বাস্তব অবাস্তবের পরিহাস নিয়ে মাথা ঘামাইনা
ভাগ্যকে আমি দোষ দি না
কোনসময় ভুল হয়েছে,একই প্রশ্নোত্তর বহুবার ফুটে উঠেছে
উঠেছে বারবার ঠিক হয়েও বেঠিক এর উত্তর জানবার
জানতে চাই , না না চেপে রাখা প্রশ্নের উত্তর !
বুঝতে চাই তাকে ।
কিন্তু সে নিজেই তো বলতে চায়না
বা চাইলেও বলতে পারে না
কিন্তু কদিন বা নিজেকে আটকে রাখবে
মুখে তো একদিন বলতে হবেই,
নিজেকে প্রজ্জ্বলিত করার দিন চলে এসেছে।
ডাক দিয়েছে নতুন দিনের সূর্যের শিখা ।।
যদি খারাপ হয় হোক,ভালো হলেও হোক,শুধু বেদনা রেখোনা
নিজের ইচ্ছের গুরুত্ব দিও.....
সুস্থ্য থেকো ভালো থেকো,ইচ্ছে হলে আবার এসো !-
পুড়ে হয়েছি ছাই
জ্বলন্ত পিন্ড যেনো হালকা ভেজা শিশির চায়
শরৎ কি এবারও আসবে না?
বসন্ত কে কি খুঁজে পাওয়া গেছে ?
শীত তো কবেই গিয়েছে ।
উত্তাপ যেনো সব গ্রাস করতে চাইছে !
তৃষ্ণা যেনো আর মিটতে চায় না
কাগজ ফুল রাস্তায় তার পাপড়ি ঝাপটে তোলে,
ডাক দেয় বৃষ্টি ।
তাতেই যে অল্প রেশ কাটবে
ভিজে যাবে সব বালি !
নতুন করে বাঁচিবার পথ খুঁজে নেব সব,
অচেনা এক স্থানে ?
যেখানে কেউ থাকবে না !
থাকবে শুধু তারা,
তারায় তারায় রটিয়েছে
নতুন করে বাঁচবার স্বপ্ন দেখে যারা ।-
যদি ফিরে যেতে পারতাম
যদি যেতে পারতাম ছোটবেলায়
বিকেলের খেলায় উন্মত্ত হতে পারতাম
যদি যেতে পারতাম আবার স্কুলে
সবার টিফিন করে নিতাম ভাগ
ঝালমুড়ি,ফুচকা এর ভিড়ে খুঁজতাম
মাঠে খেলতাম লুকোচুরি, বরফপানি
টিফিনের পরেও না ঢুকতে পাড়ায় হেডস্যারের বকা
সবাই মিলে ক্লাসে নুপুর ম্যাম এর ইতিহাস হল্লা চিল্লা
দিলীপ স্যার কে রিক্সা বলে ডাকা
প্রদ্যুৎ স্যারের ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করা
সৌমেন স্যার এর কান মোলা
সুমন স্যারের ইয়ারকি,সঞ্জয় স্যারের ভয়
স্বরূপ স্যারের ইংরেজি ক্লাসের জন্য অপেক্ষা
সরস্বতী পুজোর কাজ ভাগ করে নেওয়া
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
শিক্ষক দিবসে ক্লাস নেওয়া
সব যদি ফিরে পেতাম আবার
আর কোনোদিনও ফিরে পাওয়া যাবে না
সত্যি দিন গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে-
ভেঙেছি বহুবার
কাদিয়েছি অনেক
হারিয়েছি প্রত্যাশা
চলে গেছে আবেগ
জমে আছে নানা কষ্ট
তবুও সে শুধু চুপ
আমাকে ভালো রাখার অপেক্ষায়
অথচ,কি নিষ্ঠুর আমি
শুধু কষ্ট দিয়েই গেলাম !
কিন্তু একবারও তাকে সামান্য হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারলাম না,
মুড়ছে গিয়েছে ভেতরের গ্লানি,জমে রয়েছে কত পাথর !
হারিয়েছি সব সুযোগ, তবুও প্রচেষ্টা ব্যার্থ
জমে রয়েছে না না আশা, পড়েছি বিপাকে
কেনো যে মাথায় আসে না,এই মস্তিষ্কের ফাঁকে?-
নিজেকে একা মনে হয়
আশেপাশে মানুষ অনেক হলেও
অন্যের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে নিতে মন চায় না
একাকীত্বের বসবাসে কাউকে হারিয়ে ফেলার ভয় থাকে না !
থাকে না কোনো চিন্তা,থাকে না কোনো মায়া ।
থাকে না বন্ধুদের ভিড়, যেখানে নিজেকে সঙ্কোচ করতে হয় ।
সবাই বলে একা নাকি পথ চলা যায়না,দ্বিতীয় কাউকে দরকার
যেখানে নিজেই অন্যের সাথে মানাতে পারিনা
সেখানে একাকিত্ব ছাড়া কি আদৌ পথ আছে
তাই নিজে থেকে যাই না,মিশতে চাই না,চাই না বন্ধু
চাইনা আপনজন,নিজে অনেক বেশ আছি,
নিজের অন্ধকারে নিজে ডুবে গেছি।
এতদিন যখন ছিলাম,বাকিটাও নাও থাক
আলোর অন্ধকারে শেষ মোমটাও নিভে যাক ।।-
জানলার পাশে দাড়িয়ে
অঝোরে বৃষ্টি বিন্দু
ছিটিয়ে যায় দেহের কোনায় !
আঙুলগুলো যেনো স্পর্শে মাতিয়েছে শরীর !
জলের ফোঁটা যেনো শীতলতা নামায়
ঠোঁটে যেনো এক অদ্ভুত উষ্ণতা
পলক গুলো গুটিয়ে পরে অপলকে
চাহনি গুলো লুকিয়ে পরে প্রেমের খামে
সিক্ত ঠোঁট যখন নরম হয়ে চুম্বন করে
হাতছানি দেয় নরম পালক গুলো
চমকে ওঠে পিঠের সাড়া
তলিয়ে যায় পায়ে
হাসি তখন ক্রন্দনরতা
নতুন কারোর আসায়
চলতে থাকে ডাইরির পাতায়
মুহুর্তের সব ছবি
কলম তার কালি ছুটিয়ে যায়
জমতে থাকে স্মৃতি।-
এক অচেনা গলি
দুজন মানুষ,আসে পাশে নেই কেউ
পেছনে ফেলে চুম্বনে জর্জরিত !
নিশ্বাস যেনো থামে না ।
হার্টবিট যেনো কাপছে !
হয়তো সেটা প্রথম বলে হয়তো !
তবে একটুকুও বাজে মনে হচ্ছিল না ;
বরং এক অদ্ভুত শান্তি চলছিল !
এক অদ্ভুত অক্সিজেন যেনো মাতিয়েছে নতুন ভাবে !
নতুন করে করছে আলিঙ্গন !
শুধুই কিছুক্ষণের,
এ এক অদ্ভুত মুহূর্ত !
যা ভোলার নয় ।-
তোমার গল্পে
আমি প্রেমিক নই
বন্ধু হতে চাই !
একই চায়ের কাপে দুজনে বসে,
আড্ডা দিতে চাই ।-
তুমি কি জানো ?
তোমাকে না দেখেও আমি বেশি দেখি !
তোমাকে সামনে দেখার জন্যে আমি উৎপল ।
আমি উদগ্রীব থাকি তোমার কণ্ঠের ধ্বনি শোনার অপেক্ষায় !
তোমার চোখের অপলক চাহনি আমার হৃদয়ের স্পন্দন বাড়ায়
তোমার চলায় এক অপরূপ শান্তি অনুভূত হয়,
তুমি হাত ধরলে হয়তো আমি একটু নিস্তব্ধ হই ।
তাই তোমাকে না বলে আমি বিচলিত থাকি তোমার আসায়
তুমি কি জানো?-
আসবে কি ফিরে শিউলি গাছের তলায়
ঝরবে সাদা ফুলের বৃষ্টি
লাল শাড়ির আঁচলে লুকোবে নিজেকে
স্নেহের দৃষ্টিকোণে জমবে কিছু আকর্ষিত চাহনি
টেনে নেবে কি আমায়?
তোমার মধুরিত মায়ায়
যদি থেকে যাও সারাজীবন
এই মধুচন্দ্রিমায়-