-
সন্ধ্যা নামলেই,
বেরঙে আঁচড়ে যায়
শ্রাবণ আগলে রাখা জলছবি
ফেরারী পিছুটানে অবরুদ্ধ হয়
শেষ প্রেমে রাঙান্বিত অন্তিমের স্পর্শ
বাহ্যিক রূপে আবদ্ধ আরশির
চারিপাশ তখন ক্ষতচিহ্নরূপে বিমর্ষ
চোরবালিরা যখন কুঁড়ে খাচ্ছে
উপেক্ষিত হৃদয়ের আনাচে কানাচ
সিক্ত ক্যানভাসকে তখনও পুড়িয়ে চলেছে
মনকেমনে বিধ্বস্ত দগ্ধ আঁচ-
তুলির প্রলেপে 'রঙিন বৃষ্টি', বুকের বামে বিষাদ শ্রাবণ ক্ষত ...
আটকে পড়া গুমোট স্মৃতিরা সব, মেঘের শহরে থাকুক অক্ষত ...-
অঝোর ধারায় ঝরছে শ্রাবণ,
ভাবনারা মনের গহীনে করে আলাপন...-
•শ্রাবণ•
তোমার নামে থাকে অভিমান, জলীয়বাষ্প মেঘ;
ক্রোমোজমের পৃথিবীতে এটুকুই তো সম্বল, বলো...
অতীতের কবিতা হঠাৎ বৃষ্টির পরোয়ানা লেখে শব্দের শরীরে।
সহসা কোনো কালবৈশাখী দিতে পারিনি তোমায়,
কিন্তু মৌসম সাজিয়ে জলের ইশারা এঁকেছি বহুবার।
ধুয়ে গেছি, নিজে'তে জমিয়েছি তোমার অন্তরীপ!
যেদিন উষ্ণতার খোঁজে বর্ষা পেরিয়ে এসেছিলে,
সেদিন দামাল তিস্তা হয়েছিলাম আমি;
পাহাড়, উপত্যকা পেরিয়ে তখন কেবল, চুঁইয়ে পড়ার শব্দ...
আমার আস্ত শরীরে কেমন যেন মেঘ মেঘ গন্ধ!
আমৃত্যু থাকার খোয়াইশ তো করিনি কোনোদিনই,
শুধু বুঝেছিলাম, আরেকটা 'শ্রাবণ' কেবল তোমার নামেই লিখতে পারি
আজও...
-
জ্বলছে চিতা পুড়ছে লাশ পোড়া গন্ধে ভরছে আকাশ,
পারলে একটা শ্রাবন পাঠাস সাথে কিছু ফুলের সুবাস।-
ভাঙা পুকুর ঘাট । আমার অতৃপ্ত দৃষ্টি । তোমাকে এঁটো করে দিয়ে গেল অমাবস্যা ।
দু'ধারে কচি শালুক আর কচুরিপানায় ঢেকে যাওয়া দিনরাত্রি ।
আমার বুকের ভেতর একটা আগ্নেয়গিরি । নিষিদ্ধ লাভার ক্ষরণ ।
আমাদের দূরত্ব আলপথের সমানুপাতে বেড়ে যায় ।
সন্ধ্যাবাতি দিতে এলো কাদের বাড়ির বউ ।
এঁদের কি ঈশ্বর বাঁচিয়ে রেখেছেন ? নাকি এঁরাই ঈশ্বরকে বাঁচিয়ে রাখে ?
ঈশ্বরের ভাগবাটোয়ারা করে ফেলেছি আমরা ।
বসন্ত চলে গেছে,আমি টের পাইনি ।
শ্রাবণ কেন উতলা করলো আমায় ? শ্রাবণের কি তবে রঙ আছে !
মনখারাপের রঙ,ভাঙনের রঙ...নাকি জীবিত হওয়ার রঙ !
শ্রাবণ তবে ঐশ্বরিক ।
- শাশ্বতী 🥀
-
মরুরাত্রির চোখে,
প্রকাশ্য ঝর্না ।
বেওয়ারিশ শব্দের সিম্ফনি,
পালাবদলের ঝংকারে নির্বাক শ্রাবণকন্যা !-