একটি নয় দুটি নয় হাজার কোটি বিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠা জীবন নাম হীন শূন্যতায় হঠাৎ ভরে যায়,
কালো ঘন অন্ধকার নেমে আসে দুচোখের দৃষ্টিতে, মনেহয় সবকিছুই একরাশ ধোঁয়া,
না পাওয়ার বেদনা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ঘুণ পোকার মতো,
চারিদিকে কেবলই শূন্যতা,
আগে শূন্য মাঝে শূন্য হয়তো শেষেও একটা বিরাট শূন্য,
আক্ষেপ থেকে যায় জীবনে কি পেলাম কি চেয়েছিলাম সেই নিয়ে,
হিসেব করা শেষ পঞ্চভূতে বিলীন এই দেহ,
জন্মান্তরে হয়তো বিশ্বাস, ভালোবাসা, নিয়ে দৃষ্টিতে আশার আলো নিয়ে, শূন্যতা গুলো এক এক কোরে ঢেকে দেবে সেই জীবন।।-
আসলে সমস্যা টা হলো মানসিক,
কারণ সুখ অতি সুক্ষ, সময় পেলেই ফুড়ুৎ,
আর কে কিভাবে তা উপভোগ করে বা করবে সেটা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে,
কেউ এক আকাশ মেঘের নিচে দাঁড়িয়ে সুখ অনুভব করে,
কেউ আবার নিজেকে অত্যাধিক সুখী মনে করে অট্টালিকায় বসবাস করে সুখ খোঁজে,
এটা
যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার,
তবে ছোট ছোট আনন্দ নিয়ে যদি বেঁচে থাকা যায়,
যেমন নিজের মনে কিছুক্ষন একলা বসে থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আনন্দর চিত্র গুলোকে স্মরণ করা, বা একটু বৃষ্টির জল, কিংবা মিঠে রোদে গা এলিয়ে বসে, একটু পান চিবনো, এইরকম নানান ছোট্ট ছোট্ট বিষয়ে চেটে পুটে আনন্দ উপভোগ করে নেওয়ার নাম সুখ।।।।-
ভালোবাসা সে নয়তো পণ্য,
ভালোবাসা সে যে অনন্য,
ভালোবাসা নয় রক্ত মাংস দিয়ে গড়া কোনো মূর্তি,
ভালোবাসা নয় অহেতুক আনন্দফুর্তি,
ভালোবাসা নয় অহংকার,
ভালোবাসা নয় বিশ্বাস হারাবার,
ভালোবাসা নয় অন্যায় অধিকার,
ভালোবাসা নয় হার মানবার,
ভালোবাসা শুধুই অনুভূতি,
জীবন মরণের মাঝে অপূর্ব শান্তি,
ভালোবাসা সে তো খনি রত্নর অধিকারী,
ভালোবাসা যে বুঝতে পারে,
ভালোবাসা শুধু তারই।। ❤️-
পর্বতের চূড়া হইতে নিচের দৃশ্যপট অতীব ক্ষুদ্র,
ঝর্ণার জলে হয়তো ক্লেশহীন শান্তির শুদ্ধ যাপন,
কিন্তু ধরিত্রীর ছোট্ট ছোট্ট ঘাসের ডগায় যে শিশির বিন্দু তার দৃশ্য অতীব দৃষ্টি মধুর।।-
ছন্দ বিহীন জীবন দুঃখ ও লাঞ্ছনার অন্তর্ভুক্ত, বহিঃপ্রকাশ একরাশ বিরক্তি,
অধঃপতন অনিয়মিত যাপন,
প্রয়োজন শুরুতেই নিয়মের বেড়াজালে নিজের পরিচয় খোঁজা, নির্দিষ্ট যাপনের পথ খোঁজা,
নিজের আত্মা কে পরিশুদ্ধ করা, নিয়মিত নিজেকে বিশ্লেষণ করা।।-
সান্নিধ্যে থাকা স্নেহের পাত্র হয়ে থাকা সে যে পরম সৌভাগ্য, যে পায় তার জীবন বর্তে যায়,তার নিজের কোন ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনা, কিন্ত যে সারাজীবন একলা সহায় সম্বলহীন বঞ্চিত জীবন কাটায়, সে পৃথিবীর সকল পরিস্থিতির সাথে লড়াই করবার ক্ষমতাকে হৃদয়গত কণ্ঠগত করে একরাশ দুঃখ থাকলেও শক্ত হয়ে লড়াই করবার ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে।।
-
অনেক শব্দের মানে বুঝিনা সোজাসুজি চলতি কথা বুঝি,
সেই শব্দ সাজিয়ে নিয়ে একলা পথ চলি,
কে আমায় মন্দ বললো কে বললো ভালো,
তা নিয়ে ভাবতে গেলে সময়ের মূল্য বোধটাই গেলো,
তাই চলো নিজের ছন্দে, জীবন কাটাও নিজ আনন্দে,
যদি কেউ স্বার্থপর বলে তা বলুক না তাতে কিবা যায় আসে,
তোমার রাজ্যের রানী, বা রাজা তুমি বাকি কথা জোয়ারে ভাসে।।-
কে তোমার শত্রু? আর কেইবা তোমার মিত্র? অন্তরে তো সবাই আছে, বুঝবে তবে কেমন করে? তোমার দুঃখে যে দুঃখী, তোমার সুখে যে সুখী, সেই তোমার পরম বন্ধু এ কথা যেমন ঠিক, তেমনি এ কথাও ঠিক শত্রু শুধু কটূভাষীই হয়না, মিষ্টি মধুরেও ছদ্দবেশীরা শত্রু হয় অধিক।।
-
প্রখ্যাত সেই বিশিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত সুখ দুঃখের সমাহার একমাত্র তাঁর কতক পাণ্ডুলিপি,
যার মূল্য এখন শুধুই ঘুণপোকারা হেসে খেলে দেয়,
বাকি যারা তাঁর আপনার অনেক আশার প্রদীপ,
তারা সম্পত্তি কি রেখে গেলো তার হিসেব নিকেশ করে চিতার আগুন ঠান্ডা হওয়ার আগে, হায়রে আপনজন।।-
উপদেশ নাও কিন্তু অগাধ বিশ্বাসে নিজের ক্ষতি করোনা,
ভালোবাসো কিন্তু অগাধ বিশ্বাসে নিজেকে শেষ করে দিওনা,
-