যে রাধার, ময়ুরী দেহে প্রেমের ছোঁয়া,
যে রাধার, চুলের খোপায় কৃষ্ণ ঢাকে,
যে রাধার, প্রেমের আখ্যানে মুগ্ধ জগৎ,
সেই রাধা, বিরহের অগ্নিকুন্ডে জ্বলেছে আগে।

যে রাধা,কলঙ্কিনী হয়ে কেঁদেছিল নিরুপায়,
যে রাধা,ভক্তি ভরে সর্বাঙ্গ ঢেকেছিল কৃষ্ণনামে,
যে রাধা,ময়ুরপঙ্খী আপোষ করেছিল স্বস্নেহে,
সেই রাধার,রজনী তবুও ওষ্ঠ ছুঁয়েছিল বদনামে।।

-

কৃষ্ণের মুখোশধারী কংসরুপী মানব,
রাধার প্রেম নিয়ে খেলো।
শরীর ছোঁয় ! তোমার দানব,
পিশাচ নয় মানুষ হয়ো।

-

কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে মন তবু পায়না দর্শন
যমুনার তীরে বসে রাধা ,আকাশ নয়ন।
সখিদের ডাক জুড়েও শুধু কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম
মোহন বাঁশি ভোলায় মন,কোথায় ঘনশাম।
চোখ খুলে কৃষ্ণ খুঁজি,ময়ূর পালক মাথায় গুঁজি
পাইনা তোমার দেখা,ভাবি কেষ্ট ফাঁকি দিলো বুঝি।
কৃষ্ণ সে তো রাধার ই মন,মনের মাঝে আছে সে জন।
দেখতে তারে কেউ পাবেনা, কেবল শুনতে পাবে বাঁশির সুর
কাছে গেলে মনে হয় তুমি - আরো দূর কত দূর ...।

-

পালক

শ্যাম তুমি যে ভুবন 'পালক'
আগলে রাখো পৃথ্বীটাতে
কজন বলে?'ভালো থেকো তুমি'
ছোট্ট ময়ূর 'পালক' হাতে।

-

যে গানে কৃষ্ণ নেই,শুনি সে কেমন গান!
সেযে বাঁশির সুরে মাতিয়ে রেখেছে জগৎ-শুদ্ব প্রাণ,
মন ময়ুরী পেখম মেলে,সেই সুরের তালে নাচে,
প্রকৃতি তাতে ছন্দ বেঁধে,সেও আপন ধাঁচে বাঁচে।
মৃতের দেশে প্রেম নামিয়ে,যার সপ্ত সাগর জয়,
অপরূপ সে ত্রিকালদর্শী,তার নামে পাপক্ষয়।
প্রাণের দেবতা হে প্রিয় তুমি এসো,দুয়ার রেখেছি খুলে,
নিজগোয়ালের মাখন দেবো,ময়ূরপঙ্খী বাঁধবো চুলে।

-

বিচলিত মন আকাশকে শুধায়,দেখছো আমার প্রাণ সখাকে?
কি বললে??কাকে??ওগো আমার কৃষ্ণ,মুরুলীধারী,
অদৃশ্য তিনি,তবে শুনতে পাচ্ছনা,
জগতজুড়ে মধুর সুরে,বংশী যে বাজিছে তারি।
বিচলিত মন নদীকে শুধায়,দেখেছো আমার প্রাণগোবিন্দকে,
তাকে দেখার লাগি,খোলা চোখে স্বপ্ন আসে রাত্রিযাপনে,
যদি সে চুপিসারে এসে চলে যায় সংগোপনে,
ওহঃ, কিন্তু তিনি যে অদৃশ্য ,কিভাবে দর্শন পাবে তার!!
যদিও আমার জলের প্রীতিটি কনায় তাহার আভাস পায় বারবার।।
বিচলিত মন ফুলকে শুধায়,দেখছো আমার শ্যামসুন্দরকে??
শুনেছি নাকি,তোমার সাথে খুব ভাব!
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছ তবু অদৃশ্য তিনি,
আমার সৌরভে লুকিয়ে থাকা তার স্বভাব।
তবে কি আমি আমার কৃষ্ণকে কোনো দিনই পাবো না??
জানি জগতের প্রীতিটি বস্তুর মধ্যেই তোমার অস্তিত্ব,
তবু আমি তোমাকে না নিয়ে যাবো না।

-

রাধে তুমি তো বেশ সুখেই আছো তোমার আয়ান ঘরে...
আমি একা বিরহ শোকে তোমার তরে পুড়ছি জ্বরে।

-

কৃষ্ণের কালোয় রাধা বাঁচে, রাধার জন্মদিনের খবর রাখো?
তবে সখীর সাথে কৃষ্ণ করলে লীলা, কলঙ্কিনী রাধাকে কেন ডাকো?

-

পরমাত্মার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মোরা সবাই

মর্তের নাট্যমঞ্চে নাটক করিয়া খাই

পরিশেষে মহাজগতে বিলীন হইয়া যাই ।।

-

হে নারায়ণ তোমার
হাতের, ঐ সুদর্শন চক্রে
মহামারী রোধ করো..
হে " মুকুন্দ" আমাদের
এই মৃত্যুর চক্রবুহ থেকে
তুমিই , একমাত্র নিস্তার
দিতে পারো..

-