জীবন স্মৃতির পটে স্কুল জীবনটা বাঁধিয়ে রাখার মতো অধ্যায়,
বন্ধুত্ব, আবেগ, খুনসুটি, প্রেম সব জমা মন ডাইরির পাতায় পাতায়।
টেস্টের পর গল্পের আড্ডা সাজাতে চলত কোচিং এর বাহানা,
আড়ি-ভাবের গল্পগুলো আজও স্মৃতির ক্যানভাসে করে আনাগোনা।-
*বধির মাস্টারমশাই ও ছাত্রের সাক্ষাৎকার*
------------------------------------------------------
#মাস্টারমশাই হাতে এক ডাবর তেল নিয়ে নিবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন, হঠাৎ রাস্তায় ছাত্রের সহিত সাক্ষাৎ ---
ছাত্র - স্যার এত তেল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
মাস্টারমশাই - এত বেলগাছ থাকতে থাকতে তুই বেল খুঁজছিস, যা না যা স্কুলের পিছনে কত পাবি l
#স্কুল ক্যাম্পাসে অনেক নারকেলগাছ আবাসিকরা যথারীতি ডাপ চুরি করে খায় ও পাশের একটা জঙ্গলে সেগুলি গোপন করে রাখে, শিক্ষক ঘনিষ্ট এক ছাত্র বিকেলে খেলার বল খুঁজতে গিয়ে সেগুলো তার দৃষ্টিগোচর হয় l
তৎক্ষণাৎ -----
ছাত্র - স্যার জানেন ওই জঙ্গলে কত ডাপ !
মাস্টারমশাই - দ্রুত এক মস্ত লাঠি নিয়ে, অনেক সাপ, চল দেখি l
#এক তাপসীলি ছাত্রকে স্টাইফেন পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষকমহাশয় যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন l তাই উক্ত ছাত্রটি কৃতজ্ঞতা জানাতে শিক্ষকমহাশয়ের নিটক উপস্থিত, ঠিক সেই সময় মাস্টারমশাই পরনে ভিজে গামছা পুকুর থেকে স্নান সেরে উঠছেন ----
ছাত্র --- স্যার আপনার মনটা ভীষণ বড়ো,
আপনাকে আমার শতকোটি প্রণাম l
মাস্টারমশাই --- তার পর থেকে পুকুরে স্নান করা বন্ধ করে দিয়েছেন l😜😜
-
স্কুলে বিয়ের আসর!
দেখে শুনে অবাক হয়েছিল বাণী, শুধুই বাণী, আসলে নতুন তো;
শিক্ষিকারা কানাঘুষো করে বলছে এ আর এমন কি...
প্রধান আমতা আমতা করছে, "না মানে আমি বারবার বারণ করেছিলাম, ওরা আসলে নামী দামী লোকজন তো তাই..."
এই ওই সেই, যেন কথার রহস্য উপন্যাস।
অভিভাবক এর একাংশ বলে উঠলো, "ভালোই হয়েছে, ধান কাটার সময় কদিন স্কুলটা বন্ধ থাকবে।"
আর এক দলের চিন্তা, "মিড-ডে মিল পাবে না মেয়ে গুলো?"
এ সব জটিল সমস্যার উত্তর পাঠ্যবই এ নেই।
পাড়া থেকে ছুটে এলো স্বস্তির টান, "ভালোই হয় এই মেয়ে গুলোর নকশার পড়াশোনা বন্ধ হলে, সারা দিনের কিচিরমিচির..."
সমর্থন ও এলো, "তা যা বলেছো বৌদি, কী হবে পড়ে লিখে, শেষে তো সামলাতে হবে কড়াই,ডেগচি।"
হাসির আওয়াজ উঠলো আর তাতে ঝাপসা হয়ে গেলো ছোট্ট দিশার বিড়বিড় করে বলা কথা গুলো, "স্কুলটা খুলে দাও না গো, অনেক পড়া বাকি, বাণী দিদিমণি বলেছেন ভালো করে পড়ে আমি যা খুশি তাই হতে পারবো, এমনকি পুলিশও।"
ছোট্ট ইউনিফর্ম গুলো অবুঝ, বুঝতেই পারছে না শিক্ষায় ধস নেমেছে।।-
কত মিষ্টি মুহূর্ত ছিল স্কুল বাড়িটাকে ঘিরে,
যা আজ খোলা চিঠি দিয়ে যায় স্মৃতির দোয়ারে।
আর চোখের পাতায় এঁকে যায় পুরোনো দিন,
যে দিনগুলি ছিল প্রফুল্লের রংতুলির রঙে রঙিন।-
স্কুল ছুট হয়ে মোদের হারালো সখা,,
নেই আর মিষ্ট রাগের বকাঝকা....
নিত্য নামে স্যার-ম্যাম দের মজায় ডাকা,,
এখন সেসব মূল্যবান স্মৃতিতে রাখা...
পরের দিনের খবর নেওয়া,,
কখন আসবি বল...
আজ এসব হয়ে দাঁড়ায়,,
আচ্ছা রাখছি চল...
লুকিয়ে লুকিয়ে গল্প শোনা,,
ঘন্টার পর ম্যামদের যাওয়া সময় গোনা...
Hs ছিল চৌকাঠে দাঁড়িয়ে,,
তাসের ঘর দিল উড়িয়ে....
রেজাল্টের দিন শেষ দেখা বিষন্নতা মনে,,
আজও যে ইউনিফর্ম আলমারির কোণে...-
আজকে আমরা খুব mature
পড়তে যাই college,
আড্ডা চাই ঠাট্টায় চাই,
মিমস চাই savage.
.
আর হয়না স্কুলের দেখা,
ক্লাসরুম গুলো বড্ড একা,
ক্লাসরুম এর ওই নোংরা ছবি,
Monitor এর ব্যর্থ দাবি...
.
হেডস্যারের ওই গরম চোখ,
পড়ত ডান্ডা বাড়ালে নখ,
মনে পড়ে সেই tiifin hour, সরস্বতী পুজোর ধুম,
নিরালা দুপুরে মন ভারী করে, কাঁদে আমার ক্লাসরুম।-
সেইতো দুবছর আগে মাধ্যমিক দিয়ে
নতুন ইচ্ছা নতুন আনন্দের সাথে একাদশ শ্রেণীতে পা দেওয়া ;Science Commerce Arts কে কোন বিভাগে যাবে তা নিয়ে এক দোটানায় পড়া; সব বিবাদের পর পচ্ছন্দ সই বিভাগে পড়া ,আর আজ সেই দুটো বছর শেষ..আড়াই মাস আগে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে; কত ভাবনা কত চিন্তা কত আবেগ
হ্যাঁ দুবছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর একটু বিরাম পেয়েছিলাম;স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সেই আবেগটাই আলাদা ছিল..তবে শেষ পরীক্ষার দিন স্কুল গেটের মুখে দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই যেন বুকটা কেঁপে উঠলো..বার বার মনে হচ্ছিল তবে কি আজ শেষ হল স্কুল জীবনের পরীক্ষা
আর কখনই কি আসবেনা এই দিন গুলো
যেন সেই অপরিচিত স্কুলটাও হাতছানি দিয়ে ডাকছিল;আর আজ খুব তাড়াতাড়ি এই আড়াই মাস শেষ হতে চলেছে...ফেলে রাখা স্কুলের সেই উনিফর্ম আবার পড়বো
আবার সেই চেনা স্কুল বারান্দায় দাড়াব
যেন মনে হবে স্কুলের প্রতিটা বিল্ডিং হাত বাড়িয়ে ডাকছে..তবে তার সেই আহ্বানকে অবজ্ঞা করে;; সমস্ত পিছুটানকে ফেলে রেখে এগিয়ে আসতে হবে..স্যার ম্যামদের প্রনাম করে নতুন পথে পাড়ি দিতে হবে..হয়তো যে চোখের জল আজ গোপনে ঝড়ছে সেই জলও কোনোকিছুর বাঁধ না মেনে সবার মাঝেই গড়িয়ে পড়বে;
হয়তো সেই দিন স্কুল জীবনের প্রতিটা স্মৃতিরা তার শেষ চেষ্টা করবে আটকানোর
তবে সেও জানে আমাদের পরিচয় সেই দিন থেকে প্রাক্তনের খাতায় জমা পড়েছে ।।-
যদি ফিরে যেতে পারতাম
যদি যেতে পারতাম ছোটবেলায়
বিকেলের খেলায় উন্মত্ত হতে পারতাম
যদি যেতে পারতাম আবার স্কুলে
সবার টিফিন করে নিতাম ভাগ
ঝালমুড়ি,ফুচকা এর ভিড়ে খুঁজতাম
মাঠে খেলতাম লুকোচুরি, বরফপানি
টিফিনের পরেও না ঢুকতে পাড়ায় হেডস্যারের বকা
সবাই মিলে ক্লাসে নুপুর ম্যাম এর ইতিহাস হল্লা চিল্লা
দিলীপ স্যার কে রিক্সা বলে ডাকা
প্রদ্যুৎ স্যারের ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করা
সৌমেন স্যার এর কান মোলা
সুমন স্যারের ইয়ারকি,সঞ্জয় স্যারের ভয়
স্বরূপ স্যারের ইংরেজি ক্লাসের জন্য অপেক্ষা
সরস্বতী পুজোর কাজ ভাগ করে নেওয়া
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
শিক্ষক দিবসে ক্লাস নেওয়া
সব যদি ফিরে পেতাম আবার
আর কোনোদিনও ফিরে পাওয়া যাবে না
সত্যি দিন গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে-
সারারাত বৃষ্টি হবে আর পরের দিন
স্কুল যেতে হবে না -
এই রকম রাত বড্ড মিস করি-
ক্যাকটাসের গানটা বড্ড পছন্দের -
"সেই যে হলুদ পাখি"-