কাক বলে পায়রাকে
'ফুটবল পায়ে রাখে'।
পায়রাটি বলে, 'কাক
তুই বাপু জলে থাক'।
কাক বলে, 'কেন কেন,
বলে দিস যেনতেন...
আমি বাপু হাঁস না কি!
বেয়াকুব পাস না কি?'
হেসে বলে পায়রাটি,
'হাতে হাত আয় রাখি'।-
নেশায় pen ধরি 🖋
ট্যাগলাইন :
আই দিয়া দেখি, আইডিয়া খুঁজি
ভাল লাগে:
সুকুমারী গ... read more
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই। সামনে লড়াই, অনেকটা পথ, কঠিন লড়াই।
অনেক দিনের আবর্জনার স্তুপ জমেছে,
চুপ ছিল সব কিন্তু এখন ঘুম ভেঙেছে।
জীবন দিয়ে তিলোত্তমা ভাঙলো বেড়ি,
আর দেরি নয় আর দেরি নয় আর না দেরি... ভাইবোনেদের শক্ত চিবুক ঠিকরে আলো -
জাগাচ্ছে মন সুপ্ত চেতন, হঠছে কালো।
সত্য সে তো আপন বলে হয় না ভীত,
নতুন ভোরে হবেই হবে উদঘাটিত।
সেই ভোরে সব গ্লানির কাছে চাইবো ক্ষমা,
এই মিছিলে আমরা সবাই তিলোত্তমা।-
ঈশ্বরের পাশা
------------------
নীড় অতি দূর ছিল, পথিক সাধক
পথ প্রতিপথ প্রতিপল খুঁজে পায়...
পক্ষীর দৃষ্টি - তা বিস্বাদ হোক,
নির্ণীত সত্যের অন্যথা রায়।
পূর্ণতা সম্পদে অসাম্য গান,
বৃত্ততে মিথ্যা ও ইত্যাদি রয়,
আজ যদি বিচ্যুত স্বচ্ছতাস্নান...
সাংখ্যতে শঙ্কিত তুচ্ছ হৃদয়।
অংশত সংশয়ে আসীন শ্রাবণ
সম্ভাবে অম্বর অর্থ সাজায়,
অঙ্গনঝঞ্ঝার অলীক কাহন
খন্ডিত সত্যের স্পর্শটি পায়।
অঙ্কিত থাক তবে সন্ত আলাপ,
সম্ভাব্যতা থাক অবাধ্যতার,
অনিত্য সূত্রে যে সঙ্গতা লাভ -
গানিত্যে বাঁধবি তা - এ সাধ্য কার!-
দূর কালো ভেদ করে আলোপথ বেয়ে
একে একে ট্রেনগুলি আসে, থামে, ফের চলে ধেয়ে।
দু'দন্ড বিশ্রামের তরে ট্রেনগুলি থামে; ক্ষণিকের কোলাহল জমে ওঠে...
গভীর জলের মীন যেইভাবে মুখ তুলে চেয়ে ফের লীন হয়ে যায় অতলের জলে -
অবিকল নীরবতা ফের নেমে আসে এই মধ্যরাতের নীড় স্থির প্ল্যাটফর্মে।
এইসব আনাগোনা মাঝে,
একটি বালক শুয়ে ভূমিপরে - অলৌকিক ঘুমে!
সে মুখে ক্লান্তি আছে, নাই গ্লানি...
নির্নিমেষ চেয়ে থাকি -
যেন এই আলো-ধ্বনি-গতিযুগ হতে বহুদূরে
সে এক নগরী গড়েছে একাকী।
শেষ ট্রেন ছেড়ে যায়...
খসখস খাতা লেখা স্টেশনবাবুর ভ্রুকুটির
আজকের মতো হয় ছুটি।
স্থিরদীপশিখা ন্যায় জ্বলে থাকে প্ল্যাটফর্মবাড়ি,
মস্ত দালানে তার এককোনে - ছোট একফালি
বুদ্ধের ঘুম নিয়ে জেগে রয় সেই বৈশালী।-
"Water has memory"
--------------------------
কথায় বলে - 'জলের মতো সোজা'...
সহজ তো নয় জলকে অতো সহজ করে বোঝা!
একটি জলবিন্দুকে
উৎস নিয়ে জবাবদিহি যেই করেছে নিন্দুকে -
জলের কণা সপ্রতিভ
জবাবটি দেয় সাফ অতীব,
বংশধারার পরম্পরায় আউরে গেল 'সিন্ধু'কে...
তথ্যখানি যত্নে রাখা ছিলই মগজ সিন্দুকে!
দ্রাবক এবং দ্রাব্য ঠিক
বেশ বুঝে নেয় ভাবগতিক,
দ্রবণ জুড়ে জলের কণা খেলায় ওঠে মেতে,
ধারণ করে ধরণখানি মগজে নেয় গেঁথে।
ভাবতে পারো যদি -
সময় হল প্রকান্ড এক নদী...
নদীর বুকে অঢেল জলরাশি,
খন্ডসম মুহূর্তরা বইছে পাশাপাশি,
ব্যক্তি 'তুমি' এবং 'আমি' এবং 'আমরা' যতো...
দ্রাব্য-দ্রাবক বিলীন হয়ে ঠিক দ্রবণের মতো!
জলের স্মৃতি আছে,
কালের স্মৃতি আছে,
জলছাপেতে দ্রাবের কথা যেমন তাহার গাহে -
ঠিক তেমনই তোমার কথা কালের অববাহে...-
শেষ দোকানের ঝাঁপ নেমে গেলে রাস্তার ছুটি,
আজকের মতো শেষ যাবতীয় অযথা ভ্রুকুটি।
ঈর্ষার আলো নেভে; দানবীয় কৃষ্ণ আকাশে
সৃষ্টির মূলে যেই স্তব্ধতা ছিল - ফিরে আসে।
ঈশ্বর স্মিত হাসে, কোলাহল হলাহল পানে
বিমূর্ত তনুখানি কালি হয়ে আছে সবখানে।
মৃত্যুর কাছে এসে নিশ্চুপ বসে থাকি একা,
কাল ফের এসে ধ্যান ভেঙে দিয়ে যাবে আলোরেখা...
-
নাচিয়ে ভুরু বললো আমায় - 'ভিজতে হবি রাজি?
বৃষ্টি এলে খুঁজিস নাকি ছাতা?
এমন করলে খেলবো না তো, এক্কেবারে যা তা...'
তখন আমার উঠোন জুড়ে রোজের রুটিন আঁকায়
বাউন্ডুলে কপট রাগে খেলাচ্ছলে তাকায়,
টাপুরটুপুর ছলাৎছলে ভাসলো সে সব লেখা -
নিজের প্রতিচ্ছবির সাথে হঠাৎ হলো দেখা।
তারপরেতে কান্ড হলো সে যা -
কারণ ছাড়া শুধুই
শুধু ভেজার জন্য ভেজা...-
বৃষ্টিমুখরদিন টুপটাপক্ষণ...
জল আঁকে জলছবি, হাওয়া আঁকে ঝড়।
মনে অতঃপর
উঁকি আঁকিবুঁকি কিছু আবেগ-আখর।-