এ,,কদিন কত কথা বলেছি তোমার সাথে,
দুঃখের কথা গুলো তো তুমি জানো,
এবারে তাহলে একটু খানি শান্তি তুমি দিও,
মাগো বছর বছর আবার এসো,
দুঃখ গুলোকে সাথে নিয়ে গঙ্গায় ফেলে দিও,
মাগো শক্তি দাও সহ্য দাও ভক্তি দাও মনে,
আবার একটি বছরের অপেক্ষায়,
যেন থাকতে পারি আনন্দ ও প্রফুল্ল মনে,,,,,-
পতির আলয় একথাই তো শুনে আসছি,
জ্ঞান হবার পর থেকে,
শ্বশুর বাড়ি,স্বামীর বাড়ি, ছেলের বাড়ি,
একথা কেনো শেখানো হয়না বা উপলব্ধি করানো হয়না??
সবাইকে আপন করে আগলে রাখা আজম্মকাল, নানাবিধ অসুবিধা সত্ত্বেও মেনে ও মানিয়ে নেওয়া,
যে আলয়,,,,,,, শুধু তোমার জন্য আলোকিত হয়ে ওঠে বারবার প্রতিবার,
তা কেনো বাপের বাড়ি?? কেনো শ্বশুর বাড়ি, কেনো স্বামীর বাড়ি?? কেনো নিজের আলয় নয়? কেনো বলা হয়না তোমার ঘরে তুমি স্বস্থানে বিরাজ করো?
কেনো বলা হয়না বাপের বাড়ি,শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু হয়না? সবই তোমার, তুমি ছাড়া সৃষ্টি অচল, তুমি ছাড়া শান্তি স্বস্তি অচল,, কেনো বারবার বোঝানো হয় তুমি শুধু পরের জন্য???????, আসবে আর চলে যাবে,,,,-
পরাধীনতা আর সহ্য নয়, গর্জে ওঠো তোমার গর্জনে কেঁপে উঠুক ওদের চেনা পৃথিবী, বুঝিয়ে দাও যা সত্য তা মানতে পারলে কোনো সমস্যা নেই, নতুবা মেঘফাটা প্রবল বৃষ্টিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ওদের হিংসার পৃথিবী, মন, প্রাণ,,,,,,
-
একটাই সমস্যা ওদের,,,
কিছু মানুষ বুঝেও কিছু বুঝতে চায়না,
যেটা তাদের কম্ম নয়,
তার পিছনেই ছুটে বেড়ায়,
মানতেই চায়না নিজেদের পরাজয়,-
এই পৃথিবীতে একটি নয় দুটি নয়,
কোটি কোটি বিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠে সম্পর্ক,
-
একটা সময় সমস্যা মিটে যাবে,
একটা সময় সব শান্ত হয়ে যাবে,
একটা সময় ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে,
একটা সময় আপনজনেরা খোঁজ নেবে,
একটা সময় বিদ্রুপ বন্ধ হবে,
শুধু ধৈর্য্য ধরে নিজেকে ধরে রাখতে হবে,
শান্ত মাথায় কল্পনাকে সার্থক করতে হবে,
শুধু সময় কে সাথী করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে,,,-
সম্পত্তি তোমার একটাই তোমার মানবিকতা,
সম্পর্ক তোমার একটাই হৃদয়ের ভালোবাসা,
সম্পত্তি তোমার একটাই তোমার ব্যবহারের প্রতিটি সুন্দর শব্দ,
সম্পত্তি তোমার একটাই পৃথিবী ছাড়ার পর যেন রয়ে যায় তোমাকে মনে রাখার কর্ম ব্যবস্থা,,,,,,-
কথা ভীষণ দামি,
কথা ভীষণ শানিত,
কথা ভীষণ লজ্জিত,
কথা অর্থবাহী,
কথা জঞ্জাল,
কথা সম্মান,
কথা অসম্মান,
কথা চিরস্থায়ী,
কথা চিরশান্তি,
কথা অধিকার,
কথা বেসামাল,
কথা অনধিকার চর্চা,
কথা অফুরন্ত,
কথা জীবন দায়ী,
কথা অসমাপ্ত,,,,-
কর্ম যদি বেমানান হয়,
যদি তা গঙ্গাস্নানে পুন্য হয়,
সেটা তাদের মানসিক ভাবনা,
কিছু ক্ষণের জন্য শান্তি,
কিন্তু কর্ম যদি মানানসই হয়,
তবে তা পুন্য স্নান হয়,
যা মন প্রাণের প্রশান্তি,,-
জীবন্ত মরদেহর স্তুপ,
বাক্যে অসংযম,
অসংখ্য ভুলে ভরা,
মানবতাহীন,
মমতা বিহীন,
দুপদী প্রাণী,
সুবিধা ভোগী,
অসংখ্য নামের বহুরূপী,
মন মতো সংলাপে খুশি,
প্রতিবাদে অত্যন্ত অসুন্তুষ্ট,
এরা জীবন্ত,
কিন্তু নিজের তাগিদে,
আমাদের কাছে এরা মর দেহ,
চোখে প্রলেপ,
ধুলোয় মাখা হৃদয়,
সমাজের জঞ্জাল,
তবুও এরা সংখ্যায় অধিক,
অদ্ভুত এদের অধিকার,
লুটে পুটে খাওয়া,
স্বচ্ছ আলোয়,
সত্যি সত্যি সৎ মানুষের দল,
গড়ে উঠুক এই সমাজের বুকে,
মর দেহর স্তুপের ওপর,,,,,,,,,,,-