ত ঘেঁষে সূর্য যখন অস্ত যায়,
তখন কাক স্নানের চর্চা ওঠে ঘাটে ঘাটে,
ধুয়ে ফেলি মর্গের নিভৃতে পরিকল্পিত
সমস্ত জীবন্ত থাকার ষড়যন্ত্র ,
আয়নাকে কে না ভয় পায়?
রাত্রির কাঠগড়া ও আত্ম গ্লানির ওকালতি,
তাই রোজ মরা মানুষের গন্ধ মাখি শরীরে,
কুকুরের মতো সে গন্ধ শুকে নিয়ে,
বিচার শুনিয়ে দেয়, চোবিশ প্রহরের
হরিনামের মতো,
তুই মৃত! তুই মৃত!
আমি কান দি না ওসব কোথায়,
কারণ আমার ধর্ম যে ভিন্ন!
-
"বিয়ের করার খুবই কি গুরুত্বপূর্ণ"
তোমার মেয়ে বয়স কতএই 28, কি,30বছর হবে/
এখনও বিয়ে করে নি, না! আচ্ছাওর কি পছ্ন্দ?
না!ওর জীবনে ওর মত কর ভাবুক/আজমামাতো ভাইয়ের বিয়ে/বিয়ে বাড়ি গেলে আলোচনা হয়!
তোখন আমার মনে হয় ওরা বিয়েপর কতটা সুখী আছে/আমি অনেক অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরে এসেছি!ঐ28 কি30 বছর পেরিয়ে, বিয়ে করিনি কেনো/মাঝে মাঝে নিজে প্রতি রাগ হয়তো/যদি ছেলে হতাম তাহলে কেই বলতো না/মা-বাবার কোনো চিন্তা ছিলো না/একটা সময় বাবা মারা গেলেন/তাঁর মৃত্যু নিয়ে করও চিন্তা ছিলো না/
কিন্তু আমার বিয়ে নিয়ে সবার মাথা ব্যাথা ছিলো/
এর, বেশ অনেক দিন পর বান্ধবীরা বলে কবে বিয়ে করবি রে/মুচকি হেঁসে বললাম,কর বো/
ওদের বললাম, তুই তো প্রায় 12বছর বিয়ে করেছিস ? বলতো তোর বর কত বার ঘুরতে নিয়ে গেছে? জানি পারবি না বলতে!! জানিস আমি বিয়ে আগে পৃথিবীর অধিকাংশ জাগায় ঘুরবো/আমি চাকরী করি মোটামুটি মাইনা পায়/তাতেই আমি নিজের শখ পূর্ণ করতে পারি//তোদের বর কে বলিস দেবে কিছু?তোদের মনে দিধা থাকে তখন/
এতো এই মাসে শাড়িটা কিনেছি 20,000হাজার
টাকা দিয়ে/না রে আমি নিজে উপার্জন করি খুব, সাধারণ জামা কাপড় পরি; ভালো আছি//অনেক কিছুই পাওয়া যায় স্বামী ছাড়া/হোক না 30বছর বয়স//প্রতি দিন কাজ সেরে এসে, পাশে বালিশ জড়িয়ে ঘুমিবে! আমার মনের খোঁজ নেবে না! আমাকে সস্মান কর বে না! আমাকে মূল্যায়ণ করবে না!এমন জীবন সঙ্গী চাই না রে//
-
সে আছে, আর তার ঝগড়া,তার অভিমান,তার খুনসুটি, তার আদর, তার ভালোবাসায় ভরা একটি সুন্দর মন ও আছে, তাই জীবনটা এখনো জীবন্ত আছে।
-
তোমার দেওয়া গোলাপটা আজও আছে জমানো কবিতার পাতার মাঝে,
প্রেমটা হয়েছে অভিশপ্ত, শুধু স্মৃতিরা জীবন্ত আছে।-
রোদেলা বর্ষায়, টিনের চালের ফাঁকে,
একফোঁটা বৃষ্টির জল, ঘরের মেঝেতে আঁকিবুকি করে;
পত্রমুদ্রা, খড়কুটো, আর পায়রার ছোট্ট বাসা,
দূরের মাঠে হারিয়ে যাওয়া যৌবনে , কুঞ্চিত মুখে
কাকের পালক পড়ে থাকে;
সন্ধে তখনো হয়নি, আলপথে আঁকাবাঁকা পাম্পের জলের স্রোত,
তেরছা মৌরলা মাছের পসরা;
ট্রাক্টর গুলো, তখনও কাদা মাটিতে সরূ ফিতে বসিয়ে চলেছে,
লাল চিরুনিতে হাত রেখে বিনুনি টা তখনো বড্ড অগোছালো;
আহাম্মক! সুপ্রাচীন বিদ্রোহের খবর, মুখে মুখে নৃত্য করে বেড়ায়,
সংস্কৃতির বড়ই কদর, আড়ালে শুধু কোকিলটাই অবাঞ্ছিত চেষ্টা করে চলে ;
বেড়ার ঘরেও "লোহার পেরেক"অর্ধনগ্ন হয়ে,
মনোযোগ দিয়ে শুনে বেড়ায় আপিস ফেরত, নিঃসঙ্গতা।
PG:Raisa Dey
-
ওই যে থকথকে মেঘ
জমাট বাঁধেনি অনেকদিন,তাও কালো হয়।
এই যে মন,অভিমান দেখানোর স্বভাবটা, কোনো স্বপ্নের নরম ডালে তুলে রেখেছে।
তাও হাসি দিয়ে জয় করে বৃষ্টি।
সেদিন থেকে বাতাস বইছে,ঝড়ের সতর্কবার্তায় কাঁপেনি বুক।
তবু স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে কূল,কিনারা ছুঁতে হয়তো কয়েকটা রাত।
যে পথ দিয়ে হেঁটে গেছি অসংখ্যবার...
শুধু চিহ্নগুলো স্মৃতি হয়ে আছে।
আকাশের গায়ে রাত জাগা পাখির মত কল্পনার ভরে কবিতারা গান গাইবে কোনোদিন।
আমি থাকবো না সেখানে,
তবু যদি কখনো জানালা দিয়ে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য্য ওঠে,
বুঝবো অপেক্ষারা জীবন্ত ফসিলস।
-
পরিপক্ক মিথ্যে দিয়ে ভুলিয়ে রাখা সম্পর্ক গুলো কেমন যেন সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে।
-