প্রিয় সমাজ,

আশা করি এখনও ভুলে যাওনি।এই তো সবে তোমায় ছেড়ে এসেছি।ভাবছো এত তাড়াতাড়ি উতলা কেন হয়ে পড়লাম, তাই তো!কিন্তু না লিখে কীই বা করতাম আর।এই অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছে না যে!একদল বিকৃত মনস্ক মানুষ আমাকে ছিঁড়ে খেয়েছিল সেদিন।ফাঁকা বাসে শ্বাপদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কিংবা অপহরণ করে নিয়ে এসে,দিনের পর দিন পালা করে ভোগ করেও সাধ মেটেনি ওদের,খুন করে রক্তের হোলিও খেলেছিল,জানো।তখন তুমি কোথায় ছিলে?ওদের মতো আমিও তো এই সমাজেরই মানুষ ছিলাম।কিন্তু কী অবলীলায় ওরা আমাকে মাংসপিণ্ড ভেবে ছিঁড়ে খেয়েছিল।উফ্,কী অসহ্য কষ্ট!!কোথায় ছিল তখন তোমাদের প্রতিবাদ,ভগবান কিংবা আল্লা!বোধ করি তাঁরাও শীতঘুমে ব্যস্ত ছিলেন সেদিন!...ভেবেছিলাম মরেও শান্তি পাব।কিন্তু তোমার নিয়মকানুন যে ঠুঁটো!তাই আজও শান্তি পাইনি বেঁচে আছি এক হতাশাগ্রস্ত মৃত্যু উপত্যকায়।আমার ক্ষত-বিক্ষত শরীর থেকে আজও রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে।আর কত সহ্য করব আমরা,আর কত!সাথে হাহাকার হয়ে জেগে রয়েছে আমারই মতো আরো অনেকের শেষ প্রশ্ন-"এ তোমার কেমন বিচার?"

তাই,চাইব আর বাঁচিয়ে রেখো না আমাদের উত্তরসূরীদের।নারীবিহীন করে বন্ধ্যত্ব উপহার দাও সমাজ ঐ নিকৃষ্ট কাপুরুষদের!দুচোখ ভরে দেখি জ্বালা জুড়োই!সমাপ্তি এসে নাহয় আবার সব নতুন করে শুরু করুক।দেখো সুবিচার রেখো তখন,শুধু এতটুকুই আবেদন।নমস্কার।

নিবেদান্তে -
বিচারের আশায় জাগ্রত হাজার হাজার নির্যাতিতা।

-

প্রিয় মানুষ,
চিঠিটা পড়ে তোমার হাসি পেতেই পারে। ভাবতেই পারো নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আবার কেউ নিজের কথা বলতে পারে নাকি? নাহ্,আমি বেঁচে আছি আর আছি বলেই তোমাকে আমার কটা কথা বলতে চাইছি।তোমরা ছোটবেলায় নাকি পড়েছিলে আমরা তোমাদের বন্ধু,তা বন্ধু হয়ে আমাদের সাথেই অন‍্যায়টা করলে।আর তোমাদেরই বা দোষ দিই কি করে?নিজের পরিবারকেই যেখানে তোমরা মেরে ফেল,সেখানে আমরা তো কোন ছার?আমরা তোমাদের খাদ‍্য দিই,মাথার ছায়া দিই,বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করি আর তোমরা আমাদের নিয়ে ব‍্যাবসা করো।আমরা বারবার তোমাদের লোভের বলি হয়ে এসেছি।তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের সবকিছু তোমাদের এখনও দিয়ে চলেছি।তোমরা আমাদের হত‍্যা করে নিজেদের সুখের নীড় গড়তে চাও।আমাদের উৎখাত করে তোমরা নিজেদের বীর প্রমাণ করছ,ভুলে যেও না আমরা গরীব মানুষ নই,প্রকৃতি মাতা আমাদের সহায়।আমরা বিচার পাবোই।তোমাদের বন্ধু ভেবে বলছি আমাদের হত‍্যা করা বন্ধ করো।ভবিষ্যতে এর ক্ষতিপূরণ দেবার ক্ষমতাও তোমাদের মধ্যে থাকবে না।তাই আবারও বলছি,
সাবধান মানুষ।
ইতি-
একটি গাছ

-

প্রিয় "মন",
তুই কেনো এতো অবুঝ?
কি করে সারাবো তোর অসুখ?
কেনো সব বুঝেও এতো কম বুঝিস?
কেনো নিজেকে জেনে বুঝে কষ্ট দিস?
মাঝে মাঝে তো নিজেরও ভালো বুঝতে পারিস,
পাড়লে আমার কথা অল্প শুনে চলিস।
কেনো তুই মিথ্যে প্রত্যাশা সযত্নে রাখছিস?
যেটা হওয়ার নয় সেটা কেনো চাইছিস?
একটুআধটু তো ভালো থাকতে পারিস,
নিজের সাথে আমাকেও ভালো রাখতে পারিস।
ইতি
তোর শুভাকাঙ্ক্ষী "মাথা"।

-

প্রিয়,
একদা খেলতে আসা ছেলেটা -

কেমন আছিস? থাকিস কোথায় এখন যেন তুই?
তখন ছিল বিকেলবেলা ভুবন ভরা ঘাস,
মাস গড়াল বছর - আমি চিলতে হয়ে শুই,
খুব ব্যস্ত - এখন কি আর খেলতে সময় পাস?
পড়ছে মনে, স্কুলের থেকে ফিরেই সে এক ছুট
মায়ের দেওয়া জলখাবারের আধ ছড়ানো প্লেট?
দলবদলের অংক সেরে দশ বারোটা ভূত
উঠলো মেতে ফুটবলে বা আজ হবে ক্রিকেট।
এরপরে তো ঘন্টা দুয়েক মারমার কাটকাট
তিন টাচে গোল কিম্বা বাকি চার বলেতে পাঁচ,
পড়শিপাড়া আসতো ছুটে খুব যদি উৎপাত -
'নই আমি গো ,সত্যি কাকু ওই ভেঙেছে কাঁচ'!
স্কুলের পরে কলেজ, শুনি অনেক নাকি দূর -
তোদেরও তো আর দেখি না,অন্য কোথাও বাস?
অপেক্ষাতে হাঁফিয়ে উঠি, বুঝি এবার সুর
কেটেছে, এখন ঘেরে কংক্রিটে নাগপাশ!
আমার দেহে নিত্য ছুরি - ভিতের কবর পাতা ,
ফ্লাটের পাশে আরেকটা ফ্ল্যাট এবং বুঝি আরো...
এখন কখন বিকেল গড়ায় বুঝতে পারি না তা,
এই চিঠিটা সেই ছেলেটায় পৌঁছে দিতে পারো?

আছিস কেমন? কোথায় যেন এখন থাকিস তুই...
আমি এখন অন্ধকারে চিলতে হয়ে শুই।
এখন গেমের দামাল ছেলের টাচ স্ক্রিনেতে বাস,
রূপকথা ঘাস প্রশ্ন করে - খেলতে সময় পাস?

ইতি -
ছেলেবেলার খেলার মাঠ।

-

প্রিয় ডারউইন,

  আজ প্রথম চিঠি লিখছি তোমায়। একরাশ মনখখারাপ নিয়ে। বেশী লিখব না,কারন তোমরা জ্ঞানপাপী। সবটা জানো।
    এই লেখা শুধু আমার নয়, আমার সাথে রয়েছে চড়াই পাখি, মৌমাছি থেকে শুরু করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, কৃষ্ণসার হরিণ, মেরু ভাল্লুক আরও অনেক প্রজাতি যাদের ভোটার কার্ড নেই।

  আবহাওয়ার চরম বৈষম্য, খরা বৃষ্টি  শৈত্য প্রবাহ, প্রতি নিয়ত উল্কাপাত, এক বিশৃঙ্খল পৃথিবীর সাথে সমঝে কাটিয়ে দিলাম লক্ষ লক্ষ বছর। সব সহ্য করে। মাত্র কয়েক হাজার বছরে তোমাদের ইতিহাসে আজ যেতে হল আমায়।

  কি  বলেছিলে তুমি, পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে যে মানিয়ে নিতে পারবে না সে হারিয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে তাইতো? এটা তো বলোনি যে মানুষ নেবে শেষ সিদ্ধান্ত। থাকা বা না থাকার বন্ডের নিচের দিকে সইটা থাকবে তোমার মত কোন মানুষের। দেখলে, আমাদের এতো মোটা চামড়া নিয়েও পারলাম না টিকে থাকতে। তোমরা বহাল তবিয়তে টিকে আছ। বুঝতে পারছ চার্লস চামড়া কতটা মোটা হয়েছে তোমাদের এখন?

  জাস্টিস ফর আশিফা, নির্ভয়ার সাথে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জাস্টিস ফর সুদান ও তো করতে পারতে আর একটা দিন। অবশ্য না করাটাই স্বাভাবিক। কারন আমার কোন জাতি বা ধর্ম ছিলনা। তাই আমার দেহটা তোমাদের 'খাদ্য' নয়।
  খুব ভালো হতো জানো যদি আমরাও ওই ফিনিক্স পাখির মত আগুনের মুখ থেকে ফিরে আসতাম আর আগুনটা রেখে দিতে পারতাম তোমাদের চিতার উদ্দেশ্যে।

কেনিয়া,এপ্রিল১৮ ইতি, সুদান

-

প্রিয়,
রমজান
প্রথমেই বলি আমি ভালো আছি।তুই ভাববি এতদিন পর হঠাৎ মনে পড়ল, তা নয়।যদিও এর মধ্যে তোর যে আমায় মনে পড়েনি তা ডাকবাক্স ঘাঁটলেই বেশ বোঝা যায়।আজ হঠাৎ পুরনো শিবমন্দিরের পাশের গলিতে ওয়াসিম কাকার সঙ্গে দেখা;কীরকম রোগা হয়ে গেছেন যেন,তবু চোখগুলো আগের মতোই ধারালো।ওনার কাছে তোদের ফোন নম্বর ছিল না,তবে নতুন ঠিকানাটা পেলাম।তোরা চলে গেছিস নয় বছর হল, তবু আমাদের ছেলেবেলাটা যেন সেদিনের।তুই ভাবছিস খোশগল্প করার জন্য এ চিঠি।ভাবনাটা আংশিক সত্য হলেও পু্রোটা না।
তোর মনে আছে আমাদের বাড়ি থেকে একটু হাঁটলেই দীঘির মাঠের পাশেই সেই দুহাত-ছড়ানো সোনাঝু্রি গাছ।মা বলতেন যেন গৌর-নিতাই এর মতো দুহাত তুলে নাচছে।আর তুই বিঙ্গের মতো বলতিস,"না না কাকিমা,ঠিক করে দেখ,যেন হজরত মহম্মদ কাউকে হাত তুলে নির্দেশ দিচ্ছেন।"তোর হাবভাব দেখে মা তো হেসেই খুন।আমি যদিও ওখানে গাছ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেতাম না।
তারপর সেই দাঙ্গা লাগল।দীঘির মাঠে মন্দির হবে না মসজিদ,সে নিয়ে লড়াই হল খুব।রক্ত ঝরল।তোরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলি রাতারাতি।আর পরদিন রাতেই কারা যেন দলবল নিয়ে এসে কেটে ফেলল গাছটা। ছাদ থেকে হালকা জোৎস্নায় ঐ গাছের মধ্যে স্পষ্ট দেখলাম ক্রুশবিদ্ধ যীশুখ্রীষ্টকে।আকাশের দিকে তাকিয়ে যেন বলছেন,"পিতা এদের ক্ষমা কোরো,এরা জানেনা এরা কী ক‍রছে।"আজ এখানেই আমার দৌড় শেষ, ভালো থাকিস।
ইতি,
রক্তিম

-

প্রিয়,
প্রেমিক/প্রেমিকা

কারণে অকারণে যখন ডাক দাও আমায়,গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে.. ওরা হিংসায় জ্বলে তাই দেখে কি যে আনন্দ হয় আমার.. ওরা এগিয়ে আসতে চায়,চিৎকার করে উঠতে চায়.. তুমি আবার আমায় ডাকো.. আর মুছে ফেল ওদের.. ওদের হারিয়ে আমাকে জিতিয়ে দাও তুমি প্রতিবার.. আমি ভাবি আমাকেই বুঝি ভালোবাসো সবচেয়ে বেশি.. কেউ জানতে পারে না অনুভূতিগুলো প্রতিমুহূর্তে খুন করো তুমি.. আমি বুঝি কিন্তু দেখতে পাই না.. তোমার প্রেমে যে অন্ধ আমি.. দোষ চোখে পরে না.. ওদের তুমি বোঝাও আমিই দায়ি.. হাসিমুখে কলঙ্ক গায়ে মাখি আমি.. তবু তোমার গায়ে লাগতে দিই না.. লেখও তুমি,মোছও তুমি,শুধু দোষ হয় আমার.. কেউ বুঝতেও পারে না আমাকে ব্যবহার করো তুমি.. প্রয়োজন মেটাও তুমি.. আমার আড়ালে নিজেকে লোকাও তুমি..

ইতি
তোমার ব্যাকস্পেস

-

'প্রিয়, "পলাশ",
," হয়তো আজ তোমার মনে নেই, সেই পলাশ বনের পাখির কথা। ঘুরে দেখলাম,, বেশ সাজানো সংসার দেখছি ।নতুন বরণ এর শ্রেয় ঘর ।ও হ্যাঁ--
ফিরতি পথে তোমার ধুম জ্বর হয়েছিল তো !!তাতেই ,মিলিয়ে গেছে নিছক পলাশ বনের পাখির মন। যদিও সত্যি তোমার উচিত নতুন কে আগমন করা পবিত্র মনে ।
পরশু তো নতুন বউ সাজবে তোমার ফুলশয্যার খাটে, আজ তোমার হলুদ গালে তোমার প্রিয়তমা লেগে ।
তবে ধন্যবাদ, সেই বৃষ্টি ভেজা রাতের আশ্রয় পাওয়া রাতের ভালোবাসার জন্য । যার জন্য আমি মুক্ত আমি।
ভুলেই যখন গেলে মনে করবোনা।আসলে, খোঁজ চেয়েছিলে তুমি ফেরত পথের ধারে।তাই তো আত্মা আমার খুঁজে এলো এই বাইপাস লেনে,
স্বপ্ন দেখেছিলে তুমি আমায় নিয়ে, ভালোবেসেছিলে তুমি আমায় আমার পাখির ডালে ।
আমারও তো কর্তব্য তোমাকে সত্যি জানানো ,পুরোনোটা ফাঁকফোকর দিয়ে যদি আবার তোমায় টানে ।
আমি ছিলাম এক অতৃপ্ত আত্মা ,ভালোবাসা র আঘাত এর দগমা না নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলাম ।
তৃষ্ণা ছিলো শরীরে, তরুণী তো বলো ।
তবে মুক্তি পেয়েছি আমি সেই ভালোবাসার রাতে ।
তোমার ভালোবাসায় মুক্ত এই পাখী।
ভুলে যাও বলবনা মনে রাখতেও বলব না।
বাঁচিয়ে রাখো আমায় তোমার খামখেয়ালি জগতে।।"
-ইতি
পলাশ বনের পাখি

-

মৃত্যু দেবতা যমরাজ,
মৃত্যুলোক, স্বর্গ

মাননীয় মহাশয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা মর্ত্যলোকের ঠগবাজগণ ও হত্যাকারীগণ। সারাজীবন বহু মানুষকে ঠকিয়ে শত শত কোটি টাকা ও সম্পত্তি রোজগার করেছি; আমাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাণী হত্যা করেছি। নিজ নিজ অঞ্চলের সরকারকে ঘুষ খাইয়ে বা বিদেশে পালিয়ে বিলাসিতাপূর্ণ জীবনযাপন করেছি। এখন আমরা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। পাপে সম্পূর্ণ ডুবে; স্বর্গলোকে স্থান লাভের আশা রাখি। এখানে কাদেরকে কত পরিমাণে কি কি ঘুষ দিলে স্বর্গ লাভ সম্ভব তা বিস্তৃতভাবে জানতে চাই। এছাড়া এখানে মর্ত্যলোকের থেকে বেশী বিলাসিতা ভোগ করা যায়? ঘুষ দিয়ে কি দেবতার পদ লাভ করা সম্ভব? এ সব প্রশ্নেরও বিস্তৃত উত্তর জানতে চাই।
আশা করি আপনি যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে আমাদের পত্রটি বিবেচনা করবেন।

ধন্যবাদান্তে, আপনার বিশ্বস্ত,
মর্ত্যলোক ঠগবাজগণ
তা:*** ও হত্যাকারীগণ

-

প্রিয়... কোনকিছু বলে সম্বোধন করাটা বোধ হয় আর মানাবে না,

তোমাকে চিঠি লেখার ঠিকানাটা শুনলাম পাল্টে গেছে? চাকরির বদলটাই কি একমাত্র কারণ ছিল? নাকি সাদা পাতার ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া অজস্র অভিমান গুলো কুড়োতে কুড়োতে তুমি ক্লান্ত হয়ে পরেছ?

বুঝতে আমি আগেই পেরেছিলাম, তিলে তিলে বদলে ফেলছিলে নিজেকে। আমার চাহনিতে মেশা ইচ্ছেগুলো পড়তে পারতেনা আর। পাশাপাশি বসে থেকে যে নির্বাক দৃষ্টিটা আমার ময়নাতদন্ত করতে পারত, তাকে ছুটি দিয়েছিলে তুমি। বেশ খেয়াল হত আমার আঙুলগুলো নিয়ে খেলা তো দূরের, জনশূন্য গলি পারাপারের সময় আমাদের হাতের আলাপ বিনিময়ে ছেদ পরেছিল। হাওয়ার অজুহাতে আমার চুল তোমাকে স্পর্শ করলে, বিরক্ত হতে তুমি। কামনাগুলো মাঝে মাঝে পরিণতি পেত ঠিকই, কিন্তু তাতে আদর ছিল না। শেষটায় কিছুটা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম তোমায়,অধিকারটা হয়ত ফুড়িয়ে গিয়েছিল। একরাশ অভিমান অনুভূতিগুলোকে বাক্যহারা করেছিল, স্বপ্নগুলোর পূর্নতা লাভ আর বোধ হয় সম্ভব না।

শেষবার বিরক্ত করলাম তোমায়, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমি। একটা শেষ আবদার রাখবে? তোমার গল্পের পরবর্তী নায়িকা হিসেবে কনো পাগলিনীকে বেছোনা। উন্মত্ততা শুধু ভালোবাসতে জানে, যোগ্যতা মানে উত্তীর্ন হওয়ার পাঠ তার নেওয়া হয়ে ওঠেনি।
- ইতি, পরিচয়টা হয়ত তোমার ঝড়াপাতা হয়েই থেকে যাবে চিরকাল...

-