এই যে ছেঁড়া ছেঁড়া বৃষ্টি তোর আর আমার না হওয়া সংসার।। বড্ড বেমানান মেঘ চুপ করে চেয়ে থাকা মায়া ভরা ভ্রমর হয়ে। ক্লান্ত উদাসী রঙচটা দেওয়াল লিখনে মন খারাপের নিরুদ্দেশের বিজ্ঞপ্তি ভিজে যাচ্ছে তোর জন্য শহর কোণের একসময়ের প্রিয় আমার হৃদয় জুড়ে। তবুও তুই আমার হলি না। এ এক অদ্ভুত শোক,জ্যান্ত মানুষকে হারানোর শোক।
হঠাৎ তোমাকে দেখলাম এক চিরকুটের ওপ্রান্তে! তখন আমি সদ্য উনিশ হালকা,দাঁড়ি গোঁফের ভীড়ে আর তুমি অষ্টাদশী এক কন্যা। আমার তখন ভাঙা এক সাইকেল প্রতি বিকেল তোমার পাড়ার মোড়ে। তখন তুমি এলোমেলো খোলা চুলের দাঁড়িয়ে থাকতে ছাদের কোণে.. কতোবার চোখে রেখেছি তোমার চোখে, ভীষণ হাসতে অবাধ্য বালিকা হয়ে। হঠাৎ হারালে শেষ বিকেলের এক চিরকুট ছেড়ে। ফ্যাকাশে এই শহরটাকে আরো ভীষণ একলা করে। এই অবেলায় জানো তোমাকে অনেক মনে পড়ে, যেমন মেঘ জমে বসন্তের ভোরে।।
জানিনা মোহ কি, কি আর প্রেম। আমি শীতল চাদরে দেহ বিছিয়ে দিয়েছি তাকে ভাবে। কয়েক রাত,কয়েক মাস এই ভাবে বয়ে যাবে কয়েকটা বছর। আমার চোখে ঘুম আসেনা, আসেনা আর স্বপ্ন আমি রাত জাগা তারাদের ভীড়ে জোনাকিদের জ্যোৎস্না সাজাই বেখেয়ালে নিকোটিন জড়ো করি বুকের ভিতরে। ভালো নেই, তবুও ভালো থাকার নাটকে ক্লান্ত আমি। অথচ আয়নার ভাসে আমার আমি সাঁজোয়া শব্দের অর্থের হিসাব নিকাশ।।